পৃথিবীর বেশির ভাগ অংশজুড়ে থাকলেও গভীর সমুদ্র নিয়ে বিজ্ঞানীদের জানার পরিধি বেশ কম। আর তাই সমুদ্রের কত গভীরে প্রাণ বাঁচতে পারে, তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই গবেষণা করছেন তাঁরা। এবার সমুদ্রের ৩১ হাজার ফুটের বেশি নিচে প্রাণের সন্ধান পেয়েছেন চায়নিজ একাডেমি অব সায়েন্সেসের নেতৃত্বাধীন বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা। তাঁদের দাবি, সমুদ্রের ৩১ হাজার ফুটের বেশি নিচে সূর্যালোক ছাড়াই প্রাণীরা বসবাস করছে। কেমোসিন্থেসিস নামের একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জীবনের জন্য শক্তি সংগ্রহ করে এসব প্রাণী।

উত্তর-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের ৩১ হাজার ফুটের বেশি নিচে এমন বিস্ময়কর বাস্তুতন্ত্র দেখে বেশ বিস্মিত হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের দাবি, এখন পর্যন্ত রেকর্ড করা সবচেয়ে গভীর কেমোসিন্থেটিক জীবনের আবাসস্থল দেখা গেছে সেখানে। সম্পূর্ণ অন্ধকার ও প্রচণ্ড চাপের মধ্যে বেঁচে থাকা প্রাণী আবিষ্কারের বিষয়টি অনেকটা ভিন্ন গ্রহে প্রাণের খোঁজের মতো। ৩১ হাজার ফুট নিচে প্রাণের আবিষ্কার পৃথিবীতে প্রাণের জৈবিক সীমাকে চ্যালেঞ্জ করছে। এটিকে চরম পরিস্থিতিতে জীবনের অভিযোজন যোগ্যতার অনন্য এক উদাহরণ বলা হচ্ছে।

আরও পড়ুনপৃথিবীর কেন্দ্র উত্তপ্ত হলেও সমুদ্রের তলদেশ হিমশীতল কেন১৮ এপ্রিল ২০২৫

নেচার সাময়িকীতে সমুদ্রের ৩১ হাজার ফুট নিচের প্রাণীদের তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, চীনের ফেন্ডৌজে সাবমার্সিবল নামের ডুবোজাহাজের মাধ্যমে সমুদ্রের গভীরে অনুসন্ধান চালিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ডুবোজাহাজের উচ্চ রেজল্যুশনের ক্যামেরা ও সরঞ্জাম ব্যবহার করে দেখা গেছে, ৩১ হাজার ফুটের বেশি নিচে থাকা প্রাণীরা সূর্যালোক ছাড়াই কেমোসিন্থেসিস নামের একটি বিশেষ প্রক্রিয়ায় বেঁচে থাকে। সেখানে বিভিন্ন প্রাণী ও জীবাণু মিথেন ও হাইড্রোজেন সালফাইডের মতো রাসায়নিক পদার্থকে জীবনের উপযোগি শক্তিতে রূপান্তরিত করে।

প্রশান্ত মহাসাগরের ৩১ হাজার ফুটের বেশি নিচে বসবাসকারী প্রাণী ও জীবাণু সম্পূর্ণ অন্ধকারে একটি অনন্য খাদ্যশৃঙ্খলের ভিত্তি তৈরি করেছে। সেখানকার চাপ সমুদ্রপৃষ্ঠের তুলনায় এক হাজার গুণ বেশি ও তাপমাত্রা হিমাঙ্কের কাছাকাছি হতে পারে। মনুষ্যসৃষ্ট মেশিন ও পানির নিচের যানবাহন এ ধরনের চরম পরিস্থিতিতে টিকে থাকতে পারে না।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র র ৩১ হ জ র ফ ট র ব শ জ বন র

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকায় ভিসা আবেদন কেন্দ্র চালু করেছে ফ্রান্স

রাজধানী ঢাকায় অত্যাধুনিক ভিসা আবেদন কেন্দ্র চালু করেছে ফ্রান্স। স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি ভিসাপ্রার্থী বাংলাদেশি আবেদনকারীদের উন্নত সেবা দেওয়ার জন্য আবেদন কেন্দ্রটি চালু করা হয়েছে।

বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গুলশান অ্যাভিনিউয়ের র‌্যাংগস জেড স্কয়ারে এ কেন্দ্র গত মঙ্গলবার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুই।

আবেদনকারীরা বুধবার থেকে ভিএফএস গ্লোবালের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আগে অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করে এ কেন্দ্রে তাদের ভিসা আবেদন জমা দিতে পারবেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত মাসদুপুই বলেন, এ উদ্যোগের লক্ষ্য হলো বাংলাদেশিদের ভ্রমণের সুবিধা আর দক্ষতা বাড়ানো।

রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, এর ফলে দৈনিক আবেদন জমা পড়ার সংখ্যা বাড়বে, অ্যাপয়েন্টমেন্ট পেতে অপেক্ষার সময় কমবে, অর্থ প্রদানের বিকল্পগুলো আধুনিকীকরণ হবে এবং একটি বিশেষায়িত কেন্দ্রের মাধ্যমে আবেদনকারীদের অভিজ্ঞতা আরও উন্নত হবে।

ভিএফএস গ্লোবাল ২০০৪ সাল থেকে ভিসা প্রক্রিয়া করার কাজে ফরাসি সরকারের সঙ্গে কাজ করছে। বর্তমানে ২৯টি দেশে ফ্রান্সের জন্য ৭০টি ভিসা কেন্দ্র পরিচালনা করছে তারা।

ভিএফএস গ্লোবাল জানিয়েছে, তাদের ভূমিকা কেবল আবেদনপত্র সংগ্রহ, প্রয়োজনীয় নথিপত্র ও বায়োমেট্রিক তালিকাভুক্তির মতো প্রশাসনিক কাজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে।

শেনজেন ব্যবস্থার আওতায় ভিসাসংক্রান্ত সিদ্ধান্ত, অনুমোদন ও প্রত্যাখ্যান করা ফরাসি দূতাবাসের এখতিয়ারভুক্ত।

নতুন এ আবেদন কেন্দ্রটি রবি থেকে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত খোলা থাকবে। অনলাইনে অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করতে পারবেন https://visa.vfsglobal.com/bgd/en/fra এই ঠিকানায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ