পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে ‘বড় ভাইয়ের’ অস্ত্রের আঘাতে নারী নিহত
Published: 23rd, July 2025 GMT
যশোর সদর উপজেলার সুজলপুর গ্রামে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে শারমিন আক্তার (২৯) নামের এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন। পরিবারের অভিযোগ, বড় ভাইয়ের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত হয়েছেন তিনি। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার সুজলপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
শারমিন আক্তার যশোর সদর উপজেলার সুজলপুর গ্রামের শিমুল হোসেনের স্ত্রী। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম খোকন। তিনি শারমিনের ভাই ও একই এলাকার বাসিন্দা। ঘটনার পর থেকে খোকন পলাতক।
পুলিশ ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সূত্রে জানা গেছে, সুজলপুর গ্রামে শিমুল ও শারমিন দম্পতি একটি ভাড়া বাড়িতে থাকেন। পাশেই পরিবার নিয়ে বসবাস করেন শারমিনের বড় ভাই খোকন মোল্লা। সম্প্রতি খোকনের কাছ থেকে শিমুল দুই হাজার টাকা ধার নেন। আজ সকালে সেই টাকা নিয়ে খোকনের স্ত্রী সালেহা বেগমের সঙ্গে শারমিনের কথা–কাটাকাটি হয়। পরে শিমুল ও খোকনও এই দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন। উত্তেজনার একপর্যায়ে ঘরে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে শিমুলকে আঘাত করতে যান খোকন। এ সময় অস্ত্রের সামনে গিয়ে দাঁড়ান শারমিন। তাৎক্ষণিকভাবে অস্ত্রের আঘাতটি শারমিনের গলায় লাগে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে শারমিনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
হাসপাতালটির জরুরি বিভাগের চিকিৎসক বিচিত্র মল্লিক জানান, শারমিনের গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতটি গুরুতর ছিল। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
শারমিনের স্বামী শিমুল হোসেন বলেন, ধারের টাকা পরিশোধ করা নিয়েই ঝগড়ার সূত্রপাত। একপর্যায়ে খোকন তাঁর স্ত্রীর পক্ষ নিয়ে শারমিনের গলায় আঘাত করেন। এতে শারমিন নিহত হন।
যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি আবুল হাসনাত খান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবেই আমরা জানতে পেরেছি, দুই হাজার টাকা দেনা-পাওনা নিয়ে দুই ভাই–বোনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। একপর্যায়ে ভগ্নিপতিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করতে গেলে বোনের গলায় লেগে যায়। এতে তাঁর বোন শারমিন নিহত হন। লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স জলপ র গ র ম ন র গল য়
এছাড়াও পড়ুন:
১০ টাকায় ইলিশ বিতরণ, জনতার চাপে ‘মাফ চেয়ে’ এলাকা ছাড়ালেন ‘এমপি প্রার্থী’
ফরিদপুরে সদরপুর উপজেলায় মাত্র ১০ টাকায় ইলিশ মাছ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন রায়হান জামিল নামের এক ব্যক্তি। কিন্তু বিতরণের জন্য যে পরিমাণ মাছ তিনি এনেছিলেন, তার থেকে লোকসংখ্যা কয়েক গুণ বেশি হয়। সবাইকে মাছ দিতে না পেরে জনতার বিক্ষোভের মুখে কোনোরকমে এলাকা ছাড়েন তিনি।
আজ বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার বিশ্ব জাকের মঞ্জিল সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে। তিনি ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর ৪ আসনের একজন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে এলাকায় তৎপরতা চালাচ্ছিলেন। এরই অংশ হিসেবে ‘জনগণের মন জয় করার জন্য’ তিনি ১০ টাকায় ইলিশ মাছ বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রায়হান জামিল ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী’ পরিচয় দিয়ে সপ্তাহখানেক আগে সদরপুরের বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার সাঁটান। তাতে তিনি লেখেন, ১০ টাকায় ইলিশ মাছ দেবেন। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বিশ্ব জাকের মঞ্জিল উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এই ইলিশ দেওয়ার কথা। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মঙ্গলবার সকাল থেকে শত শত মানুষ জাকের মঞ্জিল উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ভিড় জমান। বিতরণ শুরুর একপর্যায় মাছ ফুরিয়ে যায়। তখন মাছ নিতে না পারা লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে রায়হান জামিল পালিয়ে আত্মরক্ষা করেন।
‘স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী’ পরিচয়ে ১০ টাকায় ইলিশ বিতরণ করতে যাওয়া রায়হান জামিল