বন্দরে ৩ নারী মাদক কারবারিসহ গ্রেপ্তার ৪, গাঁজা উদ্ধার
Published: 6th, August 2025 GMT
বন্দরে ৩ নারী মাদক কারবারিসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১’র একটি আভিযানিক দল। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে ২২ কেঁজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত মাদক কারবারিরা হলো রাজশাহী জেলার বেলপুকুর থানার রেল পুকুরিয়া এলাকার মনিরুজ্জামান মিয়ার ছেলে হৃদয় (২০) কুমিল্লা জেলার দক্ষিন থানার সুবর্নপুর এলাকার মোর্শেদ মিয়ার মেয়ে নিঝুম (২৫) একই এলাকার ফারুক মিয়ার মেয়ে তাসলিমা আক্তার রুবি (১৯) ও মাগুড়া জেলার সদর থানার চাুদপুর এলাকার গোলাম বিশ্বাস মিয়ার মেয়ে রাহিমা খাতুন (২৪)।
গাঁজা উদ্ধারের ঘটনায় র্যাব-১১ নায়েক সুবেদার গিয়াস উদ্দিন বাদী হয়ে বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় মাদক আইনে মামলা রুজু করেছে। যার মামলা নং- ৭(৮)২৫।
গ্রেপ্তারকৃতদের উল্লেখিত মামলায় ওই দিন দুপুরে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এর আগে গত মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাত পৌনে ১টায় বন্দর থানার মদনপুর রাফি ফিলিং স্টেশনের সামনে থেকে এদেরকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
র্যাব-১১ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত মাদক কারবারিরা দীর্ঘ দিন ধরে মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১ একটি আভিযানিক দল বন্দর উপজেলার মদনপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে উল্লেখিত গাঁজাসহ এদেরকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ গ র প ত রক ত এল ক র য ব ১১
এছাড়াও পড়ুন:
মদনগঞ্জ-মদনপুর সড়ক সংস্কারে কাজ শুরু
বন্দরে বেহাল মদনগঞ্জ-মদনপুর সড়ক সংস্কারে দীর্ঘদিন ধরে চলছিল টালবাহানা। দুর্ঘটনা, যানজট ও তীব্র জনদুর্ভোগের পরও সড়কটি নিয়ে ছিল না কর্তৃপক্ষের কার্যকর কোনো উদ্যোগ।
তবে অবশেষে ছাত্র-জনতার টানা আন্দোলনের মুখে রোববার থেকে সংস্কার কাজ শুরু করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করে। গর্তে পড়ে মানুষ আহত হওয়ার ঘটনাসহ সড়কে চলাচল অকার্যকর হয়ে যাওয়ায় এই প্রতিবাদে তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়ে স্থানীয়রা।
সড়ক অবরোধের একপর্যায়ে সড়ক ও জনপথ এর কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে এসে কাজ শুরুর আশ্বাস দেন।
তবে সংস্কার কাজ শুরু হলেও তা মানসম্পন্ন নয় বলে অভিযোগ উঠেছে। বড় বড় গর্তে কেবল ইট ফেলে ‘জোড়াতালি’ মেরামত চলছে। এতে স্থানীয়দের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।
কারণ, এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিনই ওভারলোডিং সিমেন্ট কারখানাসহ বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ভারি যানবাহন চলাচল করে। ফলে শুধু ইট বিছিয়ে কোনো টেকসই সমাধান আসবে না বলেই মনে করছেন সবাই।
এদিকে আন্দোলনের সময় রাস্তার পাশে বাঁধ নির্মাণের দাবিও উঠে আসে, যা বাস্তবায়নে আশ্বাস দিয়েছে আশপাশের কয়েকটি কারখানা কর্তৃপক্ষ। তবে আন্দোলনকারীদের একটাই দাবড়িয়ে সড়কে মানসম্পন্ন, টেকসই এবং পূর্ণাঙ্গ উন্নয়ন ছাড়া বিকল্প নেই।