এশিয়া কাপে ফাইনাল খেলতে আত্মবিশ্বাসী খালেদ
Published: 31st, July 2025 GMT
এশিয়া কাপে ‘মুখস্থ’ গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) বাণিজ্যিক লাভবানের আশায় ভারত ও পাকিস্তানকে একই গ্রুপে রেখে আসছে গত কয়েক বছর। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। ভারত ও পাকিস্তান এক গ্রুপে থাকায় বাকি তিনটি পূর্ণ সদস্য দল অপরগ্রুপে রাখতেই হচ্ছে। বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান একই গ্রুপে। চতুর্থ দল হিসেবে গ্রুপে আছে হংকং।
গত আসরে বাংলাদেশ গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে সুপার ফোরে খেলেছে। এর আগের আসরে বাদ পড়েছিল গ্রুপ পর্ব থেকে। এবার কেমন করবে বাংলাদেশ? জানতে চাওয়া হয়েছিল জাতীয় দলের পেসার খালেদ আহমেদের কাছে। উত্তরে ডানহাতি পেসার জানালেন, তার বিশ্বাস, দল ফাইনাল খেলতে পারবে।
মিরপুর শের–ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খালেদ বলেছেন, ‘‘আমরা এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলার মতো একটি দল। আমরা যে গ্রুপে আছি সেখান থেকে দুই-তিনটি ম্যাচ জিততে পারলেই আমরা ফাইনালে যেতে পারব।’’
আরো পড়ুন:
ওভালে টস হেরে ব্যাটিংয়ে ভারত, একাদশে চার পরিবর্তন
সালাউদ্দিনের মেয়াদ ২০২৭ সাল পর্যন্ত, বেতন বেড়ে প্রায় ১০ লাখ
তৃতীয়বারের মতো এশিয়া কাপ হতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। এর আগে ২০১৬ এবং ২০২২ সালে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হয়েছিল টুর্নামেন্টটি। প্রথম আসরে ভারত এবং দ্বিতীয় আসরে পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। ছয় দলের প্রতিযোগিতায় সবশেষ আসরে (টি-টোয়েন্টি) বাংলাদেশ সুপার ফোরেও উঠতে পারেনি। সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসেছিল সেই আসর। প্রথম আসরে ঘরের মাঠে বাংলাদেশ রানার্সআপ হয়েছিল। এবার বাংলাদেশ কেমন করে সেটাই দেখার।
তবে আত্মবিশ্বাস ভালো থাকার কথা লিটন দাসদের। শ্রীলঙ্কাকে তাদের মাটিতে ২-১ ব্যবধানে এবং পাকিস্তানকে ঘরের মাঠে একই ব্যবধানে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। ছন্দে থাকা একটি দল এবার মহাদেশীয় প্রতিযোগিতায় কেমন করে সেটাই দেখার।
১১ সেপ্টেম্বর হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আসর শুরু করবে বাংলাদেশ। ১৩ সেপ্টেম্বর পরের ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। আর গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ লড়বে ১৬ সেপ্টেম্বর। আগস্টে জাতীয় দলের ক্যাম্প শুরু হবে। ভারত সিরিজ পিছিয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ লম্বা ছুটি পেয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে। যদিও বিসিবি চেষ্টা করছে নেপাল, নেদারল্যান্ডসকে আমন্ত্রণ জানিয়ে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ কিংবা ত্রিদেশীয় সিরিজ আয়োজনের।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হয় ছ ল ফ ইন ল
এছাড়াও পড়ুন:
গুলশানে ৫০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির মামলায় অপু গ্রেপ্তার
রাজধানীর গুলশানে সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির মামলায় এজাহারনামীয় আসামি বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের সদ্য বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর ওয়ারী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে গুলশানে ৫০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির ঘটনায় গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপুকে ওয়ারী থেকে ডিবির ওয়ারী বিভাগের সদস্যরা গ্রেপ্তার করেছেন। তাকে মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।
গত ১৭ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে একটি চক্র রাজধানীর গুলশানের ৮৩ নম্বর রোডে আওয়ামী লীগ নেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তাদের নেতৃত্বে ছিলেন জানে আলম অপু ওরফে কাজী গৌরব অপু এবং আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান ওরফে রিয়াদ। এ সময় শাম্মী আহমেদ দেশের বাইরে থাকায় তার স্বামী সিদ্দিক আবু জাফরকে জিম্মি করে ভয় দেখানো হয়।
চক্রটি বাসায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি করে প্রথম ধাপে ১০ লাখ টাকা আদায় করে নেয়। এর মধ্যে ৫ লাখ টাকা ভাগ পান অপু এবং বাকি ৫ লাখ পান রিয়াদ। চাঁদার দ্বিতীয় কিস্তি আনতে ২৬ জুলাই সন্ধ্যায় আবারও গুলশানের ওই বাসায় গেলে চক্রের পাঁচ সদস্যকে আটক করে পুলিশ। তারা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান ওরফে রিয়াদ, ইব্রাহীম হোসেন মুন্না, সাকদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব এবং আমিনুল ইসলাম। তাদের সবাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের বিভিন্ন পদে ছিলেন। গ্রেপ্তারের পরপরই তাদেরকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।
এদিকে, চাঁদাবাজির এ ঘটনায় গুলশান থানায় দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, এজাহারনামীয় ছয় আসামি ও অজ্ঞাত ১০-১২ জন সমন্বয়ক পরিচয়ে ১৭ জুলাই সকালে আমার গুলশান-২ নম্বরের বাসায় আসে। যার মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ ও কাজী গৌরব অপু আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধামকি দিয়ে ৫০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার দাবি করে। তাদের দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমাকে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে গ্রেপ্তারের হুমকি দেখায়। একপর্যায়ে আমি বাধ্য হয়ে ১০ লাখ টাকা দিই। পরে ১৯ জুলাই রাতে রিয়াদ ও অপু আমার বাসায় এসে ধাক্কাধাক্কি করে, যা আমি পুলিশকে ফোন করে জানাই। এ সময় অভিযুক্তরা সেখান থেকে সটকে পড়ে।
এজাহারে আরো বলা হয়েছে, ২৬ জুলাই শনিবার বিকেলে রিয়াদের নেতৃত্বে আসামিরা আমার বাসার সামনে এসে আমাকে খুঁজতে থাকে। আমি বাসায় না থাকায় বাসার দারোয়ান আমাকে ফোন করে বিষয়টি জানায়। এ সময় আসামিরা তাদের দাবিকৃত আরো ৪০ লাখ টাকা না দিলে আমাকে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করানো হবে বলে হুমকি দিতে থাকে।
ঢাকা/এমআর/রফিক