‘ফসল ও প্রাণিজ উৎপাদনে ব্যবহৃত অ্যান্টিবায়োটিক গুরুতর হুমকি হয়ে উঠছে’
Published: 3rd, August 2025 GMT
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলিমুল ইসলাম বলেছেন, “আমরা ফসল ও প্রাণিজ উৎপাদনে যেসব অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করে যাচ্ছি, তা মানবস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য গুরুতর হুমকি হয়ে উঠছে। বর্তমানে মাছের ক্ষেত্রে মাল্টিড্রাগ ও এক্সট্রিম ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট অর্গানিজম পাওয়া যাচ্ছে, যা পরিবেশের জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে। এ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে আমরা অর্গানিক উপায়ে মাছ চাষ শুরু করেছি। আগামী দিনে সেখানে মাছের জন্য ভ্যাকসিন ব্যবহার করার পরিকল্পনা রয়েছে।
রবিবার (৩ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়াম ভবনে পূবালী ব্যাংক পিএলসি প্রদত্ত বাস হস্তান্তর অনুষ্ঠান এবং বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের প্রধান সড়কের আইল্যান্ডে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “আমি একটি ভ্যাকসিন উদ্ভাবন করেছি, যা এলুমিনাস ভিরুনি ও এলুমিনাস হাইড্রোফিলা ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কার্যকর। এই ব্যাকটেরিয়াগুলো মাছের আলসারেটিভ সিনড্রোম নামক মারাত্মক রোগের জন্য দায়ী। এ রোগ হলে মাছের গায়ে পচন ধরে, মাংস ফুলে ওঠে, কিন্তু মাছ জীবিত অবস্থায় সামনের দিকে নড়তে থাকে। আমার উদ্ভাবিত এই ভ্যাকসিন মাছকে এ রোগ থেকে সুরক্ষা দেবে এবং মৎস্য খাতে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা হ্রাস করবে।”
আরো পড়ুন:
এসএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিল শাবিপ্রবি প্রশাসন
স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
তিনি আরো বলেন, “পলিকালচার করলে এই রোগ বেশি হয়। এসব রোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আমরা মনোকালচার করতে পারি। এসব কিছু আমরা কৃষকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে চাই।”
পরিবহন বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড.
বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এটিএম মাহবুব-ই-ইলাহী, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামিউল আহসান তালুকদার , প্রক্টর অধ্যাপক ড. জসিম উদ্দিন আহমেদ, পূবালী ব্যাংক পিএলসির জেনারেল ম্যানেজার চৌধুরী মো. শফিউল হাসান প্রমুখ।
ঢাকা/আইনুল/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।
দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।
ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।
৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।
ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট