ত্রিশালে গণপিটুনিতে যুবকের মৃত্যু
Published: 25th, August 2025 GMT
ময়মনসিংহের ত্রিশালে রানা মিয়া (৩৫) নামে এক যুবক জনতার হাতে গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন। পুলিশের ভাষ্য, চুরির জন্য মসজিদের তালা ভাঙার সময় স্থানীয়রা ধরে তাকে মারধর করে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। তার বিরুদ্ধে চুরি ও ছিনতাইয়ের পাঁচটি মামলা রয়েছে।
রবিবার (২৪ আগস্ট) দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার মঠবাড়ী ইউনিয়নের রায়মনি মধ্যপাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
আরো পড়ুন:
রামুতে বাস-প্রাইভেটকার সংঘর্ষের ঘটনায় মা-মেয়ের মৃত্যু
নড়াইলে ঘেরে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু
নিহত রানা মিয়া ময়মনসিংহ সদর উপজেলার পরাণগঞ্জ ইউনিয়নের হিরন পলাশিয়া গ্রামর আমছর আলীর ছেলে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, রায়মনি মধ্যপাড়া বাইতুল রহমান জামে মসজিদে একাধিকবার চুরি হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছিল। গতকাল দিবাগত রাত ৩টার দিকে মসজিদের তালা ভাঙার শব্দ পান এলাকাবাসী। তারা রানা মিয়াকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করেন।
মসজিদের মাইক থেকে ঘোষণা দিয়ে লোকজন জড়ো করা হয়। এসময় উত্তেজিত জনতা রানা মিয়াকে গণপিটুনি দেন। ঘটনাস্থলেই মারা যান রানা মিয়া। পুলিশ মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
ত্রিশাল থানার ওসি মুনসুর আহমেদ বলেন, “রাত ৩টার দিকে মসজিদের তালা ভাঙার শব্দ পান স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা। তাদের চিৎকার শুনে আরো লোকজন জড়ো হয়ে রানা মিয়াকে ধরে গণপিটুনি দেয়। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।”
তিনি আরো বলেন, “নিহত রানার নামে বিভিন্ন থানায় চুরি-ছিনতাইসহ পাঁচটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে তার বিরুদ্ধে তারাকান্দা থানায় একটি, ময়মনসিংহ কোতোয়ালী থানায় তিনটি এবং গাজীপুরের জয়দেবপুর থানায় একটি মামলা রয়েছে। গণপিটুনির ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।”
ঢাকা/মিলন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম রধর অভ য গ গণপ ট ন মসজ দ র
এছাড়াও পড়ুন:
চোখে আলো ফেলা নিয়ে বাগ্বিতণ্ডার জেরে কৃষককে হত্যা
ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলায় চোখে টর্চলাইটের আলো পড়া নিয়ে বাগ্বিতণ্ডার জেরে ছুরিকাঘাতে এরশাদ আলী (৩৫) নামের এক কৃষক নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম সোহাগীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত এরশাদ আলী উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম সোহাগীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। খবর পেয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পশ্চিম সোহাগীপাড়া গ্রামে মানিক মিয়ার মুদিদোকানে যান এরশাদ আলী। এ সময় এরশাদ আলীর চোখে টর্চলাইটের আলো ফেলে বিরক্ত করেন একই গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে সাকিব মিয়া। এ নিয়ে দুজন বাগ্বিতণ্ডায় জড়ালে স্থানীয় লোকজন মিটমাট করে দেন। পরে এরশাদ আলীসহ সবাই যে যার মতো বাড়িতে চলে যান।
স্থানীয় সূত্র জানায়, আজ শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে এরশাদ আলীকে ডেকে নিয়ে আবার কথা-কাটাকাটি ও মারামারিতে জড়ান সাকিব ও তাঁর সঙ্গে আসা কয়েকজন। একপর্যায়ে এরশাদ আলীকে ছুরিকাঘাত করা হয়। স্থানীয় লোকজন আহত এরশাদ আলীকে উদ্ধার করে ধোবাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে অভিযুক্ত সাকিব মিয়াসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ।
ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন সরকার বলেন, পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে। নিহত এরশাদ আলীর শরীরে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন আছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।