ম্যাচটার প্রতি বাড়তি আকর্ষণ ছিল দুটি কারণে।
প্রথমত, বাংলাদেশের সামনে পাকিস্তানকে টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবারের মতো ধবলধোলাই করার হাতছানি, তা–ও তিন ম্যাচের সিরিজে। টি-টোয়েন্টিতে সিরিজ জয়ও এবারই তাদের বিপক্ষে প্রথম। সেটিকে ধবলধোলাইয়ে অনূদিত করা গেলে তো একেবারে সোনায় সোহাগা!
দ্বিতীয়ত, পুরো এশিয়ার ক্রিকেটই কাল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দর্শক হয়েছিল এ ম্যাচের। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) বার্ষিক সভা শেষে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল থেকে বাসে চড়ে এসিসির সদস্যরা মাঠে আসেন, এসিসির প্রধান মহসিন নাকভি আসেন ভিন্ন গাড়িতে। দর্শক হয়ে তাঁরা দেখেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের তুমুল জনপ্রিয়তা। এসিসির সদস্যদের সঙ্গে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের প্রেসিডেন্ট বক্সে বাড়তি আকর্ষণ ছিলেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলামের আমন্ত্রণে খেলা দেখতে আসা এসিসির সাবেক প্রধান নির্বাহী ও বিসিবির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল হক। আগের রাতে এসিসির নৈশভোজেও আমিনুলের আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন তিনি।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের প্রেসিডেন্ট বক্স থেকে বাংলাদেশ–পাকিস্তান শেষ টি–টোয়েন্টি উপভোগ করেছেন এসিসি ও পিসিবি প্রধান মহসিন নাকভি.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এস স র
এছাড়াও পড়ুন:
নিউজিল্যান্ডের কাছে ধবলধোলাই ইংল্যান্ড, গড়ল বিব্রতকর রেকর্ডও
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজে শেষ ওয়ানডেতেও হারল ইংল্যান্ড। ওয়েলিংটনে আজ আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নিউজিল্যান্ডকে ২২৩ রানের লক্ষ্য দিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তুলেছিল ইংল্যান্ড।
শেষ পর্যন্ত দুই কিউই পেসার জাকারি ফোকস ও ব্লেয়ার টিকনারের ব্যাটে ২ উইকেটের জয় তুলে নেয় নিউজিল্যান্ড। এই জয়ে ওয়ানডে সিরিজে ইংল্যান্ডকে ধবলধোলাই (৩–০) করল নিউজিল্যান্ড। ওয়ানডেতে এ নিয়ে ইংল্যান্ডকে দ্বিতীয়বার ধবলধোলাই করল কিউইরা। প্রথম ধবলধোলাই করেছিল ১৯৮৪ সালে।
হারের এই ম্যাচে বিব্রতকর এক রেকর্ডও গড়েছে ইংল্যান্ড। এই সিরিজে তিন ম্যাচ মিলিয়ে ইংল্যান্ডের প্রথম চার ব্যাটসম্যান মিলে মাত্র ৮৪ রান করেছেন। পুরুষদের ওয়ানডে সিরিজে বা টুর্নামেন্টে (যেখানে অন্তত তিনটি ইনিংসে ব্যাটিং করেছে) কোনো দলের প্রথম চার ব্যাটসম্যানের এটাই সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড। আগের রেকর্ডটি ছিল ১৯৮৮ এশিয়া কাপে, বাংলাদেশের প্রথম চার ব্যাটসম্যান মিলে করেছিলেন ৮৯ রান।
তাড়া করতে নেমে নিউজিল্যান্ড ভালো শুরু পেয়েছিল। ১২.৫ ওভারে ৭৮ রানের জুটি গড়েন দুই ওপেনার ডেভন কনওয়ে ও রাচিন রবীন্দ্র। দুর্ভাগ্যজনকভাবে কনওয়ে ৩৪ রানে রানআউট হলে জুটিটি ভাঙে। রবীন্দ্রর শট বোলার জেমি ওভারটনের হাতে লেগে নন স্ট্রাইকের স্টাম্পে লাগে। তখন কনওয়ে ছিলেন ক্রিজের বাইরে। একইভাবে আউট হয়েছেন টম ল্যাথামও। দুটি রানআউট এবং ওভারটন ও স্যাম কারেনের দারুণ বোলিংয়ে একটা সময়ে ম্যাচে এগিয়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ড।
আরও পড়ুনরেকর্ড গড়া বাবরের রান পাকিস্তানের জয়ে কাজে লাগে না—কথাটি কতটুকু সত্য৩ ঘণ্টা আগেনিউজিল্যান্ডের ১৯৬ রানে ৮ উইকেট তুলে নিয়েছিল ইংল্যান্ড। অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে ড্যারিল মিচেল আউট হলে ম্যাচ ইংল্যান্ডের দিকেই হেলে পড়ে। তবে নবম উইকেটে দুই পেসার ফোকস ও টিকনারের ৩৭ বলে অবিচ্ছিন্ন ৩০ রানের জুটিতে শেষ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডই জয় পায়। ২টি করে উইকেট নেন ওভারটন ও কারেন।
শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ড জিতল ২ উইকেটে