বাকসুর তফসিলসহ ৯ দফা সংস্কার দাবি শিক্ষার্থীদের
Published: 26th, August 2025 GMT
ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত ও শিক্ষার পরিবেশ উন্নয়নে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (বাকসু) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাসহ ৯ দফা দাবিতে সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টায় এসব দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেন।
আরো পড়ুন:
রাকসু নির্বাচন: মনোনয়ন সংগ্রহের সময় ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বৃদ্ধি
ডাকসু নির্বাচন: জাতীয় কবির কবর জিয়ারত করে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের প্রচার শুরু
শিক্ষার্থীদের দাবি, অবিলম্বে বাকসুর পূর্ণাঙ্গ তফসিল ঘোষণা করতে হবে এবং কথিত সিজির ভিত্তিতে গঠিত ছাত্রসমিতি বিলুপ্ত করতে হবে। এছাড়া পরীক্ষায় রোলবিহীন খাতা মূল্যায়ন ও খাতা চ্যালেঞ্জের সুযোগ নিশ্চিত, কারিকুলাম আধুনিকীকরণ, ইমপ্রুভমেন্ট পরীক্ষার সুযোগ, ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের অনিয়ন্ত্রিত চলাচল সীমিতকরণ ও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান তারা।
শিক্ষার্থীরা আরো দাবি করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলথ কেয়ার সেবার মানোন্নয়ন করে সেটিকে ২০ শয্যা বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল সেন্টার হিসেবে কার্যকর করতে হবে, হল ডাইনিংয়ে মানসম্মত খাবার সরবরাহে পর্যাপ্ত ভর্তুকি প্রদান, এক্সট্রা-কারিকুলার কার্যক্রমের মানোন্নয়ন, আবাসন সংকট নিরসন ও চলমান সংস্কার কাজ দ্রুত শেষ করতে হবে।
তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘রিফর্ম বাউ, ফর স্টুডেন্ডস, ফর ফিউচার’ এই মন্ত্রে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করতেই এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
এ সময় ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থী রুপায়ন বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক চর্চা করা আমাদের প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার। সেক্ষেত্রে দেখা যায়, আমরা আমাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। আমরা চাই বাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে আমাদের থেকে নেতৃত্ব তৈরি উঠে আসুক।”
তিনি বলেন, “আমরা দেখেছি বিগত দিনের মতো ছাত্রদের মতামত উপেক্ষা করে সিলেকশন পদ্ধতিতে ছাত্র সমিতি ঘোষণা করা হয়েছে। যেখানে আমরা জুলাই আন্দোলনের পর নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি সেখানে আমদের প্রতিটি গণতান্ত্রিক চর্চা ব্যহত হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের ক্যাম্পাসে মেয়েদের আবাসন সংকট নিরসন ও ক্যাম্পাসে চলমান সংস্কার কাজ দ্রুত সময়ের ভিতর শেষ করতে হবে। আমাদের ৯ দফা দাবির সঙ্গে উপাচার্য স্যার একাত্মতা পোষণ করেছেন। আমরা বাকৃবির সব শিক্ষার্থী একত্রিত হয়ে দাবিগুলো পূরণ করবো। খুব শীঘ্রই আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ জানানো হবে।”
এ বিষয়ে বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড.
তিনি বলেন, “দীর্ঘদিন পরে হয়তো এ দাবিগুলো এসেছে। এক বছরের মধ্যে আমার কাছে আজই তারা প্রথম এসেছ। আমি তাদের কাগজ নিয়েছি প্রতিটা বিষয়ে কথা বলেছি। আমি বলছি যে আমাদের কর্তৃপক্ষ এবং আমরা এগুলো দেখব- কোনটা, কিভাবে, কি করা যায়। আমরা পজিটিভ ভাবে নিচ্ছি জিনিসগুলো।”
ঢাকা/লিখন/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গণত ন ত র ক আম দ র ন নয়ন
এছাড়াও পড়ুন:
জকসুসহ তিন দফা দাবি মেনে নিল প্রশাসন, ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন শিক্ষার্থীরা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা ও সম্পূরক বৃত্তিসহ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি মেনে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনের আশ্বাসে ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভেঙে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
বুধবার রাত দশটার দিকে প্রশাসনের পক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিলে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় অনশনরত শিক্ষার্থীদের ফলের রস খাইয়ে অনশন ভাঙানো হয়। শিক্ষার্থীদের অনশন ভঙ্গ করান করান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক ও সিন্ডিকেট সদস্য বিলাল হোসাইন।
এর আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক শেখ গিয়াসউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই মোতাবেক নির্বাচনের রূপরেখাও ঘোষণা করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আগামী জানুয়ারি থেকে আবাসন ভাতা পাবেন শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে বৃত্তির জন্য উপযুক্ত শিক্ষার্থীদের নভেম্বরের মধ্যে যাচাই-বাছাই করার কাজ শেষ করা হবে।
অনশনকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী ২৭ নভেম্বরের আগেই কেন্দ্রীয় পাঠাগারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র স্থাপন করা হবে। ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের মানোন্নয়নে প্রশাসন কাজ করবে।
আরও পড়ুনতিন দাবিতে ২৪ ঘণ্টা ধরে ৪ শিক্ষার্থীর অনশন, দুজন অসুস্থ১২ ঘণ্টা আগেএ সময় অনশনে বসা উদ্ভিদ বিজ্ঞানের বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। জকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে। আবাসন ভাতার জন্য প্রতিশ্রুত সময়ও দিয়েছে প্রশাসন। কেন্দ্রীয় পাঠাগারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র স্থাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ কারণে আমরা অনশন ভেঙে আন্দোলন প্রত্যাহার করেছি।
সতর্ক করে দিয়ে এ কে এম রাকিব আরও বলেন, যদি প্রশাসন ঘোষিত সময়ের মধ্যে আমাদের দাবিগুলো পূরণ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে সমস্ত দায় মাথায় নিয়ে সম্পূর্ণ প্রশাসনকে পদত্যাগ করতে হবে।
এর আগে তিন দফা দাবি আদায়ে গত মঙ্গলবার বেলা দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ রফিক ভবনের নিচে অনশন শুরু করেন চারজন শিক্ষার্থী। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) পক্ষ থেকে অনশন কর্মসূচি শুরুর কথা জানানো হয়। অনশনে বসা চার শিক্ষার্থীর মধ্যে তিনজন বাগছাসের নেতা।
আরও পড়ুনজকসু নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণা, ভোট ২৭ নভেম্বর২ ঘণ্টা আগে