ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জের যানজট পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তড়িঘড়ি করে সড়কের খানাখন্দ মেরামত করায় গতকাল শনিবার যানজট দেখা যায়নি। অথচ এ সড়কে শুক্রবার দীর্ঘ ২৫ কিলোমিটার যানজট হয়।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দারের গাড়ি সড়কের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু পার হতে লাগে প্রায় দুই ঘণ্টা। অন্যান্য যাত্রীও সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হন।

শুক্রবার বিকেল থেকে কাজে নামে সেনাবাহিনী ও হাইওয়ে পুলিশ। গতকালও চলে সড়কের খানাখন্দ মেরামত। সরাইল খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ওসি মামুন রহমান জানান, শুক্রবার রাত থেকে মহাসড়কে যানজট কম। যেখানে যানজট হচ্ছে, সেখানে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। সেনাসদস্যরাও যানজট নিরসনে নিরলস পরিশ্রম করছেন।

আশুগঞ্জ-আখাউড়া মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের পিএম (প্যাকেজ-১) শামীম আহমেদ জানান, শুক্র ও শনিবার মহাসড়কের আশুগঞ্জ-সরাইল অংশের বেশির ভাগ খানাখন্দ ঠিক করেছেন তারা। বৃষ্টি না হওয়ায় যানজট পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে কিছু জায়গায় সড়কের বেইজ (ভিত্তি) না থাকায় মেরামত টেকসই হচ্ছে না বলে জানান তিনি।

প্রকল্প-সংশ্লিষ্টরা জানান, আশুগঞ্জ-আখাউড়া মহাসড়ক ফোর লেনে উন্নীত করার ঠিকাদার ভারতীয় প্রতিষ্ঠান এফকন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। ভারতের ঋণ সহায়তায় ৫ হাজার ৭৯১ কোটি টাকা ব্যয়ে আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত প্রায় ৫০ দশমিক ৫৮ কিলোমিটার মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার কাজ চলছে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর নিরাপত্তার অজুহাতে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা চলে গেলে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় তিন মাস পর ফিরে এলেও গতি পায়নি কাজে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব র হ মণব ড় য় ম র মত সড়ক র য নজট

এছাড়াও পড়ুন:

নেত্রকোনায় ছেলের লাঠির আঘাতে বাবার মৃত্যু

নেত্রকোনার মদনে ছেলের লাঠির আঘাতে মোস্তফা মিয়া (৬৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার মাঘান ইউনিয়নের ঘাটুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মোস্তফা মিয়া ঘাটুয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি কৃষিকাজ করতেন।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মোস্তফা মিয়ার ছেলে সাজ্জাদ মিয়া (২৫) দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন। তিনি কখনো বাড়িতে থাকতেন, কখনো বাড়ি ছেড়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতেন।

গতকাল সন্ধ্যার পর সাজ্জাদ বাড়িতে ফেরেন। রাতের খাবার শেষে মোস্তফা মিয়া নিজ ঘরে শুয়ে পড়লে হঠাৎ সাজ্জাদ ঘরে ঢুকে লাঠি দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান মোস্তফা মিয়া।

খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন সাজ্জাদকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে মোস্তফা মিয়ার লাশ উদ্ধার করে এবং সাজ্জাদকে থানায় নিয়ে যায়।

মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুল আলম শাহ বলেন, সাজ্জাদ মানসিক ভারসাম্যহীন বলে পরিবার ও এলাকাবাসী জানিয়েছেন। তাঁকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ আজ রোববার সকালে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ