প্রেক্ষাগৃহে অনেক মানুষের জটলা। পাশেই দাঁড়িয়ে তর্ক করছেন মডেল-অভিনেত্রী রুচি গুজ্জার। এক পর্যায়ে পায়ের জুতা খুলে পরিচালক-প্রযোজক করন সিংকে পেটাতে শুরু করেন এই অভিনেত্রী। উপস্থিত অন্যরা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন, শান্ত করেন অভিনেত্রীকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একাধিক ভিডিও ক্লিপে এমন দৃশ্য দেখা যায়।  

এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত শুক্রবার (২৫ জুলাই) মুম্বাইয়ের একটি প্রেক্ষাগৃহে হিন্দি ক্রাইম-থ্রিলার ঘরানার ‘সো লং ভ্যালি’ সিনেমার প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত হয়। এ চলচ্চিত্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পরিচালক-প্রযোজক করণ সিংয়েন মুখোমুখি হন রুচি গুজ্জার। এক পর্যায়ে পায়ের জুতা খুলে তা দিয়ে করনকে পেটাতে শুরু করেন রুচি।  

একটি টিভি অনুষ্ঠানের সহপ্রযোজক হিসেবে ২৩ লাখ রুপি বিনিয়োগ করেন রুচি গুজ্জার। আর এই অর্থ করন সিংকে দিয়েছেন তিনি। কিন্তু সেই প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়নি। এমনকী রুচির অর্থও ফেরত দেননি পরিচালক করন।  

আরো পড়ুন:

আহান পান্ডে ঝড়: ৯ দিনে আয় প্রায় ৪০০ কোটি টাকা

‘স্বামী ক্যারিয়ার গড়লে, স্ত্রীকে সন্তান লালনপালন করতে হবে’

মুম্বাই পুলিশের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, গত ২৪ জুলাই ওশিওয়ারা থানায় করনের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দায়ের করেছেন রুচি গুজ্জার।  

রুচি গুজ্জারের আইনজীবী জানিয়েছেন, হামলার অভিযোগে আম্বোলি থানায় করন সিংয়ের বিরুদ্ধে পৃথক আরেকটি মামলা দায়ের করা হবে।  

‘সো লং ভ্যালি’ সিনেমা পরিচালনা করেছেন মান সিং। এর সহপ্রযোজক হিসেবে রয়েছেন করন সিং। সিনেমাটির পরিচালক এ বিষয়ে জানান, ‘সো লং ভ্যালি’ সিনেমা যাতে মুক্তি না পায়, সেই চেষ্টা করছেন রুচি। কিন্তু আদালত আমাদের কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। 

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক করন স

এছাড়াও পড়ুন:

বৃষ্টিস্নাত রমনায় সবুজের উল্লাস

রমনা উদ্যানের গাছগুলো বৃষ্টিতে ভিজছে, ভিজছে মাটি ও মাটির ওপরের ঘাসগুলো। বর্ষায় রমনার রূপ হয় দেখার মতো। চারদিকে কেবল সবুজ আর সবুজ। বসন্তের মতো ফুল নেই তো কী হয়েছে? আছে শ্যামল রূপ, আছে অপার স্নিগ্ধতা। বুকভরে ধুলাহীন নিশ্বাস নেওয়ার অবকাশ, প্রকৃতির উদার আমন্ত্রণ।

‘পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে’ ঢাকার রমনা পার্কের গাছের পাতাগুলো এখন আরও সবুজ। টলটলে জলের নয়নাভিরাম ঝিলটা টইটম্বুর। ধুলাময়লাহীন পায়ে চলার পথ। আর গাছের পাতার ফাঁকে রয়েছে অজস্র ফুল। কোনোটা লাল, কোনোটা বেগুনি আবার কোনোটা সাদা। বৃষ্টির মধুর আশকারা পেয়ে রমনা পার্কে এখন সবুজের উল্লাস।

এই পার্কটিকে ঢাকার ফুসফুস বলা হয়। এর যথেষ্ট কারণ আছে অবশ্য। এ রকম প্রগাঢ় নিরেট সবুজ এ শহরে কমই আছে। রমনা তাই ঢাকার জনজীবনের স্পন্দন। এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।

সম্প্রতি ‘বৃষ্টি নেশাভরা’ এক বিকেলে অরুণোদয় ফটক দিয়ে রমনা পার্কে প্রবেশ করলাম। অনেকে শরীরচর্চায় ব্যস্ত। কেউ দল বেঁধে করছেন, কেউ একাকী। কোনো দল ব্যায়াম করে ভোরে, কেউ আবার বিকেলে বা সন্ধ্যায়। আবার অনেকে আছেন দুই বেলাই হাঁটাহাঁটি করেন। হাঁটা সেরে কেউ কেউ লেকের পাশে এসে দুদণ্ড জিরিয়ে নেন। লেকে চলছিল বোট।

বর্ষার ফুলের উৎসব

বর্ষা এলেই রমনা পার্ক যেন রঙের নতুন ভাষা শেখে। আমাদের ঋতুচক্র অনুযায়ী, বসন্ত ও গ্রীষ্মকালেই এ দেশে ফোটে অধিকাংশ ফুল। তবে বর্ষারও নিজস্ব কিছু ফুল আছে, আর গ্রীষ্মের কিছু ফুল টিকে থাকে বর্ষা পর্যন্ত। সেদিন রমনায় গিয়ে এমনই কিছু ফুল চোখে পড়ল—বৃষ্টিভেজা পাতার ফাঁকে তাদের রং যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। মনে হলো, প্রকৃতির এই নিঃশব্দ উৎসবেও কত কথা লুকিয়ে থাকে!

রমনার গোলাপবিথি সেদিন দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ কাড়ছিল। সারি সারি ঝোপে ফুটে আছে হরেক রঙের গোলাপ—লাল, সাদা, হলুদ, কমলা, গাঢ় গোলাপি। বর্ষার ভেজায় যেন আরও সতেজ, আরও তাজা হয়ে উঠেছে প্রতিটি পাপড়ি। নরম আলো আর বৃষ্টিজলে ভেজা ফুলগুলোর সৌন্দর্য মোহিত করেছে পথচলার মানুষকে। কেউ থেমে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন—মুঠোফোনে বন্দী হচ্ছে বর্ষার রঙিন রমনা।

এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ