আলো আর আসবে না, আপনারা অন্ধকারে নিমজ্জিত: উজ্জ্বল
Published: 3rd, August 2025 GMT
‘আরো দিব রক্ত, করব ফ্যাসিবাদ দোসর মুক্ত/ রক্তের ঋণে স্বাধীনতা, জাগ্রত হোক মানবতা’- এমন প্রতিপাদ্য নিয়ে পালিত হলো চলচ্চিত্রের কালো দিবস।
রবিবার (৩ আগস্ট) সকালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের মূল ফটকের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন চলচ্চিত্র অঙ্গনের কর্মীরা।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রজনতার আন্দোলনে নির্বিচারে গুলি ও গণহত্যার সমর্থনে গত বছরের ২ আগস্ট বিটিভি প্রাঙ্গণে এবং ৩ আগস্ট বিএফডিসিতে তৎকালীন হাসিনা সরকারের ইন্ধনদাতা শিল্পী-কলাকুশলীদের বিচার এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে বর্জন করার দাবিতে জুলাই আন্দোলনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মানববন্ধন ও চলচ্চিত্রের কালো দিবস পালন করেন তারা।
অভিনেতা আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বল বলেন, “আজ বাংলাদেশ স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছে। কিন্তু দোসরমুক্ত হয়নি। আজ আমরা যেখানে দাঁড়িয়ে আছি এখানে গত বছরের এই দিনে কিছু সুবিধাবাদী, স্বৈরাচারের দোসররা অবস্থান নিয়েছিল ছাত্র-জনতার বিপক্ষে। তারা ‘আলো আসবেই’ গ্রুপের সদস্য। তাদের বলতে চাই- আলো আর আসবে না। আলো বন্ধ হয়ে গেছে, তেল শেষ হয়ে গেছে। আপনারা অন্ধকারে নিমজ্জিত। আর আপনাদের চেহারা দেখা যাবে না।”
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন নির্মাতা বদিউল আলম খোকন, চিত্রনায়ক আবির চৌধুরী, অভিনেতা মারুফ আকিব, জেবাসহ অনেকেই।
অনুষ্ঠানে বক্তারা জুলাই আন্দোলনে ফ্যাসিস্টদের পক্ষ নেওয়া শিল্পী ও কলাকুশলীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে ক্ষমা চাইতে বলেন। অন্যথায় এসব শিল্পী-কলাকুশলী ও ‘আলো আসবেই’ গ্রুপের সদস্যদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবেন বলেও জানানো হয়। একইসঙ্গে আন্দোলনের বিপক্ষে থাকা শিল্পী-কলাকুশলীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে বর্জন করার দাবি জানান।
ঢাকা/রাহাত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেটের ৩ জেলায় বাস চলাচল বন্ধ
বাস চালক গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলায় আন্তঃজেলা বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন পরিবহন শ্রমিকরা।
রবিবার (৩ আগস্ট) দুপুর থেকে হবিগঞ্জ-সিলেট, মাধবপুর-সিলেট ও হবিগঞ্জ-মৌলভীবাজার-সিলেট রুটে এই অঘোষিত ধর্মঘট শুরু হয়। ফলে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।
ধর্মঘটের কারণে দুপুর থেকেই হবিগঞ্জ টার্মিনালে গিয়ে যাত্রীরা বাস না পেয়ে ফিরে গেছেন। অনেকে বিকল্প উপায়ে গন্তব্যে রওনা হন।
আরো পড়ুন:
ছয় ঘণ্টা পর বাঘাইছড়িতে যান চলাচল স্বাভাবিক
ছাত্রদল-এনসিপির সমাবেশ রবিবার: যান চলাচলে ডিএমপির নির্দেশনা
সরেজমিনে বিকেল ৫টার দিকে হবিগঞ্জ বাস টার্মিনালে দেখা যায়, বিভিন্ন স্থানে এলোমেলোভাবে বাস দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। যাত্রীরা টার্মিনালে এসে বাস চলাচল বন্ধের খবর পেয়ে হতাশা নিয়ে ফিরে যান।
লাখাই থেকে শিশু সন্তানসহ হবিগঞ্জে আসা নুরুল মিয়া ও খাদিজা আক্তার দম্পতি বাস না পেয়ে ফিরে যান। ক্ষুব্ধ নুরুল মিয়া বলেন, “আগে জানলে আসতাম না। এখন বাচ্চা নিয়ে বিপদে পড়লাম।”
হবিগঞ্জ মোটর মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আবু মঈন চৌধুরী সোহেল বলেন, “গত পরশু কণকপুরে আমাদের একটি বাসের সঙ্গে সংঘর্ষে অটোরিকশার যাত্রী মারা যান। পুলিশ দুর্ঘটনায় জড়িত চালককে না পেয়ে আরেকটি বাসের চালক মান্না দেবকে গ্রেপ্তার করে। বিষয়টি জানানো সত্ত্বেও পুলিশ অতি উৎসাহী হয়ে নিরপরাধ চালককে ধরেছে।”
তিনি আরো বলেন, “এ ঘটনার প্রতিবাদে সিলেট পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন ও হবিগঞ্জ মোটর মালিক গ্রুপ অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”
তিনি আরো বলেন, “রবিবার সকাল ১১টা থেকে সিলেট টার্মিনাল থেকে কোনো বাস ছাড়েনি। নিরপরাধ চালক মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে।”
ঢাকা/মামুন/মাসুদ