হবিগঞ্জ শহরের চৌধুরী বাজার এলাকায় আদালতের স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে উচ্ছেদ অভিযান চালানোর ঘটনায় সাবেক জেলা প্রশাসকসহ (ডিসি) চার কর্মকর্তাকে এক মাস করে সিভিল কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। 

রবিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে সিনিয়র সহকারী জজ তারেক আজিজ এ রায় ঘোষণা করেন।  

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- হবিগঞ্জের তৎকালীন জেলা প্রশাসক আতাউর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) একেএম আমিনুল ইসলাম, বানিয়াচং উপজেলার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ইউএনও নুরে আলম সিদ্দিকী এবং সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) সফিউল আলম।

আরো পড়ুন:

খাগড়াছড়িতে অস্ত্র মামলার আসামিকে ১৭ বছরের দণ্ড

হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিয়ে ফেরার পথে আদালতের সামনে হাতুড়ি পেটা

রায়ে বলা হয়েছে, মামলা নম্বর ১-৪/৬-১৩ এর ১ থেকে ৪ নম্বর বিবাদী আদালতের আদেশ থাকা সত্ত্বেও উপস্থিত হননি। তাই তাদের বিরুদ্ধে এক তরফা রায় দেওয়া হয়েছে। তারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবেদনকারীর জমি ফেরত না দিলে, আদালতের মাধ্যমে দখল বুঝিয়ে দেওয়ার অনুমতিও দেওয়া হয়।  

২০০৭ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি চৌধুরী বাজার (খোয়াই মুখ) এলাকায় আব্দুল হামিদের মালিকানাধীন জমিতে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। তখন সেখানে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ থাকলেও জেলা প্রশাসন ঘর ভেঙে জবরদখল করে বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ২০০৮ সালের ১০ আগস্ট আব্দুল হামিদ মামলা করেন।

দীর্ঘ ১৭ বছর পর এই মামলার রায়ে আদালত বলেছেন, তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি এবং সাজার কার্যকর করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে জমির প্রকৃত মালিক আব্দুল হামিদকে দখল বুঝিয়ে দিতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে (এসপি) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। আগামী ২১ দিনের মধ্যে আদালতে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। 

ঢাকা/মামুন/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

খাগড়াছড়িতে সাংবাদিক মিলন ত্রিপুরার ওপর হামলার অভিযোগ তদন্তের আহ্বান সিপিজের

খাগড়াছড়িতে সাংবাদিক মিলন ত্রিপুরার ওপর হামলার অভিযোগ তদন্ত করতে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় সোচ্চার বৈশ্বিক সংগঠন কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)। দোষীদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনতে হবে বলে উল্লেখ করেছে সংগঠনটি।

মঙ্গলবার সিপিজের এক টুইটে এ আহ্বান জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ডিবিসি নিউজের প্রতিনিধি মিলন ত্রিপুরা ১৭ জুলাই একটি বিক্ষোভের সংবাদ সংগ্রহ করছিলেন। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাঁকে মারধর করেন ও ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ মুছে ফেলতে বাধ্য করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ