চ্যাটজিপিটিতে পণ্য কেনাকাটার সুবিধা চালু করছে ওপেনএআই
Published: 6th, August 2025 GMT
ব্যবহারকারীর নির্দেশমতো নিজ থেকে বার্তা, নিবন্ধ বা কবিতা লিখে দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের পরামর্শ দেওয়ায় অনেকেই নিয়মিত চ্যাটজিপিটি চ্যাটবট ব্যবহার করেন। এবার চ্যাটজিপিটির মাধ্যমে সরাসরি অনলাইনে পছন্দের পণ্য খুঁজে পাওয়ার পাশাপাশি কেনাও যাবে।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, চ্যাটজিপিটিতে পরীক্ষামূলকভাবে ‘শপিং’ সুবিধা চালু করা হয়েছে। সুবিধাটি চালু করে ব্যবহারকারীরা কোনো পণ্যের নাম লিখলে সেটি কোথা থেকে কেনা যাবে, তা জানাবে চ্যাটজিপিটি। ব্যবহারকারীরা সেই পণ্য কিনলে, সংশ্লিষ্ট বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান থেকে বিক্রয়লব্ধ অর্থের একটি অংশ লাভ হিসেবে পাবে ওপেনএআই।
আরও পড়ুনচ্যাটজিপিটির সঙ্গে কথোপকথনের তথ্য ফাঁস, দেখা যাচ্ছে অনলাইনে০৩ আগস্ট ২০২৫চ্যাটজিপিটিতে পণ্য কেনাকাটার সুবিধা অনেকটা গুগলের প্রচলিত অ্যাফিলিয়েট বিপণন পদ্ধতির মতো। নতুন এই সুবিধা কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ওপেনএআই জনপ্রিয় ইকমার্স মাধ্যম শপিফাই এর সঙ্গে অংশীদারত্বে যেতে পারে। এতে প্রতিষ্ঠানটির আয়ের নতুন একটি উৎস তৈরি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ব্লিপিংকম্পিউটার জানিয়েছে, চ্যাটজিপিটির ওয়েব সংস্করণে ইতিমধ্যে ‘শপিং’, ‘চেকআউট’ ও ‘অর্ডার’ নামের কয়েকটি নতুন অপশন বা টগল যুক্ত করা হয়েছে, যা থেকে ধারণা করা হচ্ছে, সুবিধাটি এখন পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। অবশ্য এই সুবিধা কবে নাগাদ সব ব্যবহারকারীর জন্য উন্মুক্ত হবে, সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ঘোষণা দেয়নি ওপেনএআই।
সূত্র: ব্লিপিং কম্পিউটার
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবহ র
এছাড়াও পড়ুন:
ওপেনএআই আনছে পকেট আকারের এআই যন্ত্র
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) কোম্পানি ওপেনএআই নতুন এক যন্ত্র তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। এ জন্য প্রতিষ্ঠানটি অ্যাপলের শীর্ষ সরবরাহকারী লাক্সশেয়ারের সঙ্গে চুক্তি করেছে। প্রযুক্তিবিষয়ক সংবাদমাধ্যম দ্য ইনফরমেশনের বরাতে এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স। যন্ত্রটি এখনো নমুনা পর্যায়ে রয়েছে। পকেট আকারের এ গ্যাজেট ব্যবহারকারীর প্রেক্ষাপট বুঝে কাজ করতে পারবে এবং সরাসরি ওপেনএআইয়ের নিজস্ব এআই মডেলের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে। আইফোন ও এয়ারপড তৈরির জন্য পরিচিত লাক্সশেয়ার এ প্রকল্পে বৃহৎ পরিসরে উৎপাদনের সুবিধা দেবে।
প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, এ উদ্যোগ স্মার্টফোন ও প্রচলিত যন্ত্রের আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে। ব্যবহারকারীরা এ যন্ত্রের মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে সম্পূর্ণ ভিন্ন ও নতুন ধরনের অভিজ্ঞতা পাবেন। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ওপেনএআইয়ের এই পণ্য বাজারে এলে সরাসরি প্রতিযোগিতা তৈরি হবে অ্যাপল, স্যামসাং ও গুগলের মতো শীর্ষ প্রযুক্তি নির্মাতাদের সঙ্গে। প্রকল্পের অংশ হিসেবে ওপেনএআই চীনা প্রতিষ্ঠান গোরটেকের সঙ্গেও আলোচনা করছে। এয়ারপড, হোমপড ও অ্যাপল ওয়াচ তৈরিতে অভিজ্ঞ এই প্রতিষ্ঠান থেকে স্পিকার মডিউলসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ সরবরাহ নেওয়ার পরিকল্পনা করছে তারা। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, এ পদক্ষেপ এআইভিত্তিক কোম্পানিগুলোর জন্য সবচেয়ে বড় ঝুঁকি ও সম্ভাবনার মধ্যে একটি। কারণ, এখানে বিদ্যমান প্ল্যাটফর্ম স্মার্টফোন বা কম্পিউটারের ওপর নির্ভর না করে সম্পূর্ণ নতুন ডিভাইস তৈরির চেষ্টা করছে ওপেনএআই।
এর আগে ওপেনএআই ৬৫০ কোটি ডলারে (৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন) অ্যাপলের সাবেক প্রধান ডিজাইনার জনি আইভ প্রতিষ্ঠিত হার্ডওয়্যার কোম্পানি ‘আইও প্রোডাক্টস’ অধিগ্রহণ করে। এ চুক্তির মাধ্যমে জনি আইভ ও তার সাবেক অ্যাপল ডিজাইন দলকে নিজেদের দলে টেনে নেয় ওপেনএআই। বর্তমানে ওপেনএআইয়ের নতুন যন্ত্রের নকশার নেতৃত্ব দিচ্ছেন জনি আইভ। তিনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক নতুন প্রজন্মের কনজ্যুমার ডিভাইস তৈরির কাজে নিয়োজিত আছেন। প্রথম পণ্যটি ২০২৬ সালে বাজারে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওপেনএআইয়ের প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যান আশাবাদী, প্রতিষ্ঠানটি অন্তত ১০ কোটি (১০০ মিলিয়ন) এআই ডিভাইস বিক্রি করতে পারবে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া