থোকায় থোকায় ঝুলছে বিদেশি ফল রাম্বুটান, ৫০ লাখ টাকা বিক্রির আশা
Published: 23rd, July 2025 GMT
সবুজে ঘেরা গ্রাম ময়মনসিংহের ভালুকার গোয়ারী। এ গ্রামের লাল মাটিতে চাষ হয়েছে বিদেশি ফল রাম্বুটান। বাগানজুড়ে সবুজ পাতার ভেতরে পাকা টসটসে রাম্বুটান দেখে চোখ জুড়ায় যে কারও। খেতেও সুস্বাদু। প্রত্যন্ত গ্রামে ছয় একর জমি ইজারা নিয়ে রাম্বুটানসহ দেশি–বিদেশি নানা ফলের বাগান গড়ে তুলেছেন দুই বন্ধু শেখ মামুন ও আশরাফ উদ্দিন।
রাম্বুটান মূলত মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার ফল। তবে গোয়ারী গ্রামে বাণিজ্যিকভাবে এই ফলের চাষ হচ্ছে। রাম্বুটান ছাড়াও ২০ প্রজাতির দেশি-বিদেশি ফলের প্রায় এক হাজার গাছ আছে বাগানটিতে। উদ্যোক্তারা আশা করছেন, রাম্বুটানের ফলন এত ভালো হয়েছে যে এ বছর ৫০ লাখ টাকার বেশি বিক্রি হতে পারে।
দুই বন্ধুর মধ্যে মামুন পেশায় ফার্নিচার ব্যবসায়ী এবং আশরাফ উদ্দিন শিক্ষক। নিজের পেশার পাশাপাশি ‘তাইফ এগ্রো’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন তাঁরা।
বাণিজ্যিকভাবে চাষ করেছে দেশি-বিদেশি ফল। তাঁদের বাগানে ২১২টি রাম্বুটানগাছ আছে। এ ছাড়া আছে অ্যাভোকাডো, পার্সিমন, লংগান, থাই লংগান, মিয়াজাকি আম, কুড়িয়া ও থাই জাম, সফেদাসহ দেশি-বিদেশি ২০ জাতের ফলের গাছ।
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, রাম্বুটান ফলটি লিচু পরিবারের। রাম্বুটান দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্থানীয় ফল হিসেবে পরিচিত। রাম্বুটান চীন, মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি উৎপন্ন হয়। ফলটির খোসা হালকা চুলের মতো আবরণে ঢাকা। মালয় ভাষায় ‘রাম্বুট’ শব্দের অর্থ চুল। তাই অনেকে একে হেয়ারি লিচু, কেউ কেউ ফলের রানিও বলেন। এর আকার মাঝারি ধরনের এবং বর্ণ লাল। এটি মিষ্টি স্বাদযুক্ত একটি ফল। এই ফল চাষের জন্য বাংলাদেশের আবহাওয়া অনুকূল হওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে রাম্বুটান চাষ করে সফলতার মুখ দেখছেন ভালুকার চাষিরা।
লালের পাশাপাশি হলুদ রঙের রামবুটানও আছে বাগানে।.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মাত্র দেড় মাসে কীভাবে ১৭ কেজি ওজন কমালেন ক্রিকেটার সরফরাজ খান?
শুরুটা যেভাবে করেছিলেন
সরফরাজ খান ১৭ কেজি ওজন কমিয়েছেন ভাত, রুটি, চিনি, ময়দা ও বেকড খাবার একেবারে বাদ দিয়ে। এর পরিবর্তে খাদ্যতালিকায় তৃপ্তির জন্য রেখেছিলেন বেশি আঁশসমৃদ্ধ ফল ও সবজির সালাদ, ব্রকলি, শসা। প্রোটিনের জন্য রেখেছিলেন গ্রিল করা মাছ ও মুরগি, সেদ্ধ ডিম আর গুড ফ্যাটের জন্য রেখেছিলেন অ্যাভোকাডো। চা ও কফির পরিবর্তে খেয়েছেন গ্রিন টি ও গ্রিন কফি।
৮০ শতাংশ ওজন কমে সঠিক ডায়েটেভারতের হলিস্টিক হেলথ এক্সপার্ট ড. মিকি মেহতা বলেন, ‘আপনি যত কঠোর ব্যায়ামই করুন না কেন, ওজন কমানোর ক্ষেত্রে প্রায় ৮০ শতাংশ ভূমিকা রাখে খাদ্যনিয়ন্ত্রণ, আর বাকি ২০ শতাংশ ব্যায়াম। প্রতিদিন কী খাবেন, সেটাই ঠিক করে দেবে শরীর কত দ্রুত বদলাবে।’
সরফরাজ খান ১৭ কেজি ওজন কমিয়েছেন ভাত, রুটি, চিনি, ময়দা ও বেকড খাবার একেবারে বাদ দিয়ে