ডিপ্লোমাদের অযৌক্তিক কোটার প্রতিবাদে যবিপ্রবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন
Published: 25th, August 2025 GMT
সরকারি চাকরিতে বিএসসি প্রকৌশলীদের প্রতি বৈষম্য নিরসনসহ তিন দফা দাবিতে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২৫ আগস্ট) স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু অ্যাকাডেমিক ভবনের সামনে থেকে যবিপ্রবির প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনারে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন।
আরো পড়ুন:
ডাকসুর ভোটার তালিকায় ছবি প্রকাশে অনিচ্ছুকদের আবেদনের আহ্বান
ভালো বন্ধু হতে পারে ভালো অভিভাবক: যবিপ্রবি উপাচার্য
তাদের দাবিগুলো হলো- নবম গ্রেড (সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদ) পদে প্রবেশের জন্য সবাইকে সমানভাবে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে এবং ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি হতে হবে, কোনোভাবেই কোটার মাধ্যমে পদোন্নতি নয়, এমনকি অন্য নামে সমমান পদ তৈরি করেও পদোন্নতি দেওয়া যাবে না; দশম গ্রেড (উপসহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদ) ডিপ্লোমাদের জন্য বরাদ্দকৃত ১০০ শতাংশ কোটা বাতিল করতে হবে, এই পদে ন্যূনতম যোগ্যতা হবে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং, তবে উচ্চতর যোগ্যতাসম্পন্ন বিএসসি বা এমএসসি ডিগ্রিধারীরাও আবেদন করতে পারবে; ‘ইঞ্জিনিয়ার’ পদবীর ব্যবহার শুধু বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রিধারী প্রকৌশলীরা ব্যবহার করতে পারবেন, অন্য কেউ এই পদবী ব্যবহার করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাই নাই’, ‘২৪ এর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘এই মুহূর্তে দরকার, কোটা প্রথার সংস্কার’, ‘কোটার নামে অবিচার, চলবে না চলবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রকৌশলীদের সরকারি চাকবিতে যে বৈষম্যমূলক কোটাব্যবস্থা রয়েছে, তার বিরুদ্ধে সারা বাংলাদেশের প্রকৌশলীরা ও প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় যবিপ্রবির প্রকৌশলী শিক্ষার্থীরাও আজ রাস্তায় নেমেছে। প্রকৌশল খাতে ২০১৩ সালে ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারের আমলে যে দশম গ্রেড সৃষ্টি করা হয়, সেখানে ১০০ শতাংশ ডিপ্লোমাদের জন্যে কোটা রয়েছে। এতে বিএসসি প্রকৌশলীদের প্রতি বৈষম্য করা হচ্ছে। আমাদের এই নবম গ্রেডেও প্রমোশনের মাধ্যমে ৩৩ শতাংশ কোটা তারা দখল করে নিচ্ছে। ফলে আমাদের অধিকার ক্ষুন্ন হচ্ছে।
তারা আরো বলেন, আমরা কোনো কোট চাই না। আমরা এখান থেকে সরকারকে হুঁশিয়ারি দিতে চাই, তারা যেন আমাদের দশম গ্রেডের জায়গাটা রয়েছে, সেটা সংস্কার করে আমাদেরকে পরীক্ষা দেওয়ার যথাযথ সুযোগ দেয় এবং প্রকৌশলীদের সঙ্গে এত বছর ধরে যে বৈষম্য হচ্ছে, দ্রুত এর যৌক্তিক অবসান করে ন্যায্য অধিকার দিতে হবে। এছাড়াও এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেন কোটা নয়, বরং মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ সম্পন্ন করে, এই আহ্বান জানাই।
ঢাকা/ইমদাদুল/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র য গ যত পর ক ষ প রক শ সরক র ব এসস
এছাড়াও পড়ুন:
চকবাজারে প্রিজন ট্রাকের ধাক্কায় ঠেলাগাড়ির শ্রমিক নিহত
রাজধানীর চকবাজারে প্রিজন ট্রাকের ধাক্কায় সোহাগ হাওলাদার (৩০) নামের ঠেলাগাড়ির এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন।
আজ রোববার বেলা সোয়া একটার দিকে চকবাজারের নাজিমুদ্দিন রোডে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
সহকারী প্রধান কারারক্ষী সাইফুল ইসলাম বলেন, দুপুরে কেরানীগঞ্জ থেকে কারা সদর দপ্তরের দিকে যাচ্ছিল ট্রাকটি। ট্রাকটি চালাচ্ছিলেন মনসুর নামের এক চালক। নাজিমুদ্দিন রোডে পৌঁছালে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
সোহাগের সহকর্মীরা বলেন, দুপুরে আগামাছি লেন থেকে তাঁরা চারজন মিলে ঠেলাগাড়িতে ইট বহন করে নাজিমুদ্দিন রোড দিয়ে যাচ্ছিলেন। নাজিমুদ্দিন রোডের বড় মসজিদের সামনে পৌঁছালে দ্রুতগতির একটি প্রিজন ট্রাক ঠেলাগাড়িতে ধাক্কা দেয়। এতে সোহাগ সড়কে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। পরে সোহাগকে উদ্ধার করে বেলা দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
সোহাগের সহকর্মী আশরাফুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনার পর এলাকাবাসী ট্রাক ও চালককে আটক করেছেন।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, সোহাগের মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।
নিহত সোহাগের বাড়ি বরিশালের মুলাদী উপজেলায়। বাবার নাম দুলাল হাওলাদার। স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে সোহাগ কেরানীগঞ্জের জিনজিরা এলাকায় থাকতেন।