সমুদ্রের কত গভীরে প্রাণ বাঁচতে পারে
Published: 3rd, August 2025 GMT
পৃথিবীর বেশির ভাগ অংশজুড়ে থাকলেও গভীর সমুদ্র নিয়ে বিজ্ঞানীদের জানার পরিধি বেশ কম। আর তাই সমুদ্রের কত গভীরে প্রাণ বাঁচতে পারে, তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই গবেষণা করছেন তাঁরা। এবার সমুদ্রের ৩১ হাজার ফুটের বেশি নিচে প্রাণের সন্ধান পেয়েছেন চায়নিজ একাডেমি অব সায়েন্সেসের নেতৃত্বাধীন বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা। তাঁদের দাবি, সমুদ্রের ৩১ হাজার ফুটের বেশি নিচে সূর্যালোক ছাড়াই প্রাণীরা বসবাস করছে। কেমোসিন্থেসিস নামের একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জীবনের জন্য শক্তি সংগ্রহ করে এসব প্রাণী।
উত্তর-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের ৩১ হাজার ফুটের বেশি নিচে এমন বিস্ময়কর বাস্তুতন্ত্র দেখে বেশ বিস্মিত হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের দাবি, এখন পর্যন্ত রেকর্ড করা সবচেয়ে গভীর কেমোসিন্থেটিক জীবনের আবাসস্থল দেখা গেছে সেখানে। সম্পূর্ণ অন্ধকার ও প্রচণ্ড চাপের মধ্যে বেঁচে থাকা প্রাণী আবিষ্কারের বিষয়টি অনেকটা ভিন্ন গ্রহে প্রাণের খোঁজের মতো। ৩১ হাজার ফুট নিচে প্রাণের আবিষ্কার পৃথিবীতে প্রাণের জৈবিক সীমাকে চ্যালেঞ্জ করছে। এটিকে চরম পরিস্থিতিতে জীবনের অভিযোজন যোগ্যতার অনন্য এক উদাহরণ বলা হচ্ছে।
আরও পড়ুনপৃথিবীর কেন্দ্র উত্তপ্ত হলেও সমুদ্রের তলদেশ হিমশীতল কেন১৮ এপ্রিল ২০২৫নেচার সাময়িকীতে সমুদ্রের ৩১ হাজার ফুট নিচের প্রাণীদের তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, চীনের ফেন্ডৌজে সাবমার্সিবল নামের ডুবোজাহাজের মাধ্যমে সমুদ্রের গভীরে অনুসন্ধান চালিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ডুবোজাহাজের উচ্চ রেজল্যুশনের ক্যামেরা ও সরঞ্জাম ব্যবহার করে দেখা গেছে, ৩১ হাজার ফুটের বেশি নিচে থাকা প্রাণীরা সূর্যালোক ছাড়াই কেমোসিন্থেসিস নামের একটি বিশেষ প্রক্রিয়ায় বেঁচে থাকে। সেখানে বিভিন্ন প্রাণী ও জীবাণু মিথেন ও হাইড্রোজেন সালফাইডের মতো রাসায়নিক পদার্থকে জীবনের উপযোগি শক্তিতে রূপান্তরিত করে।
প্রশান্ত মহাসাগরের ৩১ হাজার ফুটের বেশি নিচে বসবাসকারী প্রাণী ও জীবাণু সম্পূর্ণ অন্ধকারে একটি অনন্য খাদ্যশৃঙ্খলের ভিত্তি তৈরি করেছে। সেখানকার চাপ সমুদ্রপৃষ্ঠের তুলনায় এক হাজার গুণ বেশি ও তাপমাত্রা হিমাঙ্কের কাছাকাছি হতে পারে। মনুষ্যসৃষ্ট মেশিন ও পানির নিচের যানবাহন এ ধরনের চরম পরিস্থিতিতে টিকে থাকতে পারে না।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র র ৩১ হ জ র ফ ট র ব শ জ বন র
এছাড়াও পড়ুন:
বাহরাইনের প্রতি বাংলাদেশিদের জন্যে ভিসা চালুর অনুরোধ
ব্যবসায়ী, পেশাজীবী, দক্ষ ও আধা দক্ষ শ্রমিকসহ বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য ভিসা সুবিধা পুনরায় চালু করতে বাহরাইনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
উপদেষ্টা দু’দেশের জনগণের সম্পর্ক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারের লক্ষ্যে ভিসা পুনরায় চালুর এ অনুরোধ জানান।
বাহরাইনে ২১তম আইআইএসএস মানামা সংলাপের ফাঁকে শনিবার (১ নভেম্বর) দেশটির উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল বিন খালিফা আল ফাদেলের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেন তিনি। এ সময়ে ভিসা পুনরায় চালুর অনুরোধটি জানান উপদেষ্টা।
রবিবার (২ নভেম্বর) ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।
একইসঙ্গে তৌহিদ হোসেন কমিউনিটির কল্যাণ নিশ্চিত এবং সামাজিক সম্পর্ক মজবুতের লক্ষ্যে বাহরাইনে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ‘ফ্যামিলি ভিসা’ প্রদানের বিষয়টি বিবেচনা করারও অনুরোধ জানান।
বাহরাইনের উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেশটির অর্থনীতিতে বাংলাদেশের নাগরিকদের অবদানের প্রশংসা করেন। তিনি জানান, তার দেশের সরকার ধাপে ধাপে ভিসা সুবিধা পুনরায় চালুর জন্য কাজ করছে।
বৈঠকে উভয়ে দু’দেশের দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের হস্তান্তরে একটি চুক্তি সম্পাদনের সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা করেন।
তৌহিদ হোসেন ২১তম মানামা সংলাপের অধিবেশনের পাশপাশি আরো কিছু অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন। এসব আয়োজনে বিশ্ব নেতা, বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও নীতি নির্ধারকরা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করবেন।
তথ্যসূত্র: বাসস
ঢাকা/ইভা