ক্ষমতার অপব্যবহার করে যোগ্যদের ফেল করিয়ে অযোগ্যদের নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুকৃবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রহমান খানসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রবিবার (২৭ জুলাই) দুদকের খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সুমিত্রা সেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে অযোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়া, যোগ্যপ্রার্থীদের বঞ্চিত করা এবং ভুয়া নথিপত্র তৈরির অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলার বিষয়টি রবিবার রাতে নিশ্চিত করেছেন দুদক সমন্বিত খুলনা জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো.

আবদুল ওয়াদুদ।

আরো পড়ুন:

হুমকি দেওয়া নিয়ে ইবিতে সহ-সমন্বয়ক ও শিক্ষার্থীর পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

ডিপিপির দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি রবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

মামলার আসামিরা হলেন- সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রহমান খান, সাবেক রেজিস্ট্রার খন্দকার মাজহারুল আনোয়ার, বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা কর্মকর্তা মো. জসীম উদ্দীন, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মুরাদ বিল্লাহ, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার টাইপিস্ট আনিসুর রহমান রিন্টু, প্রশাসনিক কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ, খায়রুল বাসার রিয়াজ, কম্পিউটার অপারেটর মো. মাসুদ রানা, শাহরীন ইসলাম মীম, ল্যাব টেকনিশিয়ান রীনা খাতুন, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার টাইপিস্ট এ বি এম আরিফুল ইসলাম তুরান, মো. শহিদুল ইসলাম, ল্যাব অ্যাটেনডেন্ট মো. আসিফ আহমেদ, দিদারুল আলম, মো. হাবিবুর রহমান, অফিস সহায়ক মো. ওয়াহিদুজ্জামান ও আছিয়া খাতুন।

এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিয়োগের শর্ত ভঙ্গ করেছেন। পাস না করা প্রার্থীদের পাস করিয়ে তা দেখানো হয়েছে। আবার কাগজপত্রে ভুয়া স্বাক্ষর ও সুপারিশ যুক্ত করা হয়েছে। ফলে যোগ্যপ্রার্থীরা নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে অবৈধভাবে চাকরি দিয়ে আসামিরা রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও জনস্বার্থের পরিপন্থি কাজ করেছেন।

এজাহারে আরো বলা হয়েছে, মামলার প্রধান আসামি অধ্যাপক ড. শহীদুর রহমান খান ছাড়াও আসামিদের মধ্যে রয়েছেন নিয়োগ পাওয়া রেজিস্ট্রার, কয়েকজন কর্মকর্তা, সহকারী, ল্যাব টেকনিশিয়ান ও অফিস সহায়ক। মামলায় অবৈধভাবে পাস করিয়ে যোগ্যপ্রার্থীকে নিয়োগ না দিয়ে অযোগ্য প্রার্থী হিসাবে ৩ নম্বর থেকে ১৭ নম্বর আসামিদের নিয়োগ দিয়ে দন্ডবিধি ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

দুদক সমন্বিত খুলনা জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আবদুল ওয়াদুদ বলেন, “অভিযোগের তদন্ত শেষে প্রধান কার্যালয় থেকেই মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।”

২০২৩ সালের ১৩ মার্চ বিশ্বব্যিালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রহমান খানের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং সাবেক রেজিস্ট্রার খন্দকার মাজহারুল আনোয়ারের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে মামলা করেন সাবেক উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ)। এ মামলায় ওই বছরের ৮ মে খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুস সালাম খান ড. মো. শহীদুর রহমান খানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

ঢাকা/নুরুজ্জামান/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আস ম স ব ক উপ চ র য কর মকর ত সহক র সমন ব

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ