আল-মদিনা ফার্মার ব্যবসায়িক কার্যক্রম তদন্ত করবে বিএসইসি
Published: 28th, August 2025 GMT
পুঁজিবাজারে এসএমই প্ল্যাটফর্মে ওষুধ ও রসায়ন খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি আল-মদিনা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের কারখানা, প্রধান কার্যালয়, হিসাব বই, রেকর্ড এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক নথিপত্র খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। মূলধন বাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি বলে মনে করে কমিশন।
এরই ধারাবাহিকতায় বেশ কিছু শর্ত সাপেক্ষে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গঠিত তদন্ত কমিটিকে আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
আরো পড়ুন:
অবশেষে নিট সম্পদের ঘাটতি পূরণ করল ৮ ব্রোকার
পুঁজিবাজারে সূচকের পতন
সম্প্রতি বিএসইসির মার্কেট ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন বিভাগ থেকে শর্তসাপেক্ষে এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করা হয়েছে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে। তদন্তের বিষয়ে আল-মদিনা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে অবহিত করা হয়েছে। বিএসইসির সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা রাইজিংবিডি ডটকমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন বিএসইসির উপ-পরিচালক মো.
বিগত সরকারের আমলে আইন লঙ্ঘন করা কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে তেমন কোনো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর পুনর্গঠিত বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন নতুন কমিশন কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে।
সূত্র জানায়, আল-মদিনা ফার্মাসিউটিক্যালসের কোয়ালিফায়েড ইনভেস্টর অফারের মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ কোথায় কোথায় ব্যবহার করা হয়েছে, তা খাতিয়ে দেখবে গঠিত তদন্ত কমিটি।এছাড়া কোম্পানির লেনদেন, নগদ অর্থ, বিনিয়োগগুলোর ন্যায্য মূল্যায়ন ও সহযোগী কোম্পানির মধ্যে লেনদেন হয়েছে কি না, তা শনাক্ত করা হবে। একইসঙ্গে পুঁজিবাজার থেকে সংগ্রহ করা অর্থ প্রসপেক্টাসে যেভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, সেভাবে ব্যবহার করা হয়েছে কি না, তা যাচাই করা হবে। এছাড়া কিউআইও’র উদ্দেশ্য বা সময়সীমা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন নেওয়া হয়েছে কি না সেটাও খতিয়ে দেখতে গঠিত তদন্ত কমিটি।
কমিশনের মতে, এই পরিদর্শনের মাধ্যমে কোম্পানির আর্থিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা আরো সুদৃঢ় হবে। পাশাপাশি বাজারে শৃঙ্খলা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় এটি একটি ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
বিএসইসির তদন্তের আদেশ
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন মনে করে, পুঁজিবাজার এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বৃহত্তর স্বার্থে আল-মদিনা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের কারখানা, প্রধান কার্যালয়, হিসাব বই, রেকর্ড এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক নথি পরিদর্শন করা প্রয়োজন। তাই সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ২০২০ এর রুল ১৭ এর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য বিএসইসি এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হলো। তদন্তকারী কর্মকর্তাদের এই আদেশ জারির তারিখ থেকে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করতে হবে এবং তদন্ত সংক্রান্ত প্রতিবেদনের দুটি হার্ড কপি এবং একটি সফট কপি কমিশনে জমা দিতে নির্দেম দেওয়া হলো।
যেসব বিষয় খতিয়ে দেখবে তদন্ত কমিটি
পুঁজিবাজার ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বৃহত্তর স্বার্থে আল-মদিনা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের বেশি কিছু বিষয় খতিয়ে দেখার জন্য গঠিত তদন্ত কমিটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিএসইসির নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে-
১. কোয়ালিফায়েড ইনভেস্টর অফারের (কিউআইও) মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ প্রসপেক্টাসের ১৪-১৬ নম্বর পৃষ্ঠায় বর্ণিত শর্ত ও কমিশনের ২৩ মার্চ, ২০২৩ সম্মতিপত্র অনুযায়ী ব্যয় করা হয়েছে কি না।
২. সংশ্লিষ্ট লেনদেনের পক্ষগুলো কারা, সেই লেনদেনের নগদ প্রবাহ কেমন ছিল এবং বিনিয়োগের সঠিক মূল্যায়ন হয়েছে কি না।
৩. আন্তর্জাতিক হিসাবমান (আইএএস) ২৪ অনুযায়ী কোনো সম্পর্কিত পক্ষের লেনদেন (রিলেটেড পার্টি ট্রানজেকশন) হয়েছে কি না।
৪. কিউআইও’র মাধ্যমে সংগ্রহীত অর্থের ব্যবহার পরবর্তী আর্থিক বিবরণীতে প্রতিফলিত হয়েছে কি না।
৫. ছোটখাটো নগদ খরচ ছাড়া সব লেনদেন ব্যাংক ট্রান্সফার বা ক্রসড চেকের মাধ্যমে হয়েছে কি না।
৬. ব্যাংক হিসাবে থাকা লেনদেন ও অব্যবহৃত অর্থের হিসাব যাচাই করা।
৭. কিউআইও’র মাধ্যমে সংগ্রহীত অর্থ ব্যবহারের উদ্দেশ্য বা সময়সীমা পরিবর্তন হয়ে থাকলে-তা কমিশনের সম্মতিপত্রের শর্ত নম্বর ২৭ অনুযায়ী সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন নেওয়া হয়েছে কি না।
৮. পাশাপাশি এ সংক্রান্ত অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো খতিয়ে দেখবে গঠিত তদন্ত কমিটি।
সর্বশেষ আর্থিক অবস্থা
ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি আল-মদিনা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের লিমিটেডের সর্বশেষ ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সমাপ্ত অর্থ বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।
এদিকে, সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ০.৮৭ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ১.৫৭ টাকা। ২০২৪ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২০.৩৯ টাকা।
শেয়ার ধারণ পরিস্থিতি
আল-মদিনা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ২০২৩ সালে। কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ২০ কোটি ৪০ লাখ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা ২ কোটি ৪ লাখ। চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত কোম্পানির উদ্যোক্তাদের হাতে ৬৯.৮৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ৫.৪৯ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ২৪.৬৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) কোম্পানির শেয়ার সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ৩৪.৬০ টাকায়।
ঢাকা/এনটি/এসবি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসইস র হ ত অর থ র ব যবস ব যবহ র আর থ ক ল নদ ন
এছাড়াও পড়ুন:
পাঁচ কোটি টাকা সংগ্রহে ব্রেইন স্টেশনের কিউআইও’র আবেদন
পুঁজিবাজারের এসএমই প্ল্যাটফর্মে তালিকাভুক্ত হওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে অন্যতম শীর্ষস্থানীয় সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট এবং পরিষেবা সংস্থা ব্রেইন স্টেশন ২৩ পিএলসি। কোম্পানিটি ৫ কোটি টাকা পুঁজিবাজার থেকে সংগ্রহ করার পরিকল্পনা নিয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় কোম্পানিটি কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফারের (কিউআইও) জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) সাবসিডিয়ারি মার্চেন্ট ব্যাংক।
আরো পড়ুন:
ই-জেনারেশনের ২.২৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা
৭ কোটি টাকা সংগ্রহে লিও আইসিটি ক্যাবলসের কিউআইও’র আবেদন
গত ২৮ অক্টোবর ব্রেইন স্টেশন ২৩ পিএলসি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে কিউআইও আবেদন করেছে। একইসঙ্গে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) কাছে কিউআইও’র আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে কোম্পানির কিউআইও আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
প্রস্তাবিত কিউআইও’র আওতায় কোম্পানিটি ৫ কোটি টাকা উত্তোলনের পরিকল্পনা করেছে। এই অর্থ মূলত উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধি ও মূলধন ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্য এবং কিউআইও’র কাজে ব্যয় করা হবে।
কোম্পানিটি আশা করছে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হলে দেশের আর্থিক ও প্রযুক্তি খাতের মধ্যে এক নতুন সেতুবন্ধন তৈরি হবে। একইসঙ্গে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে প্রযুক্তিনির্ভর কোম্পানির অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পাবে এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা আরো সুদৃঢ় হবে।
কোম্পানিটি ডিজিটাল রূপান্তর, সফটওয়্যার অ্যাঙ্গেলিংয়ের ক্ষেত্রে তার শক্তিশালী দক্ষতার জন্য স্বীকৃত। ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত, কোম্পানিটি ইউরোপ, এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যে বিশ্বব্যাপী বিশ্বস্ত একটি প্রযুক্তিগত অংশীদার হিসেবে বিকশিত হয়েছে। ব্রেইন স্টেশন ২৩টি গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা প্রদান করে, যার মধ্যে রয়েছে সক্ষম পরিষেবা (টিইএসএস) যেমন-সফ্টওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, গমের প্রয়োগ এবং সম্পর্কিত পরিষেবা, ওয়েল আইটি সহায়তা এবং সফওয়্যার রক্ষণাবেক্ষণ, উদ্ভাবন, ক্লায়েন্ট সন্তুষ্টি।
বর্তমানে কোম্পানিটি উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ, এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের ক্লায়েন্টদের সেবা প্রদান করে একটি বৈশ্বিকভাবে বিশ্বস্ত প্রযুক্তি অংশীদার হিসেবে গড়ে উঠেছে।
ব্রেইন স্টেশন ২৩ আইটি-সক্ষম সেবা (আইটিইএস)-এর বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ, যেমন সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, অ্যাপ্লিকেশন কাস্টমাইজেশন, ওয়েব হোস্টিং ও সংশ্লিষ্ট সেবা, পাশাপাশি আইটি সাপোর্ট ও সফটওয়্যার মেইনটেন্যান্স।
এর আগেও কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির জন্য আবেদন করেছিল। বিএসইসির সম্মতি পাওয়ার পরেও কোম্পানিটি এসএমইতে তালিকাভুক্ত হয়নি।
এ বিষয়ে ব্রেইন স্টেশন ২৩ পিএলসির পরিচালক ও প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) মো. মবাসশির আলম রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “প্রস্তাবিত পাবলিক ইকুইটি ফাইন্যান্সিং কোম্পানির আর্থিক বিশ্বাসযোগ্যতা ও স্বচ্ছতাকে আরো জোরদার করবে, যার মাধ্যমে দেশীয় ও বৈশ্বিক ক্লায়েন্ট এবং বিনিয়োগকারীদের কাছে কোম্পানির আর্থিক উপস্থিতি ও আস্থা বৃদ্ধি পাবে। একই সঙ্গে, বিদ্যমান এমপ্লয়ী শেয়ার ওনারশিপ প্ল্যান কাঠামোর মাধ্যমে কর্মীদের প্রেরণা ও ধরে রাখার সক্ষমতাও বাড়বে।”
পরিচিতি ও আর্থিক অবস্থা
ব্রেইন স্টেশন ২৩ পিএলসি ২০১৫ সালের ২১ জানুয়ারি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০২৪ সালের ১১ জানুয়ারি কোম্পানিকে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তরিত করা হয়। কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৪২ কোটি ৭৫ লাখ ৭৭ হাজার ৯০ টাকা। কোম্পানিটি কিউআই’র মাধ্যমে ১০ টাকা মূল্যের ৫০ লাখ শেয়ার ছেড়ে ৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফার বাই স্মল ক্যাপিটাল কোম্পানি) রুলস, ২০২২ অনুসারে মূলধন সংগ্রহের জন্য কোম্পানিটি কিউআইও আবেদন করেছে।
সর্বশেষ ২০২৫ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৩.৭৭ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ৫.১৫ টাকা। এর আগে ২০২৩ সালের ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ৯.৬৩ টাকা। এছাড়া ২০২৫ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৫.৫৮ টাকা।
ঢাকা/এনটি/এসবি