গাজার নাসের হাসপাতালে পাঁচ দিনে কী কী দেখলেন রয়টার্সের সাংবাদিকেরা
Published: 31st, July 2025 GMT
গাজার খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে তীব্র অপুষ্টির শিকার শিশুদের জন্য যে ওয়ার্ড, সেখানে গোলাপি রঙের দেয়ালে কার্টুন আঁকা। সেই ছবিতে শিশুরা দৌড়াচ্ছে, হাসছে এবং ফুল ও বেলুন নিয়ে খেলছে।
ছবিগুলোর নিচে গাজার কয়েকজন ফিলিস্তিনি মা তাঁদের সন্তানদের দিকে উদ্বেগের চোখে তাকিয়ে আছেন। শিশুগুলো হাসপাতালের বিছানায় নিথর হয়ে পড়ে আছে। ভীষণ ক্ষুধা আর ক্লান্তিতে বেশির ভাগ শিশু কাঁদতে পর্যন্ত পারছে না।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে চিকিৎসকেরা বলেন, সবচেয়ে বেশি অপুষ্টিতে ভোগা রোগীদের যেখানে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, সেখানে সাধারণত এমন নীরবতাই দেখতে পাওয়া যায়। এটা শরীর ক্রমশ নিস্তেজ ও অসাড় হয়ে পড়ার লক্ষণ।
গত সপ্তাহে রয়টার্সের সাংবাদিকেরা নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সে পাঁচ দিন কাটিয়েছেন। গাজায় অনাহারে থাকা শিশুদের যে চারটি মাত্র চিকিৎসাকেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, সেগুলোর একটি নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্স।ওই স্থানে থাকা এক শিশুর মা জেইনা রাদওয়ান বলেন, ‘সে সব সময় এমন অবসন্ন হয়ে থাকে, এভাবেই শুয়ে থাকে…আপনি তার কোনো সাড়া পাবেন না।’ জেইনা তাঁর ১০ মাস বয়সী মেয়ে মারিয়া সুহাইব রাদওয়ানকে নিয়ে এ কথা বলছিলেন।
এই মা বলেন, তিনি তাঁর মেয়ের জন্য দুধ বা পর্যাপ্ত খাবার জোগাড় করতে পারেননি। সে বুকের দুধও পাচ্ছে না। কারণ, জেইনা নিজেও দিনে মাত্র একবেলা খেয়ে কোনোমতে বেঁচে আছেন। তিনি বলেন, ‘পুষ্টি না পেলে আমার মেয়ে আর আমি—কেউই বাঁচব না।’
গত সপ্তাহে রয়টার্সের সাংবাদিকেরা নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সে পাঁচ দিন কাটিয়েছেন। গাজায় ভীষণ রকমের অনাহারে থাকা শিশুদের যে চারটি মাত্র চিকিৎসাকেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, সেগুলোর একটি নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্স। রয়টার্সের সাংবাদিকেরা সেখানে থাকার সময় তীব্র অপুষ্টিতে আক্রান্ত ৫৩ শিশুকে ভর্তি করা হয়।
নাসের হাসপাতালে তীব্র অপুষ্টিতে ভোগা এক শিশুকে দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করছেন তার মা। ২৪ জুলাই.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন স র ম ড ক ল কমপ ল ক স রয়ট র স র স
এছাড়াও পড়ুন:
‘ফিরিয়ে দাও’ থেকে ‘ধূসর সময়’: সিডনিতে একই মঞ্চে মাইলস ও আর্টসেল
সিডনির বসন্তের সন্ধ্যা। লিভারপুলের হুইটল্যাম লেজার সেন্টারের বাইরে তখন লম্বা লাইন—হাতে পতাকা, কাঁধে ব্যাগ, চোখে প্রত্যাশা। সাউন্ডচেকের শব্দ ভেসে আসছে বাইরে। ভেতরে যেন উন্মুখ এক ‘সাগর’, যেখানে মিশে আছে দুই প্রজন্মের মুখ, কণ্ঠ আর স্মৃতি। শনিবার রাতটি হয়ে উঠেছিল প্রবাসী বাঙালিদের জন্য এক ব্যতিক্রমী উৎসব—বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের দুই যুগের দুই প্রতীক, মাইলস ও আর্টসেল; প্রথমবারের মতো একই মঞ্চে গান করল সিডনিতে।
‘গ্রিনফিল্ড এন্টারটেইনমেন্ট’ আয়োজিত এই ‘মিউজিক ফেস্ট’ ঘিরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে যে উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছিল, তা যেন উপচে পড়ল সেই রাতে। টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার পরপরই সব শেষ। অনুষ্ঠান শুরুর ঘণ্টাখানেক আগে থেকেই সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিম উপশহর লিভারপুলের রাস্তাগুলো ভরে গেল গানের ভক্তে।
আয়োজনের আগে ভিডিও বার্তায় মাইলস জানায় তাদের উচ্ছ্বাস। ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য হামিন আহমেদ বলেন, ‘সিডনি বরাবরই আমাদের কাছে বিশেষ কিছু। সম্ভবত ১৯৯৬ সালে আমরাই প্রথম বাংলাদেশি ব্যান্ড হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় পারফর্ম করি। এরপর এ নিয়ে অন্তত পঞ্চমবারের মতো সিডনিতে এলাম। এখানকার দর্শকদের ভালোবাসা সব সময়ই অবিশ্বাস্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানতাম এটি স্মরণীয় একটি আয়োজন হতে যাচ্ছে। আমরা চেয়েছি সবাই একসঙ্গে গাইবে, চিৎকার করবে—ভক্তরা সেটাই করেছেন।’ গিটারিস্ট তুজো যোগ করেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার পাঁচটি শহরে ট্যুর করছি, কিন্তু সিডনির আবহ একেবারেই আলাদা। দর্শকেরা আমাদের রাতটিকে স্মরণীয় করে দিয়েছেন।’
মঞ্চে আর্টসেল