বাংলাদেশ পুলিশের ঊর্ধ্বতন ১৮ কর্মকর্তাকে বদলি করেছে সরকার। রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

উপসচিব মো. মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অতিরিক্ত আইজি আবু হাসান মুহাম্মদ তারিককে (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণায়ের জননিরাপত্তা বিভাগে বদলি করা হয়েছে।

এ ছাড়া অতিরিক্ত ডিআইজি মো.

সারোয়ার জাহানকে ঢাকার পুলিশ অধিদপ্তরে, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সফিজুল ইসলামকে অতিরিক্ত ডিআইজি হিসেবে চট্টগ্রাম রেঞ্জে, অতিরিক্ত ডিআইজি এস এম আশরাফুজ্জামানকে সারদায়, অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ জাবেদুর রহমানকে সারদায়, অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আজিজুল ইসলামকে ঢাকা পুলিশ অধিদপ্তরে, অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিনকে ঢাকা পুলিশ অধিদপ্তরে, অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত মো. শহিদ উল্লাহকে পুলিশ সুপার নৌ পুলিশ, অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত মো. সাইফুল হককে পুলিশ সুপার রেলওয়ে বদলি করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার আ ফ ম আনোয়ার হোসেন খানকে উপ–পুলিশ কমিশনার ডিএমপি, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহকে পুলিশ সুপার হাইওয়ে, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলমকে উপ-পুলিশ কমিশনার ডিএমপি, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাহেদ মিয়াকে সিআইডিতে, পুলিশ সুপার মো. জিয়াউদ্দিন আহম্মেদকে উপ-পুলিশ কমিশনার চট্টগ্রাম, উপ-পুলিশ কমিশনার মো. আবু তারেককে পুলিশ সুপার সিআইডি, পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত মো. জহুরুল হককে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পিআইবিতে, পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত এ কে এম মনিরুল ইসলামকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পিআইবিতে এবং পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত ফাল্গুনী নন্দীকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এপিবিএন-এ বদলি করা হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম হ ম মদ

এছাড়াও পড়ুন:

গাজীপুরে বকেয়া বেতন ও কারখানা চালুর দাবিতে ঢাকায় শ্রমিকদের ‘ভুখা মিছিল’

গাজীপুরে বন্ধ হয়ে যাওয়া উইনটেক্স গ্লোভস কারখানা পুনরায় চালু ও শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে আন্দোলনের ১৭তম দিনে রাজধানীতে ভুখা মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শ্রমিকেরা।

মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বিজয়নগরের শ্রম ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি পল্টন, প্রেসক্লাব, বিজয়নগর হয়ে পুনরায় শ্রম ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন আন্দোলনরত শ্রমিকেরা।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক কাজী মো. রুহুল আমিন বলেন, ১৫ জুন বেআইনিভাবে কারখানা বন্ধ করা হয়। পরদিন ১৬ জুন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের ডিআইজি, জেলা প্রশাসক এবং পরে শ্রম উপদেষ্টা ও শ্রমসচিবকে দুইবার লিখিতভাবে বিষয়টি জানিয়ে প্রতিকার চাওয়া হয়। আজ (বুধবার) ১৭তম দিন যাবৎ শ্রম ভবনের সামনে অবস্থান আন্দোলনের পর অদ্যাবধি তাঁরা কোনো উদ্যোগ নেননি, এমনকি শ্রমিকদের সাথে কথাও বলেননি, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

কাজী মো. রুহুল আমিন আরও বলেন, শ্রম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে শ্রমিকদের সুসম্পর্কের পরিবর্তে মুখোমুখি দাঁড়ানো কারও জন্যই মঙ্গল বয়ে আনবে না।

সমাবেশে অন্য বক্তারা বলেন, অতীতের সরকারগুলোর মতো বর্তমান সরকার যদি মালিক পুষে শ্রমিক মারার পথ অনুসরণ করে, তাহলে এর পরিণতি হবে ভয়াবহ।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উইনটেক্স গ্লোভস শ্রমিক-কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের সমন্বয়ক মো. তুহিন এবং সঞ্চালনা করেন শ্রমিকনেতা জালাল হাওলাদার। আরও বক্তব্য দেন শ্রমিকনেতা মুর্শিকুল ইসলাম শিমুল, সেকেন্দার হায়াত, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ