দুই দিনের ব্যবধানে চাচা-ভাতিজা খুন, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি
Published: 29th, August 2025 GMT
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার উমরদি মাদবরকান্দি গ্রামে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে খুন হন চাচা খবির সরদার (৫৫) । এর দুই দিন পর ভাতিজা আলমাস সরদারের (২৮) বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দুই খুনের সঠিক তদন্ত ও বিচার দাবি করেছে দুই পরিবার।
খবির সরদারের পরিবারের সদস্যদের জানান, ফজরের আজান ও বয়ান দেওয়া নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রাতে খবির সরদারকে হত্যা করেছে আলমাস সরদার ও তার অনুসারীরা। এরপর থেকে ভাতিজা আলমাস সরদার নিখোঁজ ছিলেন।
আরো পড়ুন:
শ্যালকদের লাঠির আঘাতে ভগ্নিপতির মৃত্যু
সাজিদ হত্যার দ্রুত বিচার দাবি ইবি শিক্ষার্থীদের
নিহত খবির সরদারের স্ত্রী মেঘনা বলেন, ‘‘ফজরের আযান ও বয়ান দেওয়া নিয়ে আমার স্বামীর সঙ্গে আলমাস সরদারের কথা কাটাকাটি হয়। রাতে একপর্যায়ে আলমাস ও তার অনুসারীরা ছুরি দিয়ে আঘাত করে খবির সরদারকে হত্যা করে।’’ এ হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন তিনি।
আলমাস সরদারের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, খবির সরদারের হত্যার পর থেকে আলমাস সরদার নিখোঁজ ছিলেন। সবাই ভেবেছিলেন চাচাকে হত্যার পর তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন। কিন্তু আলমাস পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগে না করায় তাদের সন্দেহ হয়। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দিনগত রাতে প্রতিবেশী আবুল কালাম সরদারের বসতবাড়ির পেছন থেকে মাটির নিচে চাপা দেওয়া আলমাসের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
আলমাস সরদারের বোন হালিমা বলেন, ‘‘সাংবাদিকদের ডেকে নিয়ে তাদের সামনে মাটিচাপা দেওয়া আলমাসের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আমার ভাইকে খবির সরদারদের লোকজন কুপিয়ে হত্যা করে লাশ পুঁতে রেখেছিল।’’ তিনি এ হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা সালেহা বলেন, ‘‘তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে এলাকায় এমন হত্যাকাণ্ড ঘটে গেছে। এ ঘটনার পর আমরা ভয়ের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। সঠিক তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।’’
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘‘খবির সরদার হত্যার প্রধান আসামি আলমাস সরদারের মরদেহ মাটিচাপা দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার আসল কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যারা জড়িত, তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।’’
ঢাকা/আকাশ/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য আলম স সরদ র র পর ব র হত য র মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
জকসুসহ তিন দফা দাবি মেনে নিল প্রশাসন, ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন শিক্ষার্থীরা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা ও সম্পূরক বৃত্তিসহ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি মেনে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনের আশ্বাসে ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভেঙে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
বুধবার রাত দশটার দিকে প্রশাসনের পক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিলে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় অনশনরত শিক্ষার্থীদের ফলের রস খাইয়ে অনশন ভাঙানো হয়। শিক্ষার্থীদের অনশন ভঙ্গ করান করান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক ও সিন্ডিকেট সদস্য বিলাল হোসাইন।
এর আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক শেখ গিয়াসউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই মোতাবেক নির্বাচনের রূপরেখাও ঘোষণা করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আগামী জানুয়ারি থেকে আবাসন ভাতা পাবেন শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে বৃত্তির জন্য উপযুক্ত শিক্ষার্থীদের নভেম্বরের মধ্যে যাচাই-বাছাই করার কাজ শেষ করা হবে।
অনশনকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী ২৭ নভেম্বরের আগেই কেন্দ্রীয় পাঠাগারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র স্থাপন করা হবে। ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের মানোন্নয়নে প্রশাসন কাজ করবে।
আরও পড়ুনতিন দাবিতে ২৪ ঘণ্টা ধরে ৪ শিক্ষার্থীর অনশন, দুজন অসুস্থ১২ ঘণ্টা আগেএ সময় অনশনে বসা উদ্ভিদ বিজ্ঞানের বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। জকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে। আবাসন ভাতার জন্য প্রতিশ্রুত সময়ও দিয়েছে প্রশাসন। কেন্দ্রীয় পাঠাগারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র স্থাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ কারণে আমরা অনশন ভেঙে আন্দোলন প্রত্যাহার করেছি।
সতর্ক করে দিয়ে এ কে এম রাকিব আরও বলেন, যদি প্রশাসন ঘোষিত সময়ের মধ্যে আমাদের দাবিগুলো পূরণ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে সমস্ত দায় মাথায় নিয়ে সম্পূর্ণ প্রশাসনকে পদত্যাগ করতে হবে।
এর আগে তিন দফা দাবি আদায়ে গত মঙ্গলবার বেলা দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ রফিক ভবনের নিচে অনশন শুরু করেন চারজন শিক্ষার্থী। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) পক্ষ থেকে অনশন কর্মসূচি শুরুর কথা জানানো হয়। অনশনে বসা চার শিক্ষার্থীর মধ্যে তিনজন বাগছাসের নেতা।
আরও পড়ুনজকসু নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণা, ভোট ২৭ নভেম্বর২ ঘণ্টা আগে