নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে পৃথক অভিযানে দেশীয় অস্ত্রসহ ছয়জন ডাকাত ও বিপুল পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার করেছে র‍্যাব-১১।

রবিবার (১০ আগস্ট) দিবাগত রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ডাকাতি ও ছিনতাই রোধকল্পে  সোনারগাঁয়ে উপজেলার পাঁচকানির কান্দি এলাকায় অভিযান চালায় র‌্যাব।

সোমবার (১১ আগস্ট) বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জে র‍্যাব-১১ এর কার্যালয়ে এক সংবাদ বিবৃতিতে এ তথ্য জানান অধিনায়ক লে.

কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন। 

আরো পড়ুন:

কুবির নজরুল হল থেকে গুলি ও গাঁজা উদ্ধার

কালীগঞ্জে তরুণদের হাতে মাদক ব্যবসায়ী আটক

অভিযান চলাকালে ছয়জন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে চাপাতি, চাইনিজ কুড়াল, ছুরি, সুইচ গিয়ার ও দা জব্দ কর হয়। এছাড়া পিরোজপুরের বটতলা থেকে ১০১ কেজি গাঁজাসহ একটি মিনি ট্রাক জব্দ করা হয়।

গ্রেপ্তার ডাকাত দলের সদস্যরা হলেন, মফিজুল ইসলাম ওরফে জামিল বাবু, সাইফুল ইসলাম ওরফে সাকিব,মানিক, সাদ্দাম, সহিদ ও মনির হোসেন। 

লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন জানান, দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা ব্রিজের টোল প্লাজার অভিমুখে যানজটে বা কৃত্রিমভাবে যানজট সৃষ্টি করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে যাত্রীবাহী ও মালবাহী গাড়িতে আক্রমণ করে মোবাইল, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ছয়জনকে আটক করলে তাদের কাছ থেকে ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়।

তিনি জানান, পিরোজপুর বটতলা এলাকা থেকে ১০১ কেজি গাঁজাসহ একটি মিনি ট্রাক জব্দ করা হয়। তবে এর সঙ্গে জড়িতদের আটক করা সম্ভব হয়নি, পালিয়ে যায় আসামীরা। তাদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ঢাকা/অনিক/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

জুম্ম ছাত্র-জনতার প্রতিনিধিত্ব করা ছয়জনই ইউপিডিএফের: পার্বত্য উপদেষ্টা

খাগড়াছড়িতে অবরোধের ডাক দেওয়া সংগঠন ‘জুম্ম ছাত্র-জনতা’-এর প্রতিনিধিত্ব করা ব্যক্তিরা পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সঙ্গে যুক্ত বলে দাবি করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। গতকাল সোমবার রাতে রাঙামাটি শহরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মণ্ডপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ দাবি করেন তিনি।

সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, ‘জুম্ম ছাত্র-জনতা নামে যে গ্রুপটা হয়েছে, তাদের সঙ্গে আমি আজ কথা বলেছি। ছয়জন এসেছিলেন তাঁরা, ছয়জনই ইউপিডিএফের। কারণ, খাগড়াছড়ি এলাকায় ইউপিডিএফ ছাড়া কোনো কিছু নাই। আমি একে একে তাঁদের জিজ্ঞাসা করেছি, তাঁরা বলেছেন, আমরা ছয়জনই ইউপিডিএফ।’

সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, ‘কোনো অপরাধ নয় এটা, মতাদর্শ থাকতেই পারে। আমি ওদের বলেছিলাম, দেখুন গত কয়েক দিনে আপনারা যা যা করলেন, আমার মনে হয় না এটি ম্যাচিউরড ওয়েতে হয়েছে, ম্যাচিউরিটির কমতি এখানে আছে।’

আরও পড়ুনখাগড়াছড়িতে আজও অবরোধ চলছে, স্থবির জনজীবন২ ঘণ্টা আগে

পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, ‘তাঁরা (পাহাড়িরা) সব সময় স্লোগান দেন, সেনা হটাও। এই দুনিয়াতে কিছু বাস্তবতা আছে। যে বাস্তবতার বাইরে আমরা এত সহজে যেতে পারব না। এমনও দিন আসবে, আমরা তাঁদের জোর করে ধরে রাখলেও রাখতে পারব না।’

পূজামণ্ডপ পরিদর্শনের সময় পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টার সঙ্গে রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ, জেলা পুলিশ সুপার এস এম ফরহাদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জুম্ম ছাত্র-জনতার হয়ে গতকাল পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমার সঙ্গে দেখা করতে যাওয়া ছয়জন হলেন—কৃপায়ন ত্রিপুরা, ছদক চাকমা, পিন্টু চাকমা, তোষিতা চাকমা, মানিক চাকমা ও বাগীশ চাকমা।

জানতে চাইলে জুম্ম ছাত্র-জনতার মুখপাত্র কৃপায়ন ত্রিপুরা বলেন, তাঁদের ছয়জনকে ইউপিডিএফ ট্যাগ লাগানো উদ্দেশ্যমূলক, অপমানজনক ও ভিত্তিহীন। উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা এই বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে জুম্ম ছাত্র-জনতা আর কোনো আলোচনায় অংশ নেবে না। জনগণের ন্যায্য দাবি আদায়ে আন্দোলন অব্যাহত রাখা হবে। ইউপিডিএফের অন্যতম সংগঠক অংগ্য মারমা প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওই ছয়জন আমাদের সদস্য বা কর্মী নয়।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মাছ ধরতে গিয়ে ৫ জেলায় বজ্রপাতে ছয়জনের মৃত্যু, বসতবাড়িতে আগুন
  • জুম্ম ছাত্র-জনতার প্রতিনিধিত্ব করা ছয়জনই ইউপিডিএফের: পার্বত্য উপদেষ্টা