রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের তৃতীয় দিনের মতো চলছে মনোনয়ন বিতরণ।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়েছে মনোনয়ন বিতরণ। এখন পর্যন্ত মনোনয়ন নিয়েছেন ২৯ জন। এর মধ্যে, ভিপি পদে দুইজন, জিএস পদে তিনজন এছাড়া অন্যান্য পদে মনোনয়ন নিয়েছেন আরো ২৪ জন শিক্ষার্থী।
আরো পড়ুন:
রাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ চেয়ে নবীনদের বিক্ষোভ
জাকসু নির্বাচন: ভিপি পদে ২০ ও জিএস পদে ১৭ জন প্রার্থী
সকাল থেকেই প্রার্থীরা দলে দলে এসে মনোনয়ন নিচ্ছেন। কেউ বন্ধুবান্ধব নিয়ে, কেউবা আসছেন স্ত্রী নিয়ে। এদের সবাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন নিয়েছেন। দুপুর ২টা পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের মনোনয়ন নিতে দেখা যায়নি।
জিএস (সাধারণ সম্পাদক) পদে মনোনয়ন নেওয়া গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন বলেন, “আজকের পরিবেশটা অনেক আমেজপূর্ণ তবে অনেকে এখনো মনোনয়ন নেননি। অনেকে দেখছি শোডাউন দিয়ে মনোনয়ন নিচ্ছেন। তবে আমি এই কালচার থেকে বেড়িয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন নিয়েছি। নির্বাচন নিয়ে আমি আশাবাদী। আমার কণ্ঠস্বর হবে সাধারণ শিক্ষার্থী।”
সহকারী সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে মনোনয়ন নিয়েছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের এস এম রিজন। তিনি বলেন, “আমার মনে হচ্ছে প্রশাসনের বেশ ঘাটতি আছ। কোনো ধরনের সেমিনার, লিফলেট, প্রচার নেই। এটা মনে হচ্ছে কোনো একটা ক্লাবের নির্বাচন। শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে একটা আমেজ তৈরি হবে, সেটার কোনো উদ্যোগ প্রশাসন নিচ্ছে না। তবে সাধারণ শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন প্যানেল মিলে বেশ উৎসবমুখর একটা পরিবেশ তৈরি হয়েছে।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, “আজ যারা ফর্ম তুলতে আসছে, তারা আমাদের অত্যন্ত আনন্দিত করছে। শিক্ষার্থীদের যে উৎসাহ, উদ্দীপনা, অংশগ্রহণ- সেটা সত্যিই প্রশংসনীয়। তারা ৩৫ বছর যে বঞ্চনার শিকার, তার একটা প্রতিফলন হতে যাচ্ছে। আমি আশা করি, অত্যন্ত সুন্দর একটা রাকসু আমাদের শিক্ষার্থীরা উপহার দেবে। আমরা তাদের অক্সিলারি ফোর্স হিসেবে সাহায্য করব।”
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জকসুসহ তিন দফা দাবি মেনে নিল প্রশাসন, ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন শিক্ষার্থীরা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা ও সম্পূরক বৃত্তিসহ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি মেনে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনের আশ্বাসে ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভেঙে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
বুধবার রাত দশটার দিকে প্রশাসনের পক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিলে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় অনশনরত শিক্ষার্থীদের ফলের রস খাইয়ে অনশন ভাঙানো হয়। শিক্ষার্থীদের অনশন ভঙ্গ করান করান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক ও সিন্ডিকেট সদস্য বিলাল হোসাইন।
এর আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক শেখ গিয়াসউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই মোতাবেক নির্বাচনের রূপরেখাও ঘোষণা করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আগামী জানুয়ারি থেকে আবাসন ভাতা পাবেন শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে বৃত্তির জন্য উপযুক্ত শিক্ষার্থীদের নভেম্বরের মধ্যে যাচাই-বাছাই করার কাজ শেষ করা হবে।
অনশনকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী ২৭ নভেম্বরের আগেই কেন্দ্রীয় পাঠাগারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র স্থাপন করা হবে। ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের মানোন্নয়নে প্রশাসন কাজ করবে।
আরও পড়ুনতিন দাবিতে ২৪ ঘণ্টা ধরে ৪ শিক্ষার্থীর অনশন, দুজন অসুস্থ১২ ঘণ্টা আগেএ সময় অনশনে বসা উদ্ভিদ বিজ্ঞানের বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। জকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে। আবাসন ভাতার জন্য প্রতিশ্রুত সময়ও দিয়েছে প্রশাসন। কেন্দ্রীয় পাঠাগারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র স্থাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ কারণে আমরা অনশন ভেঙে আন্দোলন প্রত্যাহার করেছি।
সতর্ক করে দিয়ে এ কে এম রাকিব আরও বলেন, যদি প্রশাসন ঘোষিত সময়ের মধ্যে আমাদের দাবিগুলো পূরণ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে সমস্ত দায় মাথায় নিয়ে সম্পূর্ণ প্রশাসনকে পদত্যাগ করতে হবে।
এর আগে তিন দফা দাবি আদায়ে গত মঙ্গলবার বেলা দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ রফিক ভবনের নিচে অনশন শুরু করেন চারজন শিক্ষার্থী। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) পক্ষ থেকে অনশন কর্মসূচি শুরুর কথা জানানো হয়। অনশনে বসা চার শিক্ষার্থীর মধ্যে তিনজন বাগছাসের নেতা।
আরও পড়ুনজকসু নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণা, ভোট ২৭ নভেম্বর২ ঘণ্টা আগে