১০ গোলের রোমাঞ্চকর ম্যাচে সিউলকে বিধ্বস্ত করল বার্সেলোনা
Published: 31st, July 2025 GMT
দক্ষিণ কোরিয়ায় বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) অনুষ্ঠিত এক জমজমাট প্রস্তুতি ম্যাচে লামিনে ইয়ামাল ও বদলি খেলোয়াড় ফেরান তোরেসের জোড়া গোলে এফসি সিউলের বিপক্ষে ৭-৩ গোলের দাপুটে জয় তুলে নিয়েছে বার্সেলোনা। এশিয়ান ট্যুরে এটি ছিল তাদের দ্বিতীয় ম্যাচ।
বার্সা কোচ হান্সি ফ্লিক এই ম্যাচে দলে বড় কোনো পরিবর্তন আনেননি। গত মৌসুমে লা লিগা জয়ী মূল দলের অনেকেই ছিলেন একাদশে। আক্রমণে শুরু থেকেই ছিলেন ইয়ামাল, রাফিনহা এবং রবার্ট লেভানডোভস্কি।
খেলার শুরুতেই লেভানডোভস্কি ও ইয়ামালের গোলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় বার্সা। তবে স্বাগতিক সিউল ঘুরে দাঁড়িয়ে ইয়াং-উক চো ও ইয়াজান আল-আরাবের গোলে ৪৭ মিনিটে ম্যাচে সমতা ফেরায়।
আরো পড়ুন:
রাশফোর্ডের অভিষেক, তরুণদের ঝলকে বার্সার জয়
৩০ শতাংশ কম বেতনে স্বপ্নের ক্লাব বার্সায় রাশফোর্ড
এরপরই বার্সাকে আবার লিড এনে দেন ইয়ামাল। ফ্রাঙ্কি ডি ইয়ংয়ের পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বক্সে জায়গা বানিয়ে বাঁ পায়ে দারুণ শটে বল পাঠান জালে।
১৮ বছর বয়সী ইয়ামালের জন্য এটি ছিল বিশেষ এক মুহূর্ত। কারণ কিংবদন্তি লিওনেল মেসির প্রিয় নম্বর ১০ নম্বর জার্সি গায়ে দিয়েই এ ম্যাচে প্রথম গোল পেলেন তিনি।
ম্যাচ শেষে আবেগাপ্লুত ইয়ামাল বলেন, ‘‘এই জার্সি গায়ে গোল করতে পারা আমার শৈশবের স্বপ্ন পূরণ। এটা খুবই বিশেষ একটি অনুভূতি। দলের জয়েও আমি আনন্দিত।’’
তিনি বার্সা সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘‘ধন্যবাদ সবাইকে পাশে থাকার জন্য। বিশ্বের যেখানেই যাই, সমর্থকরা আমাদের ভালোবাসা দেয়। আশা করি এই মৌসুমে আমরা অনেক শিরোপা জিতব।’’
ম্যাচের বিরতিতে বার্সেলোনা একাদশে ১১টি পরিবর্তন আনে। মাঠে নামেন নতুন খেলোয়াড় মার্কাস রাশফোর্ড, যিনি সম্প্রতি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে ধারে বার্সেলোনায় এসেছেন। গোলের সুযোগ পেলেও দু’বারই সিউলের গোলরক্ষক তার প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেন।
বদলি খেলোয়াড় আন্দ্রেয়াস ক্রিস্টেনসেন, ফেরান তোরেস ও অধিনায়ক হিসেবে নামা গাভি পরপর গোল করে বার্সার দাপট বাড়িয়ে দেন। ৮৬ মিনিটে সিউল একটি গোল শোধ দেয়, হান-মিন জুং বার্সার ডিফেন্সের ভুলের সুযোগ নিয়ে বল জালে পাঠান। তবে শেষ বাঁশির আগে তোরেস তার দ্বিতীয় গোল করে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে দেন এবং ৭-৩ ব্যবধানের জয় নিশ্চিত করেন।
এর আগে ২৭ জুলাই তাদের এশিয়ান সফরের প্রথম ম্যাচে ভিসেল কোবেকে ৩-১ গোলে হারিয়েছিল বার্সা। আগামী ৪ আগস্ট তারা দক্ষিণ কোরিয়ার আরেক ক্লাব ডেগু এফসির বিপক্ষে খেলবে এবং সেটিই হবে এশিয়ান ট্যুরের শেষ ম্যাচ।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
প্রতিষ্ঠার দেড় যুগ পর ইতিহাসের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বেরোবি
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) নিয়ে অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে চলেছে শিক্ষার্থীদের। গত ২৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের গেজেট প্রকাশ হয়ছে গঠনতন্ত্র।
এরই মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর পর হতে যাচ্ছে কাঙিক্ষত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ তথা ব্যাকসু নির্বাচন। তবে এর জন্য আমরণ অনশন থেকে শুরু করে সব ধরনের কর্মসুচিই পালন করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
আরো পড়ুন:
‘আমরা একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন করতে চাই’
বেরোবিতে শহীদ আবু সাঈদ স্মৃতিস্তম্ভের মডেল প্রদর্শন
জুলাই অভ্যুত্থান পর গণরুম ও গেস্ট রুমের যে সাংস্কৃতি ছিল, তা এখন বন্ধ হয়েছে। কোনো রাজনৈতিক দলের কমকাণ্ডে সামিল হওয়াও বাধ্যতামুলক নয়।
তাই শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ ছাত্র সংসদ। যাতে শিক্ষার্থীদের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষিত হবে।
কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বেরোবির বিধিমালা অনুযায়ী, ১৩টি পদে সরাসরি নির্বাচন ও হল সংসদে নয়টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সব ধরনের কথা তুলে ধরতে পারবেন।
পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী শেখর রায় বলেন, “সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও লেজুরবিত্তিক রাজনীতি ব্যতীত একটি নির্বাচন হোক। যোগ্য, আদর্শ, উত্তম চরিত্র ও মনের প্রার্থী বিজয়ী হোক। নির্বাচিত হয়ে তারা হয়ে উঠুক বেরোবির একেকজন যোগ্য প্রতিনিধি। তারা ন্যায়ের পক্ষে থাকুক । তাদের হাত ধরেই এগিয়ে যাক বেরোবি।”
গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী জাওয়াদ সাজিদ বলেন, “ছাত্র সংসদ শিক্ষার্থীদের দাবি, অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার প্রধান মঞ্চ। এটি প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে, যাতে প্রতিটি শিক্ষার্থীর কণ্ঠ পৌঁছে যায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে। কিন্তু এজন্য সংসদকে দলীয় প্রভাবমুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হতে হবে। প্রকৃত অর্থে ছাত্র সংসদ তখনই সফল, যখন তা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে তাদের সমস্যার সমাধান ও কল্যাণে কাজ করে।”
অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, “আমরা এমন ছাত্র সংসদ চাই, যেখানে যোগ্য নেতৃত্ব আসবে এবং সব শিক্ষার্থীর সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার হয়ে কাজ করবে। সবমিলিয়ে সবার বিশ্বস্ত জায়গা হবে এই ছাত্র সংসদ।”
ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী