কক্সবাজারে ইউপি সদস্য খুন: ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা
Published: 12th, July 2025 GMT
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য কামাল হোসেন হত্যার ঘটনায় ১৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) রাতে নিহতের ভাই সাহাব উদ্দিন বাদী হয়ে উখিয়া থানায় এ মামলা করেন। মামলায় ৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং আরও ৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। মামলায় যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তারা সবাই ২০১৯ সালের ২৭ জুলাই নিহত কামালের অপর ভাই জসিম উদ্দিন হত্যা মামলার আসামি ছিলেন।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, আবদুর রহিম, তোফাইল আহমদ, জুহুর আহমদ চৌধুরী, শরিফুল হক সাগর, জহির আহমদ, নুরুল বশর, মোহাম্মদ রিদোয়ান ও শরিফুল হক নাহিদ। তারা সবাই মনখালী এলাকার বাসিন্দা। নিহত কামাল হোসেন ওই এলাকার সিদ্দিক আহমদের ছেলে এবং জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ছিলেন।
আরো পড়ুন:
মাগুরায় শাবল দিয়ে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ
পাবনায় গৃহবধূ সাদিয়া হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন
কামাল হোসেন গত ৭ জুলাই রাত ১১টার পর বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ ছিলেন। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুপুরে মনখালী খালের একটি ঝিরি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আরিফ হোসেন মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
ঢাকা/তারেকুর/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’
তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’
অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’
পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’
আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’
ঢাকা/আসাদ/রাজীব