আলোচনায় বাগদানের আংটি: টেইলর সুইফট-কেলসে কত টাকার মালিক?
Published: 28th, August 2025 GMT
দুই বছর চুটিয়ে প্রেম করার পর বাগদান সেরেছেন মার্কিন পপ গায়িকা টেইলর সুইফট ও কানসাস সিটি চিফসের খেলোয়াড় ট্র্যাভিস কেলসে। গত ২৬ আগস্ট রাতে ইনস্টাগ্রামে ছবি পোস্ট করে যৌথভাবে বাগদানের ঘোষণা দেন তারা।
টেইলর সুইফটকে হাঁটু গেড়ে বিয়ের প্রস্তাব দেন কেলস। সেই মুহূর্তের কিছু ছবিও প্রকাশ করেছেন তারা। মূলত, হীরার আংটি পরিয়ে বাগদান সারেন কেলস। ছবি প্রকাশ্যে আসার পর আলোচনায় রয়েছে হীরার আংটিটি। ভক্ত-অনুরাগীদের প্রশ্ন—এই আংটির মূল্য কত?
আরো পড়ুন:
বাগদান সারলেন গায়িকা টেইলর সুইফট
কমেডিয়ানকে গুলি করে হত্যা
বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আংটিটি আর্টিফেক্স ফাইন জুয়েলারি থেকে কেনা হয়েছে। তাদের ওয়েবসাইটে এই আংটির দাম সর্বোচ্চ ২৯ হাজার মার্কিন ডলার। তবে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যম পেজ সিক্সকে রত্নবিশেষজ্ঞ বলেন, “কেলসের কাস্টম কমিশন করা আংটিটির হীরা বড়। ফলে এর মূল্য সর্বোচ্চ ১ মিলিয়ন ডলার হতে পারে।”
বাগদানের একটি আংটির মূল্য যদি এতটা ব্যয়বহুল হয়ে থাকে, তবে বিশ্বের ধনী সংগীতশিল্পী টেইলর সুইফট ও তার হবু স্বামী কেলস কত টাকার মালিক? চলুন, ফোর্বসের দেওয়া তথ্য অনুসারে এ জুটির সম্পদের পরিমাণ জেনে নিই—
টেইলর সুইফটের বিলিয়ন ডলারের সাম্রাজ্য
পপ আইকন টেইলর সুইফট এখন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারী সংগীতশিল্পী। ২০২৩ সালে বিয়ন্সে, রিয়ানাকে ছাড়িয়ে যান তিনি। ‘দ্য ইরাস ট্যুর’-এ অভাবনীয় সাফল্যের পর তার মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১.
ট্র্যাভিস কেলসের সম্পদ
কানসাস সিটি চিফসের খেলোয়াড় ট্র্যাভিস কেলসে। আমেরিকান ফুটবল ক্যারিয়ারে কেলসে যে সম্পদের মালিক হয়েছেন, তা টেইলর সুইফটের ধারেকাছেও নেই। ১২ বছর ধরে কানসাস সিটি চিফস দলে খেলা এই সুপার বোল চ্যাম্পিয়নের সম্পদ ৭০ মিলিয়ন ডলার। ২০২৫ সালের এনএফএল সিজনে খেলার পাশাপাশি, তার অফ-ফিল্ড আয় ৮০ মিলিয়ন ডলার, যার মধ্যে রয়েছে ভাই জেসনের সঙ্গে ১০০ মিলিয়ন ডলারের পডকাস্ট চুক্তি। এই হবু দম্পতির সম্মিলিত মোট সম্পদ ১.৬৭ বিলিয়ন ডলার। যার মধ্যে শুধু সুইফটের সম্পদ ১.৬ বিলিয়ন ডলার।
দুই বছর ধরে সম্পর্কে ছিলেন সুইফট ও কেলসে। ২০২৩ সালের জুলাইয়ে অ্যারোহেড স্টেডিয়ামে পারফর্ম করেন টেইলর সুইফট। তারপর এ জুটির প্রেম শুরু হয়। তবে তিনবারের সুপার বোলজয়ী কেলসে ২০১৬ সালেই সুইফটের প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছিলেন।
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ট্র্যাভিস কেলসের সঙ্গে টেইলর সুইফটের প্রেমের গুঞ্জন শোনা যায়। পরে সেই বছরের ডিসেম্বর মাসেই প্রেমের কথা স্বীকার করেন সুইফট নিজেই। তবে কবে নাগাদ বিয়ে করছেন সে বিষয়ে কিছু জানাননি এই যুগল।
এর আগে ব্রিটিশ অভিনেতা জো অ্যালউইনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন টেইলর সুইফট। মার্কিন পপ তারকা টেইলর সুইফট ও জো অ্যালউইনকে প্রথম একসঙ্গে দেখা যায় ২০১৭ সালের জুন মাসে। তখন ন্যাসভিলের এক বেলকনিতে বসে কফি পান করতে দেখা যায় তাদের। এর প্রায় এক মাস পর মাথায় হুডি চাপিয়ে দুজনকে নিউ ইয়র্কের রাস্তায় ঘুরে বেড়াতেও দেখা যায়।
হলিউড তারকা টম হিডেল স্টোনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের বিচ্ছেদের পর উঠতি তারকা জোয়ের সঙ্গে গোপনে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান টেইলর। সম্পর্কের শুরুর দিকে লন্ডনে ছদ্মবেশ নিয়ে জোয়ের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। তবে এ প্রেম টিকেনি। ২০২৩ সালের এপ্রিলে এ জুটির বিচ্ছেদের খবর জানা যায়।
৩৫ বছর বয়সি গায়িকা টেইলর সুইফটের জীবনে প্রেম নতুন কোনো বিষয় না। এর আগে তিনি টম হিডেলস্টোন, কেলভিন হ্যারিস, হ্যারি স্টাইলস, কনর কেনেডি, জো জোনাস ও জ্যাক জিলেনহলের সঙ্গে প্রেম করেছেন এই গায়িকা।
ঢাকা/শান্ত
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট র য ভ স ক লস ২০২৩ স ল স ইফট ও ন ট ইলর
এছাড়াও পড়ুন:
সুদানে কারা গণহত্যা চালাচ্ছে, আরব আমিরাতের ভূমিকা কী
২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে সুদান এক ভয়াবহ গৃহযুদ্ধের মধ্যে পড়ে। ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নিতে দেশটির সামরিক বাহিনী এবং শক্তিশালী আধা সামরিক গোষ্ঠী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে শুরু হওয়া তীব্র লড়াই থেকে এই গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। এই যুদ্ধে পশ্চিম দারফুর অঞ্চলে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি হয় এবং সেখানে গণহত্যা সংঘটিত হওয়ার অভিযোগও ওঠে।
সম্প্রতি আরএসএফ এল-ফাশের শহরটি দখল করার পর এর বাসিন্দাদের নিয়ে বড় ধরনের উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত সারা দেশে দেড় লাখের বেশি মানুষ মারা গেছেন এবং প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। জাতিসংঘ এটিকে বিশ্বের বৃহত্তম মানবিক সংকট বলে অভিহিত করেছে।
পাল্টাপাল্টি অভ্যুত্থান ও সংঘাতের শুরু১৯৮৯ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা দীর্ঘদিনের প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশিরকে ২০১৯ সালে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকেই দফায় দফায় যে উত্তেজনা চলছিল, তার সর্বশেষ পরিস্থিতি হচ্ছে বর্তমান গৃহযুদ্ধ।
বশিরের প্রায় তিন দশকের শাসনের অবসানের দাবিতে বিশাল জনবিক্ষোভ হয়েছিল। তারই প্রেক্ষিতে তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয় সেনাবাহিনী। কিন্তু দেশটির মানুষ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন চালিয়ে যায়। যার পরিপ্রেক্ষিতে একটি যৌথ সামরিক-বেসামরিক সরকার গঠিত হয়। কিন্তু ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে আরও একটি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকারটিকে উৎখাত করা হয়। এই অভ্যুত্থানের কেন্দ্রে ছিলেন সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান ও দেশটির কার্যত প্রেসিডেন্ট জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং তাঁর ডেপুটি ও আরএসএফ নেতা জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালো।
এই দুই জেনারেল দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ ও বেসামরিক শাসনে ফিরে যাওয়া নিয়ে প্রস্তাবিত পদক্ষেপে একমত হতে পারেননি। তাঁদের মধ্যে মূল বিরোধের বিষয় ছিল প্রায় এক লাখ সদস্যের আরএসএফ-কে সেনাবাহিনীর সঙ্গে একীভূত করার পরিকল্পনা এবং নতুন এই যৌথ বাহিনীর নেতৃত্ব নিয়ে। ধারণা করা হয়, দুজন জেনারেলই তাঁদের ক্ষমতা, সম্পদ ও প্রভাব ধরে রাখতে চেয়েছিলেন।
আরএসএফ সদস্যদের দেশের বিভিন্ন স্থানে মোতায়েন করা হলে সেনাবাহিনী বিষয়টিকে নিজেদের জন্য হুমকি হিসেবে দেখে। এ নিয়ে ২০২৩ সালের ১৫ এপ্রিল দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। সেই লড়াই দ্রুত তীব্র আকার ধারণ করে এবং আরএসএফ খার্তুমের বেশির ভাগ অংশ দখল করে নেয়। যদিও প্রায় দুই বছর পর সেনাবাহিনী খার্তুমের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পায়।
জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান (বামে) এবং আরএসএফ নেতা জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালো (ডানে)