ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে ছয় বাংলাদেশিকে ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়েছে। ফেরত আসা এসব ব্যক্তি ভারতের বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছিলেন। তারা ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টাকালে বিএসএফের হাতে আটক হন।
মহেশপুর ৫৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত কোয়ার্টার মাস্টার মুন্সি ইমদাদুর রহমানের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজিবি জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ৫৯ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের রণঘাট কাম্পের সদস্যদের হাতে আটক হন দুই বাংলাদেশি। বিএসএফ আটক দুই জনের বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহেশপুর ব্যাটালিয়নের মাটিলা বিওপিকে অবহিত করে। পরে সকাল সাড়ে ১০টায় মাটিলা বিওপি ও রণঘাট বিএসএফ ক্যাম্পের কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ওই দুজনকে হস্তান্তর করা হয়।
আরো পড়ুন:
উত্তরায় প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত: দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
ভারতে গরু আনতে গিয়ে নিখোঁজ বাংলাদেশি
একই দিন সকাল ১০টায় ১৯৪ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের বর্ণবাড়িয়া ক্যাম্পের সদস্যরা নারী, শিশুসহ চার বাংলাদেশিকে আটক করে। বিষয়টি বিজিবির মহেশপুর ব্যাটালিয়নের অধীন বাঘাডাংগা বিওপি কমান্ডারকে অবগত করা হয়। পরে বিকেল ৪টায় উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়। বৈঠকে চার বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ।
ওই ছয় ব্যক্তিকে মহেশপুর থানায় সোপর্দ করেছে বিজিবি। তাদের বিষয়ে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মহেশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাদুর রহমান।
ঢাকা/সোহাগ/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসএফ ব এসএফ
এছাড়াও পড়ুন:
জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক
জঙ্গি সন্দেহে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিক। মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ নামে ওই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয় পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে। এরপর তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে এসে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে।
ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভারত থেকে নিজের দেশে ফিরে যাননি মাসুদ। তিনি অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কাটাগঞ্জ এলাকায় বসবাস করতেন। সম্প্রতি তার বেশ কিছু কর্মকান্ডে সন্দেহ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরই মাসুদকে ইসলামী উগ্রপন্থী বলে দাবি করে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। যেহেতু তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাই পুলিশ তাকে একজন অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
বিষয়টি সামনে আসার পরই যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের পক্ষে কিছুই জানানো হয়নি।
অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারত বাংলাদেশের দিনাজপুর সীমান্ত ও ভোমরা ঘোজাডাঙা সীমান্তে এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরো ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক।
পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক বাংলাদেশি নাগরিককে। আটককৃতে ওই ব্যক্তির নাম পঞ্চানন পাল। তিনি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গা থানার বাসিন্দা। ভারতে তিনি পরিচয় বদল করে রূপায়ণ পাল নামে বসবাস করছিলেন বলে অভিযোগ। তার কাছ থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছাড়াও ভারতের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও এমনকি ভারতীয় পাসপোর্ট পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে।
একইদিনে ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময়ে ঘোজাডাঙ্গা ভোমরা সীমান্তের কাছে সরুপনগর এলাকার তারালি সীমান্ত থেকে বিএসএফের ১৪৩নম্বর ব্যাটালিয়নের হাতে আটক হয়েছেন আরো বাংলাদেশি নাগরিক।
সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে আটকের পর তাদের স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশু, তিনজন পুরুষ ও চারজন নারী। এর সবাই বাংলাদেশের সাতক্ষীরা এবং খুলনার বাগেরহাটের বাসিন্দা।
সুচরিতা/শাহেদ