সাবেক প্রধান বিচারপতি ও আইন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান এ বি এম খায়রুল হক পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে বিধিবহির্ভূতভাবে একটি প্লট গ্রহণ করেছেন—এমন অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এবং কর কমিশনারের কার্যালয়ে চিঠি পাঠিয়ে সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র তলব করেছে সংস্থাটি।

দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, অভিযোগের যথাযথ অনুসন্ধানের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট নথিপত্র চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুদকের এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, রাজউক ও গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কিছু অসাধু কর্মকর্তার সহযোগিতায় সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক একটি প্লট গ্রহণ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সেটির প্রাথমিক যাচাই করতে রেকর্ডপত্র চাওয়া হয়েছে।

অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দুদকের উপপরিচালক মনিরুল ইসলামকে প্রধান করে সাত সদস্যের একটি তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে। দলের অন্য সদস্যরা হলেন সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত, মুবাশ্বিরা আতিয়া, এস এম রাশেদুল হাসান, এ কে এম মুর্তুজা আলী সাগর, মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম এবং উপসহকারী পরিচালক মো.

আবদুল্লাহ আল মামুন।

দুদকের পাঠানো চিঠিতে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ২১ সেপ্টেম্বর ২০১০ তারিখের স্মারক নম্বর (রাজ-৫/২০০৫/৪৮৫) অনুযায়ী সাবেক প্রধান বিচারপতির প্লট বরাদ্দসংক্রান্ত মূল পত্র ও সংশ্লিষ্ট নথির (নোটশিটসহ) ফটোকপি চাওয়া হয়েছে। একইভাবে রাজউক বরাবর পাঠানো চিঠিতে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের সেক্টর-১, রোড-১০২, প্লট নং-৪, কোড নং-৮৫১১-এর বরাদ্দসংক্রান্ত নথিপত্রও তলব করা হয়েছে।

আরও পড়ুনসাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক ঢাকায় আটক৭ ঘণ্টা আগে

এ ছাড়া উপকর কমিশনারের কার্যালয়ে পাঠানো চিঠিতে খায়রুল হকের আয়কর রিটার্ন ও সংযুক্ত দলিলপত্রের (শুরু থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত) কপি চাওয়া হয়েছে।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে উপরোক্ত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করা একান্ত প্রয়োজন। জরুরি ভিত্তিতে এসব রেকর্ডের ফটোকপি সরবরাহ করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিতে অনুরোধ জানানো হলো।’ অনুসন্ধানের সময়সীমা সীমিত হওয়ায় দ্রুত রেসপন্স দেওয়ার অনুরোধও জানানো হয়।

এর আগে আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) খায়রুল হককে রাজধানীর ধানমন্ডির একটি বাসা থেকে আটক করে। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। দুর্নীতি ও রায় জালিয়াতির অভিযোগে গত ২৭ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেন। এর আগে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানায় একই ধরনের অভিযোগে আরেকটি মামলা করেন স্থানীয় বিএনপি নেতা ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি আবদুল বারী ভূঁইয়া।

উল্লেখ্য, এ বি এম খায়রুল হক বাংলাদেশের ১৯তম প্রধান বিচারপতি ছিলেন। তাঁর সময়ে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল নিয়ে দেওয়া রায় পরে বিতর্কিত হয়। সেই রায় নিয়েও মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ রয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র কর ড র চ লক

এছাড়াও পড়ুন:

সিডনিতে তিন তারকার হলো দেখা

দূর প্রবাসের ব্যস্ত জীবনে হঠাৎ দেশের চেনা মুখের দেখা মিলে গেলে সেটি কেবল একটি সাধারণ সাক্ষাৎ থাকে না। বরং হয়ে ওঠে দেশের স্মৃতি টেনে আনা এক মুহূর্ত, হয়ে ওঠে একটুকরো বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। এমনই এক দৃশ্যের অবতারণা হলো গত শনিবার অস্ট্রেলিয়ার সিডনির এডমন্ডসন পার্ক মলে।

বাংলাদেশের তিন অঙ্গনের তিন পরিচিত মুখ—ক্রিকেটার ইমরুল কায়েস, গায়ক তাহসান খান ও অভিনেতা মাজনুন মিজান সেখানে হঠাৎ একত্র হলেন। ব্যস্ত নগরের ভিড়ে এই তিন তারকার দেখা হয়ে গেল এক ‘অপ্রত্যাশিত’ আড্ডায়।

তিন ভুবনের তারকারা
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক ওপেনার ইমরুল কায়েস সম্প্রতি পরিবার নিয়ে সিডনিতে স্থায়ী হয়েছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে বহু স্মরণীয় ইনিংস খেলা এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান এখন নতুন করে জীবনের আরেক অধ্যায় শুরু করেছেন অস্ট্রেলিয়ায়। অভিনেতা মাজনুন মিজানও অনেক দিন ধরেই পরিবার নিয়ে সিডনিতে বসবাস করছেন।

ছোট পর্দার জনপ্রিয় এই অভিনেতা দেশে অসংখ্য নাটকে অভিনয় করেছেন। নাট্যাঙ্গনের পরিচিত মুখ হলেও সিডনিতে তিনি অনেকটা পর্দার আড়ালেই থাকেন, তবু প্রবাসী বাঙালিদের কাছে তিনি প্রিয়জন।
অন্যদিকে গায়ক ও অভিনেতা তাহসান খান ছিলেন সফররত। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন শহরে কনসার্ট করছেন তিনি। ব্রিসবেন ও অ্যাডিলেডে সফল শো শেষে সিডনির কনসার্টেও হাজারো দর্শকের মন জয় করেছেন। এরপর সামনে রয়েছে মেলবোর্ন ও পার্থে তাঁর পরিবেশনা। সিডনিতে সফল কনসার্টের রেশ এখনো কাটেনি, এরই মধ্যে ঘটে গেল এই মিলন।

সিডনিতে গাইছেন তাহসান

সম্পর্কিত নিবন্ধ