সিডিসি প্রধান সুসানকে বরখাস্ত করল ট্রাম্প প্রশাসন
Published: 28th, August 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের (সিডিসি) প্রধান সুসান মোনারেজকে বরখাস্ত করেছে হোয়াইট হাউজ। পদত্যাগে অস্বীকৃতি জানানোর পরই তাকে এই পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) হোয়াইট হাউজের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
আরো পড়ুন:
চীনের সামরিক কুচকাওয়াজে যোগ দেবেন কিম-পুতিন
মার্কিন হুমকি: যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে ভেনেজুয়েলা
হোয়াইট হাউজ এক বিবৃতিতে বলেছে, “সুসান মোনারেজ মার্কিন প্রেসিডেন্টের (ডোনাল্ড ট্রাম্প) এজেন্ডার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নন’। তাকে স্বাস্থ্য সংস্থার পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে।”
মার্কিন স্বাস্থ্য বিভাগ আগেই মোনারেজের চলে যাওয়ার খবর প্রকাশ করে। কিন্তু তার আইনজীবীরা জানান, তাকে বরখাস্ত করার বিষয়ে কোনো তথ্য দেওয়া জানানো হয়নি। তিনি পদত্যাগ করবেন না। এর প্রতিক্রিয়ায় হোয়াইট হাউজ তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বরখাস্ত করার ঘোষণা দেয়।
মোনারেজের আইনজীবীরা অভিযোগ করেন, সরকারের অবৈজ্ঞানিক ও বেপরোয়া নির্দেশে সায় না দেওয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের বরখাস্ত করতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে তাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেই মোনারেজকে সিডিসির প্রধান পদে মনোনীত করেছিলেন ট্রাম্প। মোনারেজের অপসারণের পরপরই সিডিসির অন্তত তিন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন।
স্বাস্থ্য সচিব রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়রের অধীনে ভ্যাকসিনের বিষয়ে সংস্থার কার্যপদ্ধতি নিয়ে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগের মধ্যেই এই কর্মকর্তাদের পদত্যাগের ঘটনা ঘটল।
কেনেডি জুনিয়র সম্প্রতি টিকাদান নীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছেন। মে মাসে তিনি গর্ভবতী নারী ও সুস্থ শিশুদের জন্য কোভিড টিকার ফেডারেল সুপারিশ প্রত্যাহার করেন। এরপর জুনে সিডিসির বিশেষজ্ঞ ভ্যাকসিন পরামর্শক কমিটির সব সদস্যকে বরখাস্ত করে নিজস্ব পছন্দের উপদেষ্টা নিয়োগ দেন যার মধ্যে টিকা-বিরোধী কর্মীরাও ছিলেন।
পদত্যাগকারী এক কর্মকর্তার মতে, সিডিসির নতুন টিকাদান সুপারিশগুলো তরুণ আমেরিকান ও অন্তঃসত্ত্বা নারীদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে।
বুধবার (২৭ আগস্ট) রাতে হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র কুশ দেশাই জানান, মনারেজ মার্কিন প্রেসিডেন্টের ‘আমেরিকাকে আবার সুস্থ করে তোলা’ এজেন্ডার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিলেন না।
দেশাই আরো বলেন, “যেহেতু মনারেজ স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে অস্বীকার করেছেন, তাই হোয়াইট হাউজ তাকে সিডিসি থেকে বরখাস্ত করেছে।”
সুসান মোনারেজকে বরখাস্তের ঘটনাটি ট্রাম্প প্রশাসন ও যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান জনস্বাস্থ্য সংস্থার মধ্যে বড় দ্বন্দ্বের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র পদত য গ য গ কর
এছাড়াও পড়ুন:
বাগেরহাটে ৪ আসন বহালের দাবিতে হাইকোর্টে রিট
বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং একটি আসন কমিয়ে তিনটি আসন করার নির্বাচন কমিশনের গেজেট কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী ১০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
মানিকগঞ্জে কৃষিজমির মাটি কাটার বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
ডাকসু নির্বাচন স্থগিত চেয়ে করা ছাত্রলীগ নেতার রিট বাতিল
বাগেরহাট প্রেস ক্লাব ও অন্যান্যদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার শেখ মুহাম্মদ জাকির হোসেন রিট পিটিশন দাখিল করেন। এছাড়া চিতলমারী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বাগেরহাট ১ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মুজিবর রহমান শামীমের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ আক্তার রসুল একই বিষয়ে পৃথক রিট পিটিশন করেন।
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও বাগেরহাট জেলা বিএনপির নেতা ব্যারিস্টার শেখ মুহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, “আমরা রিট পিটিশন করেছি। আদালত আমাদের কথা শুনেছেন এবং ১০ দিনের রুল জারি করেছেন। আশা করি, আদালতে ন্যায়বিচার পাব এবং বাগেরহাটের চারটি আসন বহাল থাকবে।”
গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি আসন কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব দেয়। এরপর থেকে বাগেরহাটের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠন আন্দোলন শুরু করে। চারটি আসন বহালের দাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতেও অংশ নেয় তারা।
তবে ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসন রেখে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে।
চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী বাগেরহাট-১ (সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা) ও বাগেরহাট-৩ (কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) নির্ধারণ করা হয়। অথচ দীর্ঘদিন ধরে বাগেরহাট-১ (চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট), বাগেরহাট-২ (সদর-কচুয়া), বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) এবং বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
ঢাকা/শহিদুল/বকুল