গতির ঝড়ে সব এলোমেলো করে দিলেন ব্র্যাড পিট
Published: 28th, July 2025 GMT
বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ও চমকপ্রদ খেলাগুলোর একটি—ফর্মুলা ওয়ান। এই ফর্মুলা ওয়ানের দুনিয়াকে এবার পর্দায় তুলে ধরেছেন পরিচালক জোসেফ কোসিনস্কি। যাঁরা ফর্মুলা ওয়ান রেসের খুব একটা ভক্ত নন, তাঁরাও সিনেমাটি দেখে মুগ্ধ হবেন। দৈর্ঘ্য আড়াই ঘণ্টার বেশি, অথচ পর্দা থেকে চোখ ফেরাতে পারবেন না। ইঞ্জিনের গর্জন, টায়ারের ঘর্ষণ, ফর্মুলা ওয়ানের রেসিং ট্র্যাক, দুর্দান্ত ক্যামেরার কাজ আর অতি অবশ্যই আবহসংগীত সিনেমার শুরু থেকেই দর্শকদের আটকে ফেলে। একদিকে রেসের উত্তেজনা, অন্যদিকে আবেগের উত্থান-পতন মিলিয়ে দারুণ এক উপভোগ্য জার্নি ‘এফ ওয়ান’।
একনজরেসিনেমা: ‘এফ ওয়ান’
ধরন: স্পোর্টস, ড্রামা
পরিচালক: জোসেফ কোসিনস্কি
সময়: ২ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট
অভিনয়: ব্র্যাড পিট, ড্যামসন ইদ্রিস, হাভিয়ের বারদেম, কেরি কনডন।
২০২২ সালে ‘টপ গান: ম্যাভেরিক’ সিনেমায় দর্শকদের যুদ্ধবিমানের অভিজ্ঞতা দিয়েছিলেন পরিচালক। আকাশ থেকে এবার মাটিতে নেমে এসেছেন তিনি। ফর্মুলা ওয়ানের খোলা ককপিটে বসিয়ে এবার দিলেন গতির সঙ্গে রোমাঞ্চকর উত্তেজনা। গল্পের ধাঁচ অনেকটা নেটফ্লিক্সের তথ্যচিত্র ‘ফর্মুলা ওয়ান: ড্রাইভ টু সারভাইভ’ থেকে অনুপ্রাণিত। গল্প লিখেছেন এহরেন ক্রুগার। চিত্রনাট্য এহরেন ও জোসেফ—দুজন মিলে লেখা। আর প্রযোজকদের একজন ছিলেন ফেরারির হয়ে সাতবারের ফর্মুলা ওয়ান চ্যাম্পিয়ন লুইস হ্যামিল্টন। প্রযোজক নিজেই যখন ফর্মুলা ওয়ান চ্যাম্পিয়ন, তখন এ সিনেমায় খেলাটা কতটা সূক্ষ্মভাবে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে, তা বলাই বাহুল্য।
৩০ বছর আগে দুর্ঘটনায় ফর্মুলা ওয়ানের রেস থেকে ছিটকে পড়েন সনি হেইস (ব্র্যাড পিট)। একসময়ের প্রতিভাবান রেসার এখন ভবঘুরে আর পাঁড় জুয়াড়ি। নিউইয়র্কে মাঝেমধ্যে তাঁকে ট্যাক্সি চালাতেও দেখা যায়। কিন্তু স্টিয়ারিং হুইল হাতে পেলে এখনো হয়ে ওঠেন বেপরোয়া। ঘুম থেকে উঠেই চলে যান ডেটোনা সার্কিটে, সেখানে অংশ নেন ২৪ ঘণ্টার রেসে। গাড়ির সিটে বসার পর শূন্য থেকে যখন নিমেষেই গাড়ির স্পিড ১৮০–তে উঠে যায়, তখন দর্শকেরাও যেন সেই সেকেন্ড থেকে ঢুকে পড়েন রেসিংসের টান টান উত্তেজনার দুনিয়ায়।
‘এফ ওয়ান’–এ ব্র্যাড পিট। ছবি: আইএমডিবি.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফর ম ল
এছাড়াও পড়ুন:
সিডনিতে তিন তারকার হলো দেখা
দূর প্রবাসের ব্যস্ত জীবনে হঠাৎ দেশের চেনা মুখের দেখা মিলে গেলে সেটি কেবল একটি সাধারণ সাক্ষাৎ থাকে না। বরং হয়ে ওঠে দেশের স্মৃতি টেনে আনা এক মুহূর্ত, হয়ে ওঠে একটুকরো বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। এমনই এক দৃশ্যের অবতারণা হলো গত শনিবার অস্ট্রেলিয়ার সিডনির এডমন্ডসন পার্ক মলে।
বাংলাদেশের তিন অঙ্গনের তিন পরিচিত মুখ—ক্রিকেটার ইমরুল কায়েস, গায়ক তাহসান খান ও অভিনেতা মাজনুন মিজান সেখানে হঠাৎ একত্র হলেন। ব্যস্ত নগরের ভিড়ে এই তিন তারকার দেখা হয়ে গেল এক ‘অপ্রত্যাশিত’ আড্ডায়।
তিন ভুবনের তারকারা
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক ওপেনার ইমরুল কায়েস সম্প্রতি পরিবার নিয়ে সিডনিতে স্থায়ী হয়েছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে বহু স্মরণীয় ইনিংস খেলা এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান এখন নতুন করে জীবনের আরেক অধ্যায় শুরু করেছেন অস্ট্রেলিয়ায়। অভিনেতা মাজনুন মিজানও অনেক দিন ধরেই পরিবার নিয়ে সিডনিতে বসবাস করছেন।
ছোট পর্দার জনপ্রিয় এই অভিনেতা দেশে অসংখ্য নাটকে অভিনয় করেছেন। নাট্যাঙ্গনের পরিচিত মুখ হলেও সিডনিতে তিনি অনেকটা পর্দার আড়ালেই থাকেন, তবু প্রবাসী বাঙালিদের কাছে তিনি প্রিয়জন।
অন্যদিকে গায়ক ও অভিনেতা তাহসান খান ছিলেন সফররত। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন শহরে কনসার্ট করছেন তিনি। ব্রিসবেন ও অ্যাডিলেডে সফল শো শেষে সিডনির কনসার্টেও হাজারো দর্শকের মন জয় করেছেন। এরপর সামনে রয়েছে মেলবোর্ন ও পার্থে তাঁর পরিবেশনা। সিডনিতে সফল কনসার্টের রেশ এখনো কাটেনি, এরই মধ্যে ঘটে গেল এই মিলন।