গাজীপুরের শ্রীপুরে অবস্থিত নিজস্ব কারখানায় শিশুদের জন্য দুধ দিয়ে উৎপাদিত পুষ্টিকর জুনিয়র সিরিয়াল ‘নেসলে সেরেগ্রো’ রপ্তানি করার মাধ্যমে শ্রীলঙ্কায় পণ্য রপ্তানি কার্যক্রম শুরু করেছে নেসলে বাংলাদেশ পিএলসি।

এ উপলক্ষে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে দায়িত্বপ্রাপ্ত শ্রীলঙ্কান হাইকমিশনার ধর্মপাল উইরাক্কোডি। অনুষ্ঠানে তিনি বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে শক্তিশালী বাণিজ্যিক সম্পর্ক এবং আঞ্চলিক উন্নয়নে সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

নেসলে বাংলাদেশ পিএলসির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক দীপাল আবেউয়িক্রেমা বলেন, নেসলে বাংলাদেশ গর্বের সঙ্গে ১৫৫ বছরের বেশি পুরোনো নেসলে গ্রুপের ঐতিহ্য বজায় রেখে গুণগত মানসম্পন্ন পণ্য সরবরাহ করছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রসারণের প্রতিটি সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের পণ্যের রপ্তানি আরও বিস্তৃত করার জন্য সক্রিয়ভাবে নতুন নতুন সুযোগ অনুসন্ধান করছি।’

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নেসলের কর্মকর্তারা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি নাজিথ মিওয়ানাগে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ইরাক: সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে মানবতার বিজয়

বিজয় মানেই সব সময় বিদেশি ঔপনিবেশিক শক্তিকে তাড়ানো নয়; কখনো কখনো বিজয় মানে হলো নিজ ঘরের ভেতরে বেড়ে ওঠা অশুভ ছায়াকে পরাজিত করে আলোর পথে ফেরা। আজ ১০ ডিসেম্বর, ইরাকের ‘বিজয় দিবস’ (ভিক্টোরি ডে)। ২০১৭ সালের এই দিনে ইরাক সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে সন্ত্রাসী সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস বা দায়েশ) বিরুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয়ের ঘোষণা দিয়েছিল।

২০১৪ সাল। ইরাকের ইতিহাসের এক কালো অধ্যায়। দেশটির বিশাল অংশ দখল করে নেয় আইএস। মসুলসহ বড় বড় শহরে শুরু হয় তাদের বর্বর শাসন। প্রাচীন সভ্যতা ধ্বংস করা হয়, নির্বিচার হত্যা করা হয় ভিন্নমতাবলম্বীদের, আর নারীদের ওপর নেমে আসে মধ্যযুগীয় দাসপ্রথার নির্যাতন। মনে হচ্ছিল, টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস নদীর তীরে হাজার বছরের সভ্যতা বুঝি চিরতরে হারিয়ে যাবে অন্ধকারের গহ্বরে।

আইএসকে পরাজিত করার পর ২০১৭ সালের ১০ ডিসেম্বর রাজপথে পতাকা হাতে উল্লসিত ইরাকি

সম্পর্কিত নিবন্ধ