বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ১৬ তরুণ–তরুণীকে গয়না বানানো শেখাল এসএমই ফাউন্ডেশন
Published: 19th, August 2025 GMT
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন তরুণ-তরুণীদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে চায় এসএমই ফাউন্ডেশন। এ জন্য প্রথমবারের মতো ১৬ জন এমন তরুণ-তরুণীকে গয়না বানানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সপ্তাহব্যাপী এই প্রশিক্ষণে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন তরুণ-তরুণী ও তাঁদের অভিভাবকদের গয়নাশিল্পের উপকরণ, সরঞ্জাম চেনা, সহজ নকশার কানের দুল, মালা ও চুড়ি তৈরি, রঙের ব্যবহার এবং সাজানোর কৌশল সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়। তুলনামূলক সহজ হওয়ায় প্রাথমিকভাবে বিডিং ও আপ-সাইকেল পদ্ধতিতে গয়না তৈরির প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ের একটি বেসরকারি টেলিভিশনের স্টুডিওতে সপ্তাহব্যাপী এই প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠান হয়। এ সময় প্রশিক্ষণ শেষে তাঁদের তৈরি পণ্য নিয়ে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। জানা গেছে, ভবিষ্যতে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন তরুণ-তরুণীরা আগ্রহী হলে আরও প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হবে।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো.
সমাপনী অনুষ্ঠানে মুসফিকুর রহমান বলেন, এসএমই ফাউন্ডেশন বিশ্বাস করে, এই প্রশিক্ষণ বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন তরুণ-তরুণীদের প্রতিভাকে আরও সৃজনশীল করার মাধ্যমে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে আত্মবিশ্বাসী করবে। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাঁরা ঘরে বসে হস্তশিল্পের মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। ফলে সমাজে তাঁদের অন্তর্ভুক্তি ও সম্মানজনক জীবনের পথ সহজ হবে।
এসএমই ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, শুধু প্রশিক্ষণ নয়, উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় প্রাথমিক সহায়তাও দেওয়া হবে অংশগ্রহণকারীদের। পরবর্তী সময়ে ফটোগ্রাফি, ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক ডিজাইন ও হস্তশিল্পের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। আগামী ১২তম এসএমই পণ্য মেলায় তাঁদের তৈরি পণ্য বিক্রির জন্য বিশেষ স্টল বরাদ্দের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ১১ হাজার ১০ কোটি টাকা
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (২৬ থেকে ৩০ অক্টোবর) সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এ সময়ে ডিএসই ও সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। তবে বিদায়ী সপ্তাহে উভয় পুঁজিবাজারে বাজার মূলধন বেশ কমেছে ১১ হাজার ১০ কোটি ২০ লাখ টাকা।
শনিবার (১ নভেম্বর) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য মতে, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৭.৬৭ পয়েন্ট বা ০.৫৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১২২ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ১০.৩৪ পয়েন্ট বা ০.৫২ শতাংশ কমে ১ হাজার ৯৮৭ পয়েন্টে, ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৫.৯২ পয়েন্ট বা ০.৫৪ শতাংশ কমে ১ হাজার ৮২ পয়েন্টে এবং ডিএসএমইএক্স সূচক (এসএমই ইনডেক্স) ৩৩.৭২ পয়েন্ট বা ৩.৩৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৯৭৬ পয়েন্টে।
বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৫৪৭ কোটি ১১ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৫ হাজার ৩৪৩ কোটি ৩ লাখ কোটি টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৫ হাজার ৭৯৫ কোটি ৯১ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ২৮৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ১৩৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১৪৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯২টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৭৭টির, দর কমেছে ১৭৯টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৬টির। তবে লেনদেন হয়নি ২১টির।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১২৭.৩৩ পয়েন্ট বা ০.৮৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ২৮৬ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক ০.৫৯ শতাংশ কমে ১২ হাজার ৬৫১ পয়েন্টে, সিএসসিএক্স সূচক ০.৭৭ শতাংশ কমে ৮ হাজার ৮১৩ পয়েন্টে, সিএসআই সূচক ০.৯৮ শতাংশ কমে ৮৯৮ পয়েন্টে এবং এসইএসএমইএক্স (এসএমই ইনডেক্স) ২.৮০ শতাংশ কমে ১ হাজার ৯৪৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৭০৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৩ হাজার ৯১৭ কোটি ৯২ লাখ টাকা। টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৫ হাজার ২১৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ৯৮ কোটি ২৪ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৬৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৩০ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ৩০৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১১৫টির, দর কমেছে ১৭০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টির শেয়ার ও ইউনিট দর।
ঢাকা/এনটি/ইভা