সমন্বয়ক পরিচয়ে তদবির-হুমকি: যুবককে ২ মাসের কারাদণ্ড
Published: 28th, July 2025 GMT
সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নেতা ও জামায়াত ইসলামীর নেতা পরিচয়ে উপজেলা ভূমি অফিসে অনৈতিক তদবির ও তদবির না রাখায় সরকারি কর্মকর্তার অফিস ঘেরাও করার হুমকি দেয়ায় মাহবুবুর রহমানকে (৩২) গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে দুই মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সোমবার (২৮ জুলাই) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জয়নাল আবেদীন ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে মাহবুবুর রহমানকে কারাদণ্ড দেন। মাহবুবুর রহমান উপজেলার সাদীপুর ইউনিয়নের সাদীপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।
মাহবুবুর রহমান সম্প্রতি নিজেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় সমন্বয়ক নেতা ও জায়ামাত নেতা পরিচয় দিয়ে তার পরিবারের যৌথভূমির নামজারি করে দেয়ার জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সহ অন্যান্য কর্মকর্তার কাছে তদবির করে আসছিলেন। তদবির বাস্তবায়ন না করায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জয়নাল আবেদীনকে ছাত্রদের নিয়ে অফিস ঘেরাও করে ভাঙচুর করার হুমকি দেন। সোমবার (২৮ জুলাই) ভূমি অফিসে উপস্থিত হয়ে কর্মকর্তাদের আবারো হুমকি দিলে তাকে আটক করা হয়। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মুখোমুখি করা হলে তিনি দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। এ সময় আদালত তাকে দুই মাসের কারাদণ্ড এবং ৫০০ টাকার অর্থদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
আরো পড়ুন:
চট্টগ্রাম কারাগার পরিদর্শন: ছবি তোলা নিয়ে যা বললেন ধর্ম উপদেষ্টা
হবিগঞ্জে গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টা: ১ জনের ৫ বছর কারাদণ্ড
ওসমানীনগর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আনহার আহমদ জানান, মাহবুবুর রহমান নামে জামায়াতের কোনো কর্মী বা নেতা নেই। এই ব্যক্তির সঙ্গে জামায়াতের কোনো সম্পর্ক নেই। জামায়াত নেতাকর্মীরা এ ধরণের অনৈতিক তদবির করে না।
ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোনায়েম মিয়া জানান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে কারাদণ্ড দেয়া যুবককে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জয়নাল আবেদীন জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে মাহবুবুর রহমান দোষ স্বীকার করায় তাকে কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা/নুর/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর মকর ত উপজ ল তদব র
এছাড়াও পড়ুন:
আফ্রিদির অলরাউন্ড নৈপুণ্যে আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান
বিকেলে ছিল ম্যাচ হবে কি না অনিশ্চয়তা। নানা নাটকীয়তার পর অনিশ্চয়তা কেটে ম্যাচ শুরু হলো এক ঘণ্টা দেরিতে। তবে বিলম্বিত ম্যাচে আর খুব বেশি অনিশ্চয়তা–নাটকীয়তার দেখা মিলল না। দুবাইয়ে ফেবারিট হিসেবে মাঠে নেমে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ৪১ রানে হারিয়েছে পাকিস্তান।
এই জয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে জায়গা করেছে সালমান আগার দল। ‘এ’ গ্রুপ থেকে সেরা চারে জায়গা করেছে ভারতও। যার অর্থ, ২১ সেপ্টেম্বর আবারও মুখোমুখি হতে চলেছে ভারত–পাকিস্তান।
গতকাল দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পাকিস্তান–আরব আমিরাত ম্যাচ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল ১৪ সেপ্টেম্বরের ভারত–পাকিস্তান গ্রুপ ম্যাচের ঘটনার জেরে। সেদিন ভারতের খেলোয়াড়েরা পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের সঙ্গে ম্যাচের শুরু ও শেষে হাত না মেলানোয় ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
পাইক্রফট টসের সময় অধিনায়ককে হাত না মেলানোর পরামর্শ দিয়ে নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন অভিযোগ তুলে তাঁর অপসারণ চেয়ে রীতিমতো এশিয়া কাপ বর্জনের আবহ তৈরি করে পিসিবি।
শেষ পর্যন্ত পাইক্রফটের ক্ষমা প্রার্থনায় গতকাল তাঁর পরিচালনায় আরব আমিরাতের বিপক্ষে মাঠে নামে পাকিস্তান। তবে খেলতে নামার সিদ্ধান্ত নিতে আলোচনার জন্য এক ঘণ্টা পিছিয়ে দেওয়া হয় ম্যাচ শুরুর সময়।
আরও পড়ুনপাকিস্তান অধিনায়কের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন ম্যাচ রেফারি পাইক্রফট, দাবি পিসিবির৬ ঘণ্টা আগেদেরিতে শুরু হওয়া ম্যাচে আমিরাত অধিনায়ক টসে জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠান। ফখর জামানের ৩৬ বলে ৫০ আর শেষ দিকে শাহিন আফ্রিদির ১৪ বলে ২৯ রানের অপরাজিত ইনিংসে ভর করে পাকিস্তান করে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪৬। মূলত আফ্রিদির শেষ দিকের ঝোড়ো ব্যাটিংই পাকিস্তানের রান দেড় শর কাছাকাছি নিয়ে যায়।
নানা নাটকীয়তার পর অ্যান্ডি পাইক্রফটই পাকিস্তান–আমিরাত ম্যাচে রেফারির দায়িত্বে ছিলেন