মিয়ানমারের জান্তা সরকারের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট মিন্ট সোয়ে (৭৪) আজ বৃহস্পতিবার মারা গেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। দেশটির জান্তার পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

সাড়ে চার বছর আগে মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান হয়। উৎখাত করা হয় গণতান্ত্রিক নির্বাচিত সরকারকে। গ্রেপ্তার হন নোবেলজয়ী অং সান সু চিসহ গণতন্ত্রপন্থী নেতারা।

এরপরই মিয়ানমারের জান্তা জরুরি অবস্থা জারি করে। সেই সঙ্গে একজন জেনারেলকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেয়। তিনিই মিন্ট সোয়ে।

আরও পড়ুনভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট নিয়োগ, মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা জারি০১ ফেব্রুয়ারি ২০২১

মিয়ানমারের সামরিক তথ্য দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, বৃহস্পতিবার রাজধানী নেপিডোর একটি সামরিক হাসপাতালে মারা গেছেন মিন্ট সোয়ে।

মিন্ট সোয়ে দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। বছরখানেকের বেশি সময় আগে থেকে অসুস্থতার কারণে তিনি জনসম্মুখে আসছিলেন না। মনে করা হতো, তিনি দাপ্তরিক কাজও বন্ধ রেখেছিলেন।

সামরিক তথ্য দপ্তর পৃথক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রয়াত ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া হবে। তবে তারিখ এখনো জানানো হয়নি।

আরও পড়ুনমিয়ানমার ভেঙে কি কয়েক ভাগ হয়ে যাবে?২০ নভেম্বর ২০২৩

এর আগে মঙ্গলবার মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে জানানো হয়, ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট মিন্ট সোয়ের শারীরিক অবস্থা সংকটজনক। তিনি গত ২৪ জুলাই থেকে নেপিডোর সামরিক হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যায় রয়েছেন।

মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর যেসব জান্তা কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, তাঁদের মধ্যে মিন্ট সোয়েও ছিলেন।

আরও পড়ুনডিসেম্বরের নির্বাচনকে সামনে রেখে মিয়ানমারে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন৩১ জুলাই ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

ভোলাগঞ্জে সাদাপাথর লুট: ৬ দপ্তর ও বেলার কাছে নথি চেয়েছে দুদক

সিলেটের ভোলাগঞ্জে সাদাপাথর লুটপাটের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের খোঁজে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ নিয়ে ছয়টি সরকারি দপ্তর ও বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) কার্যালয়ের কাছে নথিপত্র চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে সংস্থাটি।

সম্প্রতি দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পৃথকভাবে এসব চিঠি পাঠানো হয়। দুদকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

যে দপ্তরগুলোর কাছে নথি তলব করা হয়েছে, সেগুলো হলো সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়, জেলা প্রশাসন অফিস, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, কোম্পানীগঞ্জ থানা, খনিজ সম্পদ ব্যুরো ও খনিজ সম্পদ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় এবং বেলার সিলেট অফিস।

দুদক সূত্র জানায়, চিঠিগুলোয় যেসব তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ভোলাগঞ্জ এলাকায় খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো (বিএমডি) যেসব তদন্ত করেছে, তার সত্যায়িত কপি ও তদন্ত কর্মকর্তাদের বিস্তারিত পরিচয়; কী পরিমাণ পাথর উত্তোলন বা আত্মসাৎ করা হয়েছে এবং কতটা অবশিষ্ট রয়েছে, তার তথ্য; পাথর উত্তোলনের কারণে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতির হিসাব; পাথর লুট নিয়ে বিএমডি থেকে দায়ের করা মামলার এজাহারের কপি, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নাম ও গ্রেপ্তারকৃতদের তালিকা এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ও দায়ী সরকারি–বেসরকারি ব্যক্তিদের নাম।

আরও পড়ুনপাথর তোলায় রাজনৈতিক দলের ‘ঐকমত্য’, পরে লুট, ঘটল কীভাবে ১৪ আগস্ট ২০২৫

এর আগে ৩ সেপ্টেম্বর দুদক জানিয়েছিল, ভোলাগঞ্জে সাদাপাথর লুটপাটে রাজনীতিবিদ ও সরকারি কর্মকর্তাসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মিলেছে। উপপরিচালক রাশেদুল হাসানের নেতৃত্বে একটি দল অনুসন্ধানের দায়িত্ব পেয়েছে।

দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, অভিযানে প্রাথমিক সত্যতা মেলায় অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। অপরাধের মাত্রা ও সংশ্লিষ্টতার ধরন বিবেচনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ