রক ব্যান্ড ‘ওন্ড’-এর ভোকালিস্ট, বেজিস্ট ও শব্দপ্রকৌশলী এ কে রাতুল মারা গেছেন রোববার। তিনি চিত্রনায়ক জসীমের মেজো ছেলে। সংগীতাঙ্গন থেকে চলচ্চিত্রজগৎ—সবখানেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে। প্রিয়জনকে হারিয়ে যখন চারপাশ নিস্তব্ধ, তখন সেই শূন্যতা শব্দে পূর্ণ করেছেন ছোট ভাই রাহুল। তাঁর এক ফেসবুক পোস্টে উঠে এসেছে দুই ভাইয়ের না-বলা অনেক গল্প।

রাতুলের মৃত্যুর পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যেন হয়ে উঠেছিল শোকবই। পরিচিত–অপিরিচিত অনেক মানুষের আবেগ ছুঁয়ে গিয়েছিল রাতুলের মৃত্যু। ফেসবুক পোস্টে রাহুল লিখেছেন, ‘স্ক্রল করি আর ভাইটার জন্য আপনাদের ভালোবাসা দেখি। ভেঙে পড়ছি অনেক। আমার ভাইকে নিয়ে প্রতিদিন অনেক কিছু বলব, কেউ কিছু মনে নেবেন না। ধন্যবাদ আপনাদের। রাতুলকে আমরা সবাই বাঁচিয়ে রাখি।’
পোস্টে রাহুল আরও লিখেছেন, ‘পৃথিবীতে একটা এ কে রাতুল ছিল, এ রকম মানুষ আর কোনো দিন আসবেও না। ভাই রে, প্রতিজ্ঞা করছি—যা করি, সেটা করে যাব। প্রতি শোয়ের পর তুমি আমার গিটার টোন গুঁতাইতে চাইতে, এখন কেউ নাই গুঁতানোর। কিন্তু তা–ও করে যাব তোমার জন্য। ওপর থেকে দেখে হাসিটা দিও।’

আরও পড়ুনআরেক মৃত্যুতে পেছাল অড সিগনেচারের ফেরা২ ঘণ্টা আগে

দুই ভাইয়ের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মুহূর্তগুলো তুলে ধরে রাহুল লিখেছেন, ‘রেসলিং নিয়ে কী হচ্ছে আপডেট দেবোনে, কেমনে দেব জানি না। তোমার জন সিনা বেশি দিন তো রেসলিং করবে না, দেখি কী হয়। বলছিলে জিটিএ-৬ আসলেই প্রি-অর্ডার করতে চাও, মন খারাপ হয়ছিল যখন পিছিয়ে গেছে। তোমার কনসোলেই ওইটা শেষ করব আমি।’
সোমবার সকালে বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছেন রাতুল। বাবা জসীমের কবরেই সমাহিত করা হয়েছে তাঁকে। বাবা আর ভাইয়ের উদ্দেশে রাহুল লিখেছেন, ‘আব্বুর সঙ্গে সব স্টোরি শেয়ার কইর, তিন ভাই মিলে কী আকামগুলা করছি। হালকা ফিল্টার কইর।’

আরও পড়ুনবাবা নায়ক জসীমের মতোই ছেলের অকালমৃত্যু, কী হয়েছিল রাতুলের২৭ জুলাই ২০২৫

প্রয়াত চিত্রনায়ক জসীমের তিন ছেলে—এ কে সামী, এ কে রাতুল ও এ কে রাহুল। শৈশবে বাবাকে হারানো তিন ভাই একে অন্যের হাত ধরে বড় হয়েছেন। বাবার মতো চলচ্চিত্রে নয়, তিনজনই বেছে নেন সংগীতের পথ। রোববার (২৭ জুলাই) হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় রাতুলের।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

হামফ্রে ফেলোশিপ–ডাড স্কলারশিপ–আইডিবির প্রশিক্ষণ, আবেদন শেষ ৩১ জুলাই

আমেরিকা হিউবার্ট এইচ হামফ্রে ফেলোশিপ, জার্মান সরকারের ডাড হেলমুট-শ্মিট মাস্টার্স স্কলারশিপ এবং ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক-বাংলাদেশ ইসলামিক সলিডারিটি এডুকেশন ওয়াক্ফ আইডিবি-বিআইএসইডব্লিউ ভোকেশনাল ট্রেনিংয়ে আবেদন চলছে। তিনটির আবেদনের সুযোগ আছে আর দুদিন। আগামীকাল ৩১ জুলাই শেষ হবে হিউবার্ট এইচ হামফ্রে ফেলোশিপ, ডাড হেলমুট-শ্মিট মাস্টার্স স্কলারশিপ এবং আইডিবি-বিআইএসইডব্লিউ ভোকেশনাল ট্রেনিংয়ের। আবেদনের পদ্ধতিসহ জেনে নিন এসব বৃত্তি ও ফেলোশিপের বিস্তারিত তথ্য।

১. হামফ্রে ফেলোশিপ: মাসিক ভাতাসহ ১০ মাস আমেরিকায় পড়াশোনার সুযোগ

১০ মাসের হিউবার্ট এইচ হামফ্রে ফেলোশিপে বেসরকারি সংস্থাসহ সরকারি ও বেসরকারি খাতে পেশাজীবীরা আবেদন করতে পারবেন।

ফেলোশিপের সুযোগ-সুবিধা—

নির্ধারিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পূর্ণ টিউশন ফি দেওয়া হবে;

প্রয়োজন হলে প্রাক্‌-একাডেমিক ইংরেজি ভাষা প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে;

জীবনযাত্রার ব্যয় ভাতা;

এককালীন সেটলিং ভাতা;

দুর্ঘটনা ও অসুস্থতাজনিত ব্যয় ভাতা;

বই কেনার খরচ;

কম্পিউটার কেনার জন্য এককালীন ভাতা;

বিমান ভ্রমণ ভাতা (প্রোগ্রামের জন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে আন্তর্জাতিক ভ্রমণ এবং প্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম ইভেন্টে অভ্যন্তরীণ ভ্রমণ;

ফেলোশিপের জন্য প্রয়োজনীয় পেশাদার উন্নয়ন ভাতা যেমন ফিল্ড ট্রিপ, পেশাদার পরিদর্শন ও সম্মেলন।

আরও পড়ুনএসএসসি উত্তীর্ণদের শিক্ষাবৃত্তি দিচ্ছে ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংক, মাসে আড়াই হাজার টাকা, মিলবে ২ বছর১৩ জুলাই ২০২৫আবেদনকারীর যোগ্যতা—

আবেদনকারীকে অবশ্যই তরুণ ও মধ্য পর্যায়ের নেতৃত্বশীল পদে থাকা পেশাজীবী হতে হবে, যার জনসেবায় দৃষ্টান্তমূলক কাজ ও পেশাগত জীবনে অগ্রগতির সম্ভাবনা রয়েছে

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন, এমন কেউ আবেদন করতে পারবেন না

পূর্ণকালীন শিক্ষার্থী হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কমপক্ষে চার বছরের শিক্ষা কার্যক্রম শেষ করার সনদ থাকতে হবে

বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি অর্জনের পর সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ন্যূনতম পাঁচ বছর পূর্ণকালীন কাজ করার পেশাগত অভিজ্ঞতা থাকতে হবে (২০২৫ সালের আগস্টের আগে) এবং তাঁদের শিক্ষা ও কাজসংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের নীতিগত দিকগুলোয় আগ্রহ থাকতে হবে

শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কিংবা একাডেমিক গবেষক এই ফেলোশিপের জন্য বিবেচিত হবেন না। তাঁদের অবশ্যই ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে (ব্যতিক্রম হিসেবে বিবেচিত হবেন যদি কেউ বিদেশি ভাষা হিসেবে ইংরেজি শেখানোর দায়িত্ব পালন করেন)।

২০২৬ সালের আগস্টের আগে সাত বছরের মধ্যে আবেদনকারী যুক্তরাষ্ট্রের কোনো স্নাতক স্কুলে এক শিক্ষাবর্ষ বা তার বেশি সময়ের জন্য লেখাপড়ায় অংশ নিয়ে থাকলে তিনি এই ফেলোশিপের জন্য অযোগ্য হবেন।

২০২৬ সালের আগস্টের আগে পাঁচ বছরের মধ্যে ছয় মাসের বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করার অভিজ্ঞতা থাকলে তিনি এই ফেলোশিপের জন্য যোগ্য হবেন না।

ইংরেজি লেখা ও কথা বলা উভয় ক্ষেত্রে দক্ষ হতে হবে এবং টোয়েফল স্কোর (ইন্টারনেটভিত্তিক) হতে হবে। প্রার্থীদের যাঁদের টোয়েফল স্কোরের বৈধ মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাঁদের নির্বাচনপ্রক্রিয়া শেষে টোয়েফল পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। (আমেরিকান সেন্টার কেবল নির্বাচিত প্রার্থীদের জন্য টোয়েফল পরীক্ষার ব্যবস্থা করবে।)

আবেদনকারীকে অবশ্যই ফেলোশিপের জন্য নির্ধারিত প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও প্রতিশ্রুতি দেখানোর পাশাপাশি এ কথাও জানাতে হবে যে তিনি কীভাবে এই ফেলোশিপ থেকে উপকৃত হবেন, যা তিনি আগে কখনো হননি এবং হামফ্রে কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ছাড়া এমন অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ তাঁর নেই।

ফেলোশিপ শেষ হওয়ার পর বাংলাদেশে ফিরে আসতে হবে।

ফাইল ছবি প্রথম আলো

সম্পর্কিত নিবন্ধ