যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের (সিডিসি) প্রধান সুসান মোনারেজকে বরখাস্ত করেছে হোয়াইট হাউজ। পদত্যাগে অস্বীকৃতি জানানোর পরই তাকে এই পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) হোয়াইট হাউজের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি। 

আরো পড়ুন:

চীনের সামরিক কুচকাওয়াজে যোগ দেবেন কিম-পুতিন

মার্কিন হুমকি: যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে ভেনেজুয়েলা

হোয়াইট হাউজ এক বিবৃতিতে বলেছে, “সুসান মোনারেজ মার্কিন প্রেসিডেন্টের (ডোনাল্ড ট্রাম্প) এজেন্ডার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নন’। তাকে স্বাস্থ্য সংস্থার পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে।” 

মার্কিন স্বাস্থ্য বিভাগ আগেই মোনারেজের চলে যাওয়ার খবর প্রকাশ করে। কিন্তু তার আইনজীবীরা জানান, তাকে বরখাস্ত করার বিষয়ে কোনো তথ্য দেওয়া জানানো হয়নি। তিনি পদত্যাগ করবেন না। এর প্রতিক্রিয়ায় হোয়াইট হাউজ তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বরখাস্ত করার ঘোষণা দেয়। 

মোনারেজের আইনজীবীরা অভিযোগ করেন, সরকারের অবৈজ্ঞানিক ও বেপরোয়া নির্দেশে সায় না দেওয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের বরখাস্ত করতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে তাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। 

মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেই মোনারেজকে সিডিসির প্রধান পদে মনোনীত করেছিলেন ট্রাম্প। মোনারেজের অপসারণের পরপরই সিডিসির অন্তত তিন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন।

স্বাস্থ্য সচিব রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়রের অধীনে ভ্যাকসিনের বিষয়ে সংস্থার কার্যপদ্ধতি নিয়ে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগের মধ্যেই এই কর্মকর্তাদের পদত্যাগের ঘটনা ঘটল।

কেনেডি জুনিয়র সম্প্রতি টিকাদান নীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছেন। মে মাসে তিনি গর্ভবতী নারী ও সুস্থ শিশুদের জন্য কোভিড টিকার ফেডারেল সুপারিশ প্রত্যাহার করেন। এরপর জুনে সিডিসির বিশেষজ্ঞ ভ্যাকসিন পরামর্শক কমিটির সব সদস্যকে বরখাস্ত করে নিজস্ব পছন্দের উপদেষ্টা নিয়োগ দেন যার মধ্যে টিকা-বিরোধী কর্মীরাও ছিলেন।

পদত্যাগকারী এক কর্মকর্তার মতে, সিডিসির নতুন টিকাদান সুপারিশগুলো তরুণ আমেরিকান ও অন্তঃসত্ত্বা নারীদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে।

বুধবার (২৭ আগস্ট) রাতে হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র কুশ দেশাই জানান, মনারেজ মার্কিন প্রেসিডেন্টের ‘আমেরিকাকে আবার সুস্থ করে তোলা’ এজেন্ডার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিলেন না।

দেশাই আরো বলেন, “যেহেতু মনারেজ স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে অস্বীকার করেছেন, তাই হোয়াইট হাউজ তাকে সিডিসি থেকে বরখাস্ত করেছে।”

সুসান মোনারেজকে বরখাস্তের ঘটনাটি ট্রাম্প প্রশাসন ও যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান জনস্বাস্থ্য সংস্থার মধ্যে বড় দ্বন্দ্বের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র পদত য গ য গ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সেই মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন মিনহাজ মান্নান

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বর্তমান পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমনের আপিল মঞ্জুর করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিন ও বিচারপতি মো. যাবিদ হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।

এ রায়ের ফলে ওই মামলা থেকে মিনহাজ মান্নান অব্যাহতি পেলেন বলে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী মঈন ফিরোজী।

আইনজীবীর তথ্য অনুসারে, ওই মামলায় ২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য দিদারুল ইসলাম ভূঁইয়া ও মিনহাজ মান্নান ইমনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদেশ দেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল। পলাতক অপর চার আসামি হলেন সুইডেনপ্রবাসী সাংবাদিক তাসনিম খলিল, হাঙ্গেরিপ্রবাসী সামিউল ইসলাম খান ওরফে স্যাম ওরফে জুলকার নাইন, আশিক ইমরান ও ওয়াহিদুন নবী।

দিদারুল ইসলাম ও মিনহাজ মান্নান নারাজি আবেদন দিলে তা নামঞ্জুর হয়। এই আদেশের বিরুদ্ধে মিনহাজ মান্নান একই বছর হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০২২ সালের ২৪ আগস্ট হাইকোর্ট আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে মিনহাজ মান্নানের ক্ষেত্রে মামলাটির কার্যক্রম স্থগিত করেন। শুনানি শেষে আপিল মঞ্জুর করে আজ রায় দেওয়া হয়।

আদালতে মিনহাজ মান্নানের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মঈন ফিরোজী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক কথাবার্তা ও গুজব ছড়ানোর অভিযোগ তুলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর রমনা থানায় ১১ জনের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ৫ মে মামলাটি করা হয়। ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)। এতে কার্টুনিস্ট কিশোর, লেখক মুশতাক আহমেদ ও রাষ্ট্রচিন্তার দিদারুল ইসলামকে আসামি করা হয় এবং আটজনকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করা হয়।

আরও পড়ুন১০ মাস পর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন কার্টুনিস্ট কিশোর০৪ মার্চ ২০২১

এ মামলায় কারাবন্দী মুশতাক আহমেদ ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি মারা যান। এ কারণে তাঁকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়। তবে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ মামলা অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল।

মামলার নথি থেকে জানা গেছে, অভিযোগ গঠনের সময় ২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি আদালতে হাজির ছিলেন দিদারুল ইসলাম ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান। তাঁরা নিজেদের নিরপরাধ দাবি করে আদালতের কাছে ন্যায়বিচার চান। সেদিন কার্টুনিস্ট কিশোর আদালতে হাজির না থাকায় তাঁর জামিন বাতিল করা হয়।

আরও পড়ুনআজিমপুর কবরস্থানে সমাহিত লেখক মুশতাক২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এখন দেখছি নতুন প্রতারকের জন্ম হয়েছে: কায়সার কামাল
  • ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিকের বিরুদ্ধে ৫০ কোটি ডলার ঋণ জালিয়াতির অভিযোগ
  • ‘শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন, এখনো কেন গুলি করছেন’
  • ঢাকার বায়ুদূষণ রোধে ৯ দফা তিন সপ্তাহের মধ্যে বাস্তবায়নের নির্দেশ
  • ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সেই মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন মিনহাজ মান্নান
  • জামিন পেলেন বিএনপি নেতা সাখাওয়াতসহ ৬ জন
  • জামিন পেলেন বিএনপি নেতা সাখাওয়াতসহ ৬ আসামি