শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার পানিহাটা সীমান্ত দিয়ে নারী, শিশুসহ ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ। শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে উপজেলার পানিহাটা সীমান্তের ১ হাজার ১১৮ নম্বর পিলারের কাছ থেকে তাঁদের আটক করেন বিজিবি রামচন্দ্রকুড়া ক্যাম্পের সদস্যরা।

আটক ব্যক্তিদের সবার বাড়ি সাতক্ষীরার তালা উপজেলার শাহজাদপুর গ্রামে।

পুলিশ ও বিজিবি সূত্র জানায়, দুই বছর আগে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে অবৈধ পথে ভারতের দিল্লির ফরিদাবাদে যান তারা। পরে তারা শ্রমিক হিসেবে সেখানে কাজ শুরু করেন। সম্প্রতি স্থানীয় লোকজন তাদের ভারতীয় পুলিশের হাতে তুলে দেন। পরে পুলিশ তাদের বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে। পরে বিএসএফ শুক্রবার সকালে পানিহাটা সীমান্ত দিয়ে তাদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়।

বিজিবি ৩৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী হাসান বলেন, ভারত থেকে ঠেলে পাঠানো ১০ জনকে বিজিবি আটক করে নালিতাবাড়ী থানায় হস্তান্তর করেছে।

নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী আটক ব্যক্তিদের অভিভাবকদের জিম্মায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এসএফ প শইন ব এসএফ

এছাড়াও পড়ুন:

সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের বিএসএফের হাতে আটক ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবী

অবৈধভাবে ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশের অভিযোগে ১৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।

বিএসএফ সূত্রে জানানো হয়েছে, সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের উত্তাল নদীতে দীর্ঘক্ষণ ধাওয়া করে তাদের আটক করা হয়।  ধৃত মৎসজীবীরা বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলার পুরালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। মাছ ধরার ট্রলার ও জালসহ তাদেরকে আটক করা হয়। 

আরো পড়ুন:

কলকাতায় সম্মিলিত সেনা সম্মেলন উদ্বোধন নরেন্দ্র মোদির

অবৈধ অভিবাসীদের প্রতি নরম হওয়ার দিন শেষ: ট্রাম্প

বিএসএফ জানায়, রবিবার সীমান্তের সুন্দরবন অংশে রুটিন টহল দেয়ার সময় গোসাবা রেঞ্জের বাঘমারি জঙ্গল এলাকায় বাংলাদেশি অবৈধ ট্রলারের উপস্থিতি নজরে আসে বিএসএফ জওয়ানদের। বিএসএফ জওয়ানদের পেট্রোল বোট ট্রলারটির কাছে যাওয়ার চেষ্টা করতেই ট্রলারটি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। দ্রুততার সঙ্গে ট্রলারের পিছু ধাওয়া করা হয়। দীর্ঘক্ষণ ধাওয়া করে পরবর্তীতে পাকড়াও করা হয় বাংলাদেশি ট্রলারটিকে। অবৈধ অনুপ্রবেশ এর অভিযোগে আটক করা হয় এতে থাকা ১৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে। বাজেয়াপ্ত করা হয় ট্রলারটি।

বিএসএফ আরো জানায়, আটকের পর দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগের বিপরীতে কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ দেখাতে পারেনি। ফলে জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাদের স্থানীয় সুন্দরবন কোস্টাল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আজ সোমবার তাদের আলিপুর আদালতে তোলা হবে।

ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাতক্ষীরা সীমান্তে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করল বিএসএফ
  • সাতক্ষীরা সীমান্তে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর
  • সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের বিএসএফের হাতে আটক ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবী