করদাতারা অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ের প্রথম দিন থেকে আয়কর কর্তৃপক্ষের কাছে বার্ষিক আয়, ব্যয় এবং সম্পদের তথ্যাবলী নির্ধারিত ফরমে উপস্থাপন করেন বা রিটার্ন জমা দেন। গত বছর বেশকিছু সেবা পেতে রিটার্ন জমা দেওয়া বাধ্যতামূল ছিল। তবে, এবার আয়কর রিটার্ন ছাড়াই মিলবে বেশকিছু সরকারি-বেসরকারি সেবা।
আয়কর রিটার্ন ছাড়া যেসব সেবা মিলবে, সেগুলো মধ্যে আছে—ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করার জন্য ই কমার্স ব্যবসার লাইসেন্স নেওয়া, ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়পত্র কেনা, ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড নেওয়া বা নবায়ন, ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট হিসাব খোলা ও নবায়ন, ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট হিসেবে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত রাখা, পোস্ট অফিস সঞ্চয়ী হিসাব খুলে ৫ লাখ টাকার বেশি রাখা, নতুন ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণ; চিকিৎসক, দন্তচিকিৎসক, আইনজীবী, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট, চার্টার্ড সেক্রেটারি, আইনজীবী, প্রকৌশলী, স্থপতি, সার্ভেয়ার ইত্যাদি পেশাজীবীদের স্বীকৃত পেশাজীবী সংস্থার সদস্য পদ গ্রহণ, সমবায় সমিতির নিবন্ধন, সাধারণ বিমা কোম্পানিগুলোর তালিকাভুক্ত সার্ভেয়ারদের নতুন লাইসেন্স গ্রহণ, ১০ম গ্রেড বা তার উপরের পদধারীদের এমপিওভুক্তির অর্থ গ্রহণ, স্ট্যাম্প, কোর্ট ও কার্টিজ পেপারের ভেন্ডর বা দলিল লেখক হিসেবে লাইসেন্স নিবন্ধন/তালিকাভুক্তি, ৩ চাকার মোটরযানের (অটোরিক্সা) নিবন্ধন, মালিকানা পরিবর্তন বা ফিটনেস নবায়ন, স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতাদের মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস বা মোবাইল ব্যাংকিং বা ইলেকট্রনিক মাধ্যমে কমিশন, ফি বা অন্য আর্থিক সুবিধা গ্রহণ।
এসব সেবা নিতে আয়কর রিটার্ন জমা না দিলেও ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (টিআইএন) সার্টিফিকেট দেখাতে হবে।
ঢাকা/নাজমুল/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বাগেরহাটে ৪ আসন বহালের দাবিতে হাইকোর্টে রিট
বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং একটি আসন কমিয়ে তিনটি আসন করার নির্বাচন কমিশনের গেজেট কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী ১০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
মানিকগঞ্জে কৃষিজমির মাটি কাটার বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
ডাকসু নির্বাচন স্থগিত চেয়ে করা ছাত্রলীগ নেতার রিট বাতিল
বাগেরহাট প্রেস ক্লাব ও অন্যান্যদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার শেখ মুহাম্মদ জাকির হোসেন রিট পিটিশন দাখিল করেন। এছাড়া চিতলমারী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বাগেরহাট ১ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মুজিবর রহমান শামীমের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ আক্তার রসুল একই বিষয়ে পৃথক রিট পিটিশন করেন।
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও বাগেরহাট জেলা বিএনপির নেতা ব্যারিস্টার শেখ মুহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, “আমরা রিট পিটিশন করেছি। আদালত আমাদের কথা শুনেছেন এবং ১০ দিনের রুল জারি করেছেন। আশা করি, আদালতে ন্যায়বিচার পাব এবং বাগেরহাটের চারটি আসন বহাল থাকবে।”
গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি আসন কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব দেয়। এরপর থেকে বাগেরহাটের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠন আন্দোলন শুরু করে। চারটি আসন বহালের দাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতেও অংশ নেয় তারা।
তবে ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসন রেখে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে।
চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী বাগেরহাট-১ (সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা) ও বাগেরহাট-৩ (কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) নির্ধারণ করা হয়। অথচ দীর্ঘদিন ধরে বাগেরহাট-১ (চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট), বাগেরহাট-২ (সদর-কচুয়া), বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) এবং বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
ঢাকা/শহিদুল/বকুল