নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৬নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা সামসুজ্জোহাসহ তার পরিবারের বিরোদ্ধে তৎপর হয়ে উঠেছে স্বৈরাচার সেলিম ওসমানের দোসর ও উপজেলা আওয়ামীলীগে সভাপতি এম. এ. রশিদ বাহিনী। 

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের তোপের মুখে পড়ে এক পর্যায়ে বন্দর ছেড়ে যেতে বাধ্য হয় সেলিম ওসমানের দোসর এম এ রশীদসহ তার পরিবার। পলাতক থেকেও আধিপত্য বিস্তারের জন্য উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ রশীদ ও তার দোসররা মরিয়া হয়ে উঠেছে। 

স্থানীয়রা জানিয়ে তাদের কর্মকান্ডে মনে হচ্ছে আওয়ামীলীগ যেন আবারও ক্ষমতার স্বাদ গ্রহন করবে। স্বৈরাচার আওয়ামী  দোসর ও ছাত্র হত্যা মামলার আসামী এম এ রশিদের নির্দেশে আগামী স্থানীয় নির্বাচনে সুবিধা নিতেই এমন অনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে  বলে দাবি করেন সাবেক কাউন্সিলর সামছুজ্জোহা।

বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা গেছে, ফ্যাসিস্ট সরকার আমলে বন্দর থানার ২৬ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা সামছুজ্জোহা ও তার পরিবার কোনঠাসা করে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে নানা ভাবে হয়রানি করেছে রশীদ ও আনুগংরা। 

স্বৈরাচার ফ্যাসিষ্ট সরকার আমলে রশিদের নির্দেশে তার ভাতিজা শ্রমিক লীগ নেতা নয়ন, তার ছোট ভাই আ'লীগ নেতা আনোয়ার হোসেন আনু, যুবলীগনেতা অহিদসহ কয়েকজন আওয়ামী সন্ত্রাসী বিএনপি নেতা ছামসুজ্জোহা ও তার ভাইকে মারধর করে করে জোরপূর্বক জমি দখল করার ঘটনা ঘটে। 

জুলাই আন্দোলনের সময় সাবেক কাউন্সিলর ছামসুজ্জোহা, তার ভাইসহ পরিবারের বিরোদ্ধে বিভিন্ন মামলা দিয়ে হয়রানী করেছে রশিদ বাহিনীর লোকজন। সিটি কর্পোরেশনে ছামসুজ্জোহার বিরোদ্ধে অনিয়ম ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ দিয়ে ষড়যন্ত্র করে শোকজ করা হয়েছে। এমনকি তাকে স্থগিতও করা হয়। 

নানা ভাবে স্বৈরাচারের দোসর আ'লীগের পেত্নারা কাউন্সিল জোহা পরিবারকে নাজেহাল করতে ষড়যন্ত্র করেছে বলে জানা যায়। পরে ৫ আগষ্ট স্বৈরাচার পতনের পর গা ঢাকা দেয় রশিদসহ তার অনুসারীরা। দেশ স্বাধীন হলেও জোহা পরিবার স্বৈরাচারের দোসর থেকে রেহাই পাই নাই। 

আওয়ামী দোসররা আত্বগোপনে থেকে কতিপয় সুবিধাবাদী অর্থলোভী বিএনপি নামধারী নেতাদের ম্যানেজ করে সাবেক কাউন্সিলর ছামসুজ্জোহার পরিবারের বিরোদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বলে জানা যায়।

এ ব্যাপারে সাবেক কাউন্সিলর ছামসুজ্জোহার সাথে মুঠো ফোনে আলাপকালে তিনি জানান,আমি বিএনপি করি। পতিত স্বৈরাচারের আমলে ২ বার জনগনের ভোটে নির্বাচিত হয়ে কাউন্সিলর হয়েছিলাম। জনগনের জন্য কাজ করি। কিন্তু গত ১৬ বছর আমি আওয়ামী দু:শাষনের স্বীকার হয়েছি। 

বিভিন্নভাবে আমি স্বৈরাচারের দোসর দ্বারা নির্যাতিত হয়েছি। বর্তমানেও অন্তর্র্বতী সরকারের আমলে দোসরদের দ্বারা সামাজিকভাবে আক্রান্ত হচ্ছি। আমি কেমন মানুষ আমার ওয়ার্ডের লোকজনই জানে। আওয়ামী স্বৈরাচার পতন হলেও তাদের দোসররা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। 
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ র পর ব র ব এনপ আওয় ম র আমল

এছাড়াও পড়ুন:

কারিগরি শিক্ষার্থীদের অবরোধের ঘোষণা সহিংস আন্দোলনের উসকানি: সংবাদ সম্মেলনে বুয়েট শিক্ষার্থীরা

কারিগরি শিক্ষার্থীদের গাজীপুরে রেলপথ অবরোধের ঘোষণাকে ‘সহিংস আন্দোলনের উসকানি ও গভীর ষড়যন্ত্র’ হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। তাঁরা বলছেন, আলোচনার টেবিল ছেড়ে অবরোধ কোনো যৌক্তিক সমাধান হতে পারে না।

আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পরে বুয়েট ক্যাফেটেরিয়া প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা। ‘প্রকৌশল অধিকার আন্দোলন’ ব্যানারে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বুয়েট শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন আলোচনায় বসে। দাবির যৌক্তিকতা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তারা প্রকৌশলী ও ডিপ্লোমাধারী—উভয় পক্ষকে আলোচনার টেবিলে ডাকে। সবার যুক্তিতর্ক সমানভাবে উপস্থাপনের সুযোগ করে দেয়, যাতে কারও প্রতি কোনোরূপ বৈষম্য না হয়।

লিখিত বক্তব্যে বুয়েট শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, আলোচনার টেবিলে সমাধানের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও আজ গাজীপুরে রেলপথ অবরোধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে কারিগরি শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে। ডিপ্লোমাধারীদের পক্ষ থেকে যে প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন, তাঁরাই অবরোধ ডেকে সহিংস আন্দোলনের জন্য ক্রমাগত উসকানি দিয়ে যাচ্ছেন।

আলোচনার টেবিল ছেড়ে কেন জনদুর্ভোগ করে অবরোধের উসকানি দেওয়া হচ্ছে—এমন প্রশ্ন রাখেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা।

আলোচনার টেবিল ছেড়ে অবরোধ কোনো যৌক্তিক সমাধান হতে পারে না বলে উল্লেখ করা হয় লিখিত বক্তব্যে। এতে বলা হয়, এগুলো শুধুই বিশৃঙ্খলা তৈরির পাঁয়তারা ও গভীর ষড়যন্ত্র, যা প্রথাগত আন্দোলনকে ভিন্ন পথে নিয়ে যাচ্ছে।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আলোচনার টেবিল ছেড়ে যাঁরা অবরোধ করে দেশে নৈরাজ্য তৈরির উসকানি দিচ্ছেন, তাঁদের আসল উদ্দেশ্য ও এজেন্ডা খতিয়ে দেখা দরকার।

বুয়েট শিক্ষার্থীরা বলেন, যৌক্তিক দাবি আদায়ের জন্য গায়ের জোর খাটিয়ে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে অবরোধের প্রয়োজন নেই। যৌক্তিক দাবি জানালে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিজ উদ্যোগে তা আমলে নিয়ে ব্যবস্থা নেবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘স্বৈরাচারের পতন হলেও ষড়যন্ত্রের অবসান হয়নি’
  • ‎পূজাকে  ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
  • কারিগরি শিক্ষার্থীদের অবরোধের ঘোষণা সহিংস আন্দোলনের উসকানি: সংবাদ সম্মেলনে বুয়েট শিক্ষার্থীরা