শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার পানিহাতা সীমান্ত দিয়ে শুক্রবার (১১ জুলাই) ভোরে ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
৩৯ বিজিবির ময়মনসিংহ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদি হাসান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বিএসএফ যাদেরকে ঠেলে পাঠিয়েছে, তাদের মধ্যে ২ জন পুরুষ, ৪ জন নারী ও ৪ জন শিশু।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) জানিয়েছে, শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া বিজিবি ক্যাম্পের অধীন পানিহাতা এলাকার সীমান্ত পিলার-১১১৮/৩-এস এর কাছ দিয়ে ওই ১০ জনকে ঠেলে পাঠায় বিএসএফ ২২ ব্যাটালিয়নের বাবুরামবিল ক্যাম্পের সদস্যরা। পরে তাদেরকে সীমান্ত এলাকা থেকে আটক করে বিজিবি ক্যাম্পে নেওয়া হয়।
বিজিবি আরো জানায়, আটককৃতরা দেশের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করে নয়াদিল্লিতে অবস্থান করেছিল। ভারতীয় পুলিশ বিশেষ অভিযান চালানোর সময় বৈধ কাগজপত্র/ভারতীয় পরিচয়পত্র না পাওয়ায় তাদেরকে আটক করে। দুই-তিন দিন আগে তাদেরকে বিমানযোগে নয়াদিল্লি থেকে গৌহাটিতে নিয়ে আসা হয়। গৌহাটি থেকে বিএসএফের বাবুরামবিল ক্যাম্পের সদস্যরা গতকাল রাতে ওই ব্যক্তিদেরকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠায়।
আটক ব্যক্তিদের নিকটাত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গেছে, তারা সবাই সাতক্ষীরার তালা উপজেলার সাহাজাদপুর এলাকার বাসিন্দা। এ বিষয়ে অধিকতর তদন্ত ও যাচাইপূর্বক পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য তাদেরকে নালিতাবাড়ী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঢাকা/তারিকুল/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসএফ ত দ রক
এছাড়াও পড়ুন:
নেত্রকোনা সীমান্ত দিয়ে আবারও ২১ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
নেত্রকোনার দুর্গাপুর ও জামালপুরের বকশীগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ২৮ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল বুধবার গভীর রাত ও আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাঁদের ঠেলে পাঠানো হয়।
গতকাল দিবাগত রাত দুইটার দিকে দুর্গাপুরের বিজয়পুর সীমান্ত দিয়ে ২১ জনকে ঠেলে পাঠায় বিএসএফ। সীমান্ত থেকে তাঁদের আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এর আগে গত ৩ জুন গভীর রাতে ওই সীমান্ত দিয়ে বিএসএফ ৩২ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছিল।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ১৯ জন হিজড়া ও ২ জন পুরুষ। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁদের বাড়ি নড়াইল, সাতক্ষীরা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, টাঙ্গাইল, জামালপুর, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, মৌলভীবাজার, চট্টগ্রাম ও ঢাকা জেলায়।
নেত্রকোনা ৩১ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম কামরুজ্জামান আজ বৃহস্পতিবার সকালে মুঠোফোনে বলেন, গতকাল রাত দুইটার দিকে বিএসএফ ২১ জনকে পুশইন করেছে। তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে তাঁরা ৬ মাস থেকে ১২ বছর আগে ভারতে গিয়েছিলেন। বৈধ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে বিএসএফ তাঁদের পুশইন করেছে। বর্তমানে তাঁদের বিজয়পুর ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। তাঁদের পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
বকশীগঞ্জের উপজেলার ধানুয়া কামালপুরের ১০৮৩ নম্বর পিলার এলাকা দিয়ে আজ সকালে সাতজনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ। স্থানীয় লোকজন তাঁদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
আটক ব্যক্তিরা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, তাঁদের বাড়ি বাগেরহাট, ফরিদপুর, খুলনা ও বরগুনা জেলায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ ভোরে বকশীগঞ্জ-ভারতের সীমান্তবর্তী ধানুয়া কামালপুরের ১০৮৩ নম্বর পিলার এলাকা দিয়ে চারজন নারী ও তিনজন পুরুষকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠায় বিএসএফ।
উপজেলার ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোতালেব মিয়া বলেন, ‘বিএসএফ কিছু লোকজন আমাদের এলাকায় ঠেলে দেওয়ার খবর পাই। পরে আমরা ওই এলাকায় অবস্থান নিই। ওই সাতজন এলাকায় ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের আটক করি। পরে পুলিশের কাছে তাঁদের সোপর্দ করেছি। ওই সাতজন কাজের সন্ধানে দালালের মাধ্যমে ভারতের বিভিন্ন শহরে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন।’
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ বলেন, ওই সাতজনকে সীমান্ত দিয়ে পুশইন করার পরই স্থানীয় গ্রামবাসী আটক করেন। পরে গ্রামবাসী তাঁদের থানায় সোপর্দ করেছেন। এ বিষয়ে আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।