প্রযোজককে অভিনেত্রীর জুতাপেটা (ভিডিও)
Published: 27th, July 2025 GMT
প্রেক্ষাগৃহে অনেক মানুষের জটলা। পাশেই দাঁড়িয়ে তর্ক করছেন মডেল-অভিনেত্রী রুচি গুজ্জার। এক পর্যায়ে পায়ের জুতা খুলে পরিচালক-প্রযোজক করন সিংকে পেটাতে শুরু করেন এই অভিনেত্রী। উপস্থিত অন্যরা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন, শান্ত করেন অভিনেত্রীকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একাধিক ভিডিও ক্লিপে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত শুক্রবার (২৫ জুলাই) মুম্বাইয়ের একটি প্রেক্ষাগৃহে হিন্দি ক্রাইম-থ্রিলার ঘরানার ‘সো লং ভ্যালি’ সিনেমার প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত হয়। এ চলচ্চিত্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পরিচালক-প্রযোজক করণ সিংয়েন মুখোমুখি হন রুচি গুজ্জার। এক পর্যায়ে পায়ের জুতা খুলে তা দিয়ে করনকে পেটাতে শুরু করেন রুচি।
একটি টিভি অনুষ্ঠানের সহপ্রযোজক হিসেবে ২৩ লাখ রুপি বিনিয়োগ করেন রুচি গুজ্জার। আর এই অর্থ করন সিংকে দিয়েছেন তিনি। কিন্তু সেই প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়নি। এমনকী রুচির অর্থও ফেরত দেননি পরিচালক করন।
আরো পড়ুন:
আহান পান্ডে ঝড়: ৯ দিনে আয় প্রায় ৪০০ কোটি টাকা
‘স্বামী ক্যারিয়ার গড়লে, স্ত্রীকে সন্তান লালনপালন করতে হবে’
মুম্বাই পুলিশের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, গত ২৪ জুলাই ওশিওয়ারা থানায় করনের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দায়ের করেছেন রুচি গুজ্জার।
রুচি গুজ্জারের আইনজীবী জানিয়েছেন, হামলার অভিযোগে আম্বোলি থানায় করন সিংয়ের বিরুদ্ধে পৃথক আরেকটি মামলা দায়ের করা হবে।
‘সো লং ভ্যালি’ সিনেমা পরিচালনা করেছেন মান সিং। এর সহপ্রযোজক হিসেবে রয়েছেন করন সিং। সিনেমাটির পরিচালক এ বিষয়ে জানান, ‘সো লং ভ্যালি’ সিনেমা যাতে মুক্তি না পায়, সেই চেষ্টা করছেন রুচি। কিন্তু আদালত আমাদের কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক করন স
এছাড়াও পড়ুন:
নেত্রকোনায় ছেলের লাঠির আঘাতে বাবার মৃত্যু
নেত্রকোনার মদনে ছেলের লাঠির আঘাতে মোস্তফা মিয়া (৬৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার মাঘান ইউনিয়নের ঘাটুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মোস্তফা মিয়া ঘাটুয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি কৃষিকাজ করতেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মোস্তফা মিয়ার ছেলে সাজ্জাদ মিয়া (২৫) দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন। তিনি কখনো বাড়িতে থাকতেন, কখনো বাড়ি ছেড়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতেন।
গতকাল সন্ধ্যার পর সাজ্জাদ বাড়িতে ফেরেন। রাতের খাবার শেষে মোস্তফা মিয়া নিজ ঘরে শুয়ে পড়লে হঠাৎ সাজ্জাদ ঘরে ঢুকে লাঠি দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান মোস্তফা মিয়া।
খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন সাজ্জাদকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে মোস্তফা মিয়ার লাশ উদ্ধার করে এবং সাজ্জাদকে থানায় নিয়ে যায়।
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুল আলম শাহ বলেন, সাজ্জাদ মানসিক ভারসাম্যহীন বলে পরিবার ও এলাকাবাসী জানিয়েছেন। তাঁকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ আজ রোববার সকালে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।