নবাববাড়ির কন্যা চাকরিতে কত টাকা বেতন পেতেন?
Published: 29th, August 2025 GMT
বলিউড অভিনেত্রী সোহা আলী খান। ভারতের পতৌদি অঞ্চলের নবাব ও ভারতের সাবেক ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মনসুর আলী খান পতৌদি এবং অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুরের কন্যা তিনি। তার ভাই সাইফ আলী খান বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা।
২০০৪ সালে বলিউডে পা রাখেন সোহা আলী খান। কিন্তু তার আগে বিদেশি একটি ব্যাংকে চাকরি করতেন এই অভিনেত্রী। চাকরি করে বছরে যে অর্থ আয় করতেন, তার প্রায় পুরোটাই বাসা ভাড়ায় চলে যেত। চাকরি ছেড়ে কেন চলচ্চিত্রে পা দিলেন তা নিয়ে কথা বলেছেন সোহা আলী খান।
ইনস্ট্যান্ট বলিউডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সোহা আলী খান বলেন, “আমি স্বাধীন জীবন চেয়েছিলাম। নিজে অর্থ উপার্জন করতে চেয়েছিলাম। সুতরাং আমি আমার সিদ্ধান্ত নিই। আমি কারো কাছে জবাবদিহি করতে চাইনি।”
ব্যাংকের চাকরি ভালোই ছিল, তবু সিনেমায় কাজ করতে চেয়েছিলেন সোহা আলী খান। কিন্তু তার মা-বাবা এই সিদ্ধান্তে হয়তো মন খারাপ করবেন, এমন আশঙ্কা ছিল তার। এ বিষয়ে সোহা আলী খান বলেন, “আমি ব্যাংকে চাকরি করতাম। তখন ১৭ হাজার রুপি বাড়ি ভাড়া দিতাম। কিন্তু আমি সিনেমায় আসতে চাচ্ছিলাম। জানতাম, এতে মা-বাবা হয়তো কষ্ট পাবেন। আমি যেহেতু নিজে উপার্জন করছিলাম, তাই সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছিলাম।”
সোহা আলী খান চাকরি করে বছরে আয় করতেন ২ লাখ ২০ হাজার রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩ লাখ ৫ হাজার টাকা)। তাকে বাড়ি ভাড়া বাবদ গুনতে হতো ২ লাখ ২ হাজার রুপি। একই সঙ্গে স্বীকার করেন, পাতৌদি পরিবারের সদস্য হিসেবে এক ধরণের নিরাপত্তাবোধও করতেন সোহা আলী খান। তার ভাষায়, “আমি উপার্জন করলেও জানতাম, প্রয়োজনে মা-বাবার সাহায্য নিতে পারব। এটা অনেকের নেই। আর সেই আত্মবিশ্বাস থেকেই জীবনের বড় সিদ্ধান্ত নিতে সাহস পেয়েছিলাম।”
সোহার জীবন বদলাতে শুরু করে, যখন মডেলিংয়ের একটি চুক্তি পান। এ কাজের বিনিময়ে তাকে ৫ লাখ রুপি দেন। ব্যাংকে চাকরি করে যে বেতন পেতেন, তার সঙ্গে তুলনা করে সোহা আলী খান বলেন, “আমি ৫ লাখ রুপি আয় করছিলাম; চুক্তি ছিল এক বছরের। আর ব্যাংকে প্রতিদিন খেটে বছরে আয় ২ লাখ ২ হাজার রুপি। তখন ভাবলাম, প্রতিদিন অফিস করে যে অর্থ আয় করি, তা তো এক দিনেই করতে পারি!”
এর পরেই ‘দিল মাঙ্গে মোর’ সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব পান সোহা আলী খান। এটি তার প্রথম সিনেমা। এ সিনেমার জন্য ১০ লাখ রুপি পারিশ্রমিক দেওয়ার প্রস্তাব দেন নির্মাতারা। সোহা আলী খান বলেন, “আমাকে ১০ লাখ রুপি দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। যা ছিল বিশাল অঙ্ক। তখন ভাবলাম, এটা তো করতেই হবে, বাকিটা পরে ভাবব।”
তারপর বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেছেন সোহা আলী খান। ভারতীয় একটি বাংলা সিনেমায়ও দেখা গেছে তাকে। ‘অন্তরমহল’ নামে এ সিনেমা ২০০৫ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়। সোহা আলী অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমা হলো— ‘রং দে বাসন্তী’, ‘আহিস্তা আহিস্তা’, ‘তুম মিলে’ প্রভৃতি।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর খ ন বল ন করত ন
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাবিতে সপ্তাহব্যাপী শিল্পকর্ম প্রদর্শনী শুরু
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভাস্কর্য বিভাগের উদ্যোগে চারুকলা অনুষদের জয়নুল গ্যালারিতে সপ্তাহব্যাপী ‘বার্ষিক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী’ শুরু হয়েছে।
রবিবার (২ নভেম্বর) চারুকলা অনুষদের ওসমান জামাল মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন ঢাবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আরো পড়ুন:
জাবি অধ্যাপককে হুমকি গণতান্ত্রিক চেতনার পরিপন্থি: ইউট্যাব
ঢাবি উপ-উপাচার্যের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ভাস্কর্য বিভাগের চেয়ারম্যান নাসিমুল খবিরের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আজহারুল ইসলাম শেখ, শিল্পাচার্য তনয় প্রকৌশলী ময়নুল আবেদিন, ভাস্কর্য বিভাগের অধ্যাপক লালা রুখ সেলিম এবং শিল্পকর্ম প্রদর্শনীর আহ্বায়ক ড. নাসিমা হক মিতু।
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী পুরস্কারপ্রাপ্তদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, “শিল্পের কোন সীমা নেই। এর একটি শাশ্বত ভাষা রয়েছে। এই শৈল্পিক ভাষা ও শিল্পকর্মের মাধ্যমে শিল্পীরা মানুষের মনে স্থান করে নেন।”
শিক্ষার্থীদের ১ বছরের শ্রেণির কাজ থেকে বাছাইকৃত শিল্পকর্ম নিয়ে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। প্রদর্শনীটি প্রয়াত ভাস্কর অধ্যাপক হামিদুজ্জামান খান স্মরণে উৎসর্গ করা হয়েছে। এতে ৪৩ জন শিল্পীর ৭১টি শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হচ্ছে। শ্রেষ্ঠ শিল্পকর্মের জন্য ছয়জন শিল্পীকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। তাদের সনদ ও পুরস্কার প্রদান করেন। পরে তিনি সেরা শিল্পকর্মের জন্য ছয়জনকে সনদ ও পুরস্কার প্রদান করেন প্রধান অতিথি।
পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পীরা হলেন- প্রত্যয় সাহা (শিল্পী আনোয়ার জাহান স্মৃতি পুরস্কার), চিন্ময় ঘোষ (অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক স্মৃতি পুরস্কার), অলি মিয়া (ভাস্কর নভেরা আহমেদ স্মৃতি পুরস্কার), মৃধা মো. রাইয়ান আযীম (অধ্যাপক হামিদুজ্জামান খান স্মৃতি পুরস্কার), সুমিত রায় (মাধ্যম শ্রেষ্ঠ পুরস্কার) এবং সুপ্রিয় কুমার ঘোষ (নিরীক্ষামূলক শ্রেষ্ঠ পুরস্কার)।
আগামী ৮ নভেম্বর পর্যন্ত এ শিল্পকর্ম প্রদর্শনী চলবে । প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী