শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার উমরদি মাদবরকান্দি গ্রামে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে খুন হন চাচা খবির সরদার (৫৫) । এর দুই দিন পর ভাতিজা আলমাস সরদারের (২৮) বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দুই খুনের সঠিক তদন্ত ও বিচার দাবি করেছে দুই পরিবার।

খবির সরদারের পরিবারের সদস্যদের জানান, ফজরের আজান ও বয়ান দেওয়া নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রাতে খবির সরদারকে হত্যা করেছে আলমাস সরদার ও তার অনুসারীরা। এরপর থেকে ভাতিজা আলমাস সরদার নিখোঁজ ছিলেন।  

আরো পড়ুন:

শ্যালকদের লাঠির আঘাতে ভগ্নিপতির মৃত্যু 

সাজিদ হত্যার দ্রুত বিচার দাবি ইবি শিক্ষার্থীদের

নিহত খবির সরদারের স্ত্রী মেঘনা বলেন, ‘‘ফজরের আযান ও বয়ান দেওয়া নিয়ে আমার স্বামীর সঙ্গে আলমাস সরদারের কথা কাটাকাটি হয়। রাতে একপর্যায়ে আলমাস ও তার অনুসারীরা ছুরি দিয়ে আঘাত করে খবির সরদারকে হত্যা করে।’’ এ হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন তিনি।

আলমাস সরদারের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, খবির সরদারের হত্যার পর থেকে আলমাস সরদার নিখোঁজ ছিলেন। সবাই ভেবেছিলেন চাচাকে হত্যার পর তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন। কিন্তু আলমাস পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগে না করায় তাদের সন্দেহ হয়। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দিনগত রাতে প্রতিবেশী আবুল কালাম সরদারের বসতবাড়ির পেছন থেকে মাটির নিচে চাপা দেওয়া আলমাসের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। 

আলমাস সরদারের বোন হালিমা বলেন, ‘‘সাংবাদিকদের ডেকে নিয়ে তাদের সামনে মাটিচাপা দেওয়া আলমাসের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আমার ভাইকে খবির সরদারদের লোকজন কুপিয়ে হত্যা করে লাশ পুঁতে রেখেছিল।’’ তিনি এ হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

স্থানীয় বাসিন্দা সালেহা বলেন, ‘‘তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে এলাকায় এমন হত্যাকাণ্ড ঘটে গেছে। এ ঘটনার পর আমরা ভয়ের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। সঠিক তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।’’ 

জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুল ইসলাম  বলেন, ‘‘খবির সরদার হত্যার প্রধান আসামি আলমাস সরদারের মরদেহ মাটিচাপা দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার আসল কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যারা জড়িত, তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।’’ 

ঢাকা/আকাশ/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য আলম স সরদ র র পর ব র হত য র মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

নীল সমুদ্রে দক্ষিণ আফ্রিকার নীল বেদনা, ভারত বিশ্ব চ‌্যাম্পিয়ন

অনুমিত চিত্রনাট্যই যেন অনুসরণ করল মুম্বাইয়ের ফাইনাল ম্যাচ। ভারতের জার্সি গায়ে দর্শকে ঠাসা গ্যালারি রূপ নিল নীল সমুদ্রে। ২২ গজে আরও একবার ভারতের আধিপত‌্য, শাসন। যেন শিরোপার পায়চারি অনেক আগের থেকেই। 

ব‌্যাটিংয়ে পর্বত ছুঁই-ছুঁই রান। এরপর স্পিনে ফুল ফোটালেন স্পিনাররা। দক্ষিণ আফ্রিকা লড়াই করল সাধ‌্যের সবটুকু দিয়ে। ব্যাটে-বলে সহজে হাল ছাড়ল না তারাও। হৃদয় জিতলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাত্তাই পেল না। ভারতের শক্তি-সামর্থ‌্যের গভীরতার কাছে হার মানতেই হলো প্রোটিয়া নারীদের।

আরো পড়ুন:

৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে

কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস

মুম্বাইয়ের নাভি স্টেডিয়ামের নীল সমুদ্রে সব আতশবাজি আজ রাতে ফুটল ভারতের বিশ্বকাপ  উদ্‌যাপনে। প্রথমবার ভারতের নারী ক্রিকেট দল ওয়ানডেতে বিশ্ব চ‌্যাম্পিয়ন। ৫২ রানের বিশাল জয় বুঝিয়ে দেয় হারমানপ্রীত কৌর, জেমিমা রদ্রিগেজ, দীপ্তি শর্মা কিংবা শেফালি বার্মা, স্মৃতি মান্ধানা, রিচা ঘোষরা ২২ গজকে কতটা আপন করে নিয়েছেন। শিরোপা জয়ের মঞ্চে ছাড় দেননি একটুও। ২০০৫ ও ২০১৭ বিশ্বকাপে যে ভুলগুলো হয়েছিল...সেগুলো আজ ফুল হয়ে ঝরল। 

বৃষ্টি বাঁধায় বিঘ্ন ম‌্যাচে আগে ব‌্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ২৯৮ রানের স্কোর পায় ভারত। ৪৫.৩ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ২৪৬ রান করতে পারে প্রোটিয়া নারীরা। নাডিন ডি ক্লার্ক শেষ ব‌্যাটসম‌্যান হিসেবে যখন আউট হলেন, স্টেডিয়ামের প্রায় ষাট হাজার ভারতীয় সমর্থকদের মুখে একটাই স্লোগান, চাক দে ইন্ডিয়া।

ওই জনসমুদ্রের স্লোগান, ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘বন্দে মাতরম’। 

বিস্তারিত আসছে …

 

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ