চিকিৎসককে মারধর, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাসহ গ্রেপ্তার ১০
Published: 1st, August 2025 GMT
দিনাজপুরের হাকিমপুর (হিলি) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার মশিউর রহমানকে মারধরের ঘটনায় পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মামুনসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী চিকিৎসক বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
শুক্রবার (১ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দিনাজপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো.
আরো পড়ুন: চিকিৎসককে মারধর করায় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা বহিষ্কার
আরো পড়ুন:
ঋণ খেলাপি মামলা করায় ব্যাংক ম্যানেজারকে মারধরের অভিযোগ যুবদল নেতার বিরুদ্ধে
রাবিতে আ.লীগ ট্যাগ দিয়ে মেডিকেল টেকনোলজিস্টকে বিবস্ত্র করে মারধর
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) হাকিমপুর হাসপাতালে হামলার ঘটনায় আজ বিকেলে আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে।”
আরো পড়ুন: চিকিৎসককে মারধর করলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা
বৃহস্পতিবার দুপুরে হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার মশিউর রহমানের ওপর পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে ১০-১২ জন আক্রমণ করেন। এসময় তাকে মারধরের পাশাপাশি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
এ ঘটনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের জেলা কমিটি পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মামুনের সব সাংগঠনিক পদ স্থগিত করে।
ঢাকা/মোসলেম/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম রধর অভ য গ ঘটন য় ম রধর
এছাড়াও পড়ুন:
চিকিৎসককে মারধর করলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা
দিনাজপুরের হাকিমপুর (হিলি) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার মশিউর রহমানকে মারধর ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. মামুনের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত অবস্থায় মেডিকেল অফিসার ডা. মশিউর রহমানের উপর হামলা চালান মামুনসহ ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল।
মেডিকেল অফিসার ডা. মশিউর রহমান বলেন, ‘‘হাসপাতালে ফারুক ও তার স্ত্রী ১২ থেকে ১৩ দিন ধরে ভর্তি আছেন। তাদের সব ধরনের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এখন তারা সুস্থ। তাদের আজকে রিলিজ দিতে চেয়েছি কিন্তু তারা রিলিজ নিতে চান না। এ বিষয় নিয়ে তাদের সঙ্গে আমার বাগবিতণ্ডা হয়। এ নিয়ে মামুনসহ ১০ থেকে ১২ জন এসে আমার উপর আক্রমণ করেন। মামুন আমার মুখে কিল-ঘুষি মারেন এবং সবাই আমার গলা চেপে ধরে বাহিরে নিয়ে যান। আমার মোবাইল ফোনও তারা কেড়ে নেন।’’
আরো পড়ুন:
অপারেশনের পর শিশুর মৃত্যু: তদন্ত কমিটি গঠন, থানায় মামলা
সাভারে গ্যাস লিকেজ থেকে আগুন, দগ্ধ দম্পতি হাসপাতালে
হাকিমপুর পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মামুন বলেন, ‘‘ডা. মশিউর রহমান আমাকে ধাক্কা দেন। তখন এ ঘটনা ঘটে। তবে আমি তাকে মারিনি। আমার সঙ্গের লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।’’ মশিউর রহমানের মোবাইল ফোন তখনি ফেরত দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
হাকিমপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফেরদৌস রহমান বলেন, ‘‘হাসপাতালের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত এবং দুঃখজনক। আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। অভিযুক্ত মামুনকে চিকিৎসকদের সামনে মারধর করেছি। বিষয়টি মিমাংসা করা হয়েছে।’’
হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করেছি। তারা এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে।’’
হাকিমপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এস এম জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘‘হাসপাতালের ঘটনা অবগত হয়েছি। হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’’
দিনাজপুর সিভিল সার্জন ডা. আসিফ ফেরদৌস বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে উপজেলা বিএনপির নেতারা হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তবে আমরা আইনি প্রক্রিয়ায় যাবো।’’
ঢাকা/মোসলেম/বকুল