সোনারগাঁ উপজেলার প্রাচীনতম বিদ্যাপিঠ সোনারগাঁ জি. আর ইনস্টিটিউশন মডেল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষকদের পেশাগত মান উন্নয়নে প্রতিফলনমূলক শিক্ষণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার প্রতিষ্ঠানের গঙ্গাবাসী অডিটোরিয়ামে দিনব্যাপী এ শিক্ষণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষণ কার্যক্রমে প্রশিক্ষক হিসেবে প্রশিক্ষণ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউউট(আইইআর) এর অধ্যাপক ড.

মো. খাইরুল ইসলাম।

এসময় তিনি শ্রেণি কক্ষে পাঠদানের বিভিন্ন কৌশল ও পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করেন। এছাড়া বিভিন্ন দেশের শিক্ষা পদ্ধতির সাথে বাংলাদেশের শিক্ষা পদ্ধতির পার্থক্য তুলে ধরেন।

কিভাবে পাঠদানকে আরো বেশি যুগোপযোগী করা যায় এবং শিক্ষার্থীরা আনন্দের সাথে পাঠদানে আগ্রহী হয়ে ওঠে এ ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ কর্মকৌশল নিয়ে শিক্ষকদের সাথে মত বিনিময় করেন।

সোনারগাঁ জি. আর ইনস্টিটিউশন মডেল স্কুল এন্ড কলেজের এডহক কমিটির সভাপতি মো. তুহিন মাহমুদের উদ্যোগে এ শিক্ষণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।

শিক্ষণ কার্যক্রমে এডহক কমিটির সভাপতি ও এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা মো. তুহিন মাহমুদ বলেন, সোনারগাঁ জি. আর ইনস্টিটিউশনের শিক্ষকদের পাঠদানের মান বৃদ্ধি করার জন্যই মূলত এ কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে।

এ ধরেনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। আশা করিএ কার্যক্রমের মাধ্যমে সোনারগাঁ জি.আর ইনস্টিটিউশনের শিক্ষার মান উন্নয়ন হবে।

এ সময় সোনারগাঁ জি. আর ইনস্টিটিউশন মডেল স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফরিদা ইয়াছমিন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের এডহক কমিটির সভাপতি মো. তুহিন মাহমুদ।

অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এডহক কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি এখলাছুর রহমান, কলেজ শাখার শিফট ইনচার্জ সহকারী অধ্যাপক মো. নূরুল হক, স্কুল শাখার শিফট ইনচার্জ অলক কুমার সাহা ও কলেজ শাখার সহকারী অধ্যাপক শফিকুল ইসলামসহ স্কুল ও কলেজ শাখার সকল শিক্ষকবৃন্দ।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ স ন রগ

এছাড়াও পড়ুন:

অনুমোদনের প্রথম দিন সেন্ট মার্টিন যায়নি কোনো পর্যটকবাহী জাহাজ

দীর্ঘ ৯ মাস পর শনিবার থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু প্রথম দিন কোনো জাহাজ সেন্ট মার্টিনে না যাওয়ার কারণে পর্যটকেরা দ্বীপে যেতে পারেননি। হাজারো পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যেতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। অন্যদিকে জাহাজমালিকেরা বলছেন, সরকারের বিভিন্ন শর্তের কারণে পর্যটকদের আগ্রহ না থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দ্বীপটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ১ নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে সরকারের কোনো বাধা নেই। লিখিতভাবে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে দিনে গিয়ে দিনেই চলে আসতে হবে; রাতে থাকা যাবে না।

এদিকে রাতে থাকার সুযোগ না থাকায় পর্যটকেরা যেতে আগ্রহী হচ্ছেন না। কারণ, দীর্ঘ সময় ভ্রমণ করে দ্বীপে গিয়ে আবার সেদিনই চলে আসতে হবে। এ কারণে জাহাজমালিকেরাও জাহাজ চালাতে অনীহা প্রকাশ করছেন। তাঁদের দাবি, দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম বলেন, জাহাজমালিকেরা যদি জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার। সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের জারি করা ১২টি নির্দেশনা এবার কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে জেলা প্রশাসন।

শাহিদুল আলম বলেন, আগে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করলেও নিরাপত্তার কারণে এখন কক্সবাজার শহর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিনে যাতায়াত করবে।

সি ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে জাহাজ ছেড়ে গেলে সেন্ট মার্টিন পৌঁছাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা সময় লাগে। ফলে পর্যটকেরা কিছুই ঘুরে দেখতে পারবেন না। দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ব্যবসার জন্যও তা অলাভজনক। এ কারণেই অনেক পর্যটক সেন্ট মার্টিন যেতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।

হোসাইন ইসলাম আরও বলেন, রাতযাপন করার সুযোগ না থাকলে সেন্ট মার্টিনের পর্যটন মৌসুম জমে না। পর্যটকেরা রাতের সৈকত দেখতে চান, ঢেউয়ের শব্দ শুনতে চান। সেটাই তো সেন্ট মার্টিনের আসল আকর্ষণ।

পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিচালক মো. জমির উদ্দিন বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে। এ লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনসেন্ট মার্টিনে নিষেধাজ্ঞা উঠছে কাল, তবে জাহাজ চলবে কি৩১ অক্টোবর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ