ঠাকুরগাঁও সীমান্ত দিয়ে ১১ জনকে ঠেলে পাঠল বিএসএফ
Published: 27th, August 2025 GMT
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর সীমান্তে দিয়ে ১১ বাংলাদেশি নাগরিককে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তাদের আটক করেছে।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে দিনাজপুর ব্যাটালিয়ন (৪২ বিজিবি)-এর অধীনস্থ বাশালগাঁও বিওপি দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত পিলার ৩৫১/১-এস সংলগ্ন এলাকা দিয়ে বিএসএফ তাদের বাংলাদেশে প্রবেশ করায়।
আরো পড়ুন:
আটক ৫ বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ
বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের ভারতীয় প্রতিনিধি দল ঢাকায়
৪২ বিজিবি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায়, আটককৃতদের মধ্যে দুইজন পুরুষ, চারজন নারী এবং পাঁচজন শিশু রয়েছে। তাদের সবার বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া থানার বিভিন্ন গ্রামে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিরা জানান, তারা ৫–৬ বছর আগে কাজের সন্ধানে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতের মুম্বাইয়ে যান। ৮–১০ দিন আগে মুম্বাই পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে সীমান্তে হস্তান্তর করে।
বিজিবি জানায়, আটক ব্যক্তিদের জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্ম নিবন্ধন ও অন্যান্য নথি যাচাই করে তাদের বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদের হরিপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিজিবি জানায়, সীমান্তে মানবপাচার ও অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে তাদের কঠোর নজরদারি অব্যাহত রয়েছে এবং এ ব্যাপারে স্থানীয় জনগণের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।
ঢাকা/মঈনুদ্দীন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসএফ আটক ব এসএফ
এছাড়াও পড়ুন:
জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক
জঙ্গি সন্দেহে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিক। মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ নামে ওই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয় পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে। এরপর তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে এসে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে।
ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভারত থেকে নিজের দেশে ফিরে যাননি মাসুদ। তিনি অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কাটাগঞ্জ এলাকায় বসবাস করতেন। সম্প্রতি তার বেশ কিছু কর্মকান্ডে সন্দেহ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরই মাসুদকে ইসলামী উগ্রপন্থী বলে দাবি করে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। যেহেতু তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাই পুলিশ তাকে একজন অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
বিষয়টি সামনে আসার পরই যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের পক্ষে কিছুই জানানো হয়নি।
অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারত বাংলাদেশের দিনাজপুর সীমান্ত ও ভোমরা ঘোজাডাঙা সীমান্তে এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরো ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক।
পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক বাংলাদেশি নাগরিককে। আটককৃতে ওই ব্যক্তির নাম পঞ্চানন পাল। তিনি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গা থানার বাসিন্দা। ভারতে তিনি পরিচয় বদল করে রূপায়ণ পাল নামে বসবাস করছিলেন বলে অভিযোগ। তার কাছ থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছাড়াও ভারতের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও এমনকি ভারতীয় পাসপোর্ট পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে।
একইদিনে ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময়ে ঘোজাডাঙ্গা ভোমরা সীমান্তের কাছে সরুপনগর এলাকার তারালি সীমান্ত থেকে বিএসএফের ১৪৩নম্বর ব্যাটালিয়নের হাতে আটক হয়েছেন আরো বাংলাদেশি নাগরিক।
সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে আটকের পর তাদের স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশু, তিনজন পুরুষ ও চারজন নারী। এর সবাই বাংলাদেশের সাতক্ষীরা এবং খুলনার বাগেরহাটের বাসিন্দা।
সুচরিতা/শাহেদ