দিনাজপুরের হাকিমপুরে চুরির অপবাদে বাবলু হোসেন (৩২) নামে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার মালেপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন- অভিযুক্ত রাব্বী হাসানের শাশুড়ি লিনা পারভিন ও দক্ষিণবাসুদেবপুর মহল্লার হাতেম আলীর ছেলে জিয়া মণ্ডল।

নিহত বাবলু উপজেলার দক্ষিণবাসুদেবপুর মহল্লার আব্দুল খালেকের ছেলে। 

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, উপজেলার মালেপাড়া মহল্লার রাব্বি হাসান চুরির অভিযোগ তুলে শনিবার সকাল ৮টার দিকে পার্শ্ববর্তী দক্ষিণবাসুদেবপুর মহল্লার বাবলু হোসেনকে বাড়িতে ধরে নিয়ে আসেন। এরপর দিনভর মারধর করেন। বিষয়টি এলাকাবাসী থানা-পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে পুলিশ বাবুলকে উদ্ধারে গেলে রাব্বী ও তার দলবল পালিয়ে যায়। এরপর পুলিশ বাবলুর লাশ উদ্ধার করে। এ সময় হত্যার সঙ্গে জড়িত নারীসহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

হাকিমপুর থানা ওসি নাজমুল হক বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। তবে প্রধান অভিযুক্ত রাব্বি পালিয়েছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের আটকের চেষ্টা চলছে।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প ট য় হত য মহল ল র

এছাড়াও পড়ুন:

অবশেষে সৎকার হলো হিমাগারে থাকা ভারতীয় নাগরিকের মরদেহ

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের হিমাগারে দীর্ঘদিন ধরে থাকা ভারতীয় নাগরিক রাজনের (৬৩) মরদেহের সৎকার করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।

বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে পৌরসভার মনোহরবাজার শ্মশানঘাটে মরদেহটি সৎকার করা হয়। প্রায় ৭ মাস ধরে এই মরদেহ সদর হাসপাতালের হিমাগারে রাখা ছিল।

আরো পড়ুন:

নড়াইলে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় সাংবাদিকের ভাইয়ের মৃত্যু

নবাবগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে বৃদ্ধের মৃত্যু, ভস্মীভূত ১১ ঘর 

রাজন ভারতের দিল্লি প্রদেশের দিলিপের ছেলে। তবে তার জেলার নাম জানা যায়নি।

শরীয়তপুর কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, রাজন নামে এই ব্যক্তিকে ২০২২ সালের আগস্ট মাসের ২৫ তারিখে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানা এলাকা থেকে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের দায়ে মামলা হয়। ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর ওই মামলায় তাকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ায় তিনি আর পি বন্দী হিসেবে কারাগারে ছিলেন। 

গত ১৮ মে রাজন অসুস্থ হয়ে পড়লে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক পরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর থেকেই রাজনের মরদেহ সদর হাসপাতালের হিমাগারে রাখা ছিলো। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মরদেহটি সৎকারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

শরীয়তপুরের জেল সুপার বজলুর রশিদ বলেন, “রাজন নামের ওই ব্যক্তি আর পি বন্দী ছিলেন। হঠাৎ করে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। এরপর থেকে তার মরদেহ হিমাগারে রাখা ছিল। পরে দুই দেশের (বাংলাদেশ-ভারত) উচ্চ পর্যায়ে সভার মাধ্যমে মরদেহটি দাহ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সৎকার শেষে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানিয়ে দেব।” 

ঢাকা/সাইফুল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অনলাইনে টাকা খাটিয়ে বেশি মুনাফার ফাঁদে কোটি টাকা খুইয়েছেন ব্যাংক কর্মকর্তা
  • মেয়েটি আসে হৃদয়কে ফাঁদে ফেলতে, এরপর...
  • দুর্দান্ত বোলিংয়ে পাকিস্তানকে হারিয়ে সিরিজে ফিরল বাংলাদেশ
  • পরীক্ষা নিতে বাধা, শিক্ষকের মাথা ফাটালেন যুবদল নেতা 
  • মোসাদ ও ইরানের মধ্যে অন্তরালে যে যুদ্ধ চলছে
  • পাবনায় আবার স্পিডবোটে এসে নদীসংলগ্ন স্বর্ণের দোকান, ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতি
  • রুটের ব্যাটে লড়ল ইংল্যান্ড
  • অভিনেতা তিনু করিম লাইফ সাপোর্টে
  • সিয়ামের সঙ্গী ইধিকা পাল!
  • অবশেষে সৎকার হলো হিমাগারে থাকা ভারতীয় নাগরিকের মরদেহ