সিজারিয়ান অপারেশনের পর সেলাইয়ের স্থানে কতদিন ব্যথা থাকতে পারে
Published: 30th, August 2025 GMT
সিজারিয়ান অপারেশনের পর সেলাইয়ের স্থানে কতদিন পর্যন্ত ব্যথা ও ঘা থাকা স্বাভাবিক?—এই বিষয়ে অনেকের স্পষ্ট ধারণা থাকে না।
-ডাঃ হাসানা হোসেন আখি গাইনী প্রসূতি ও ল্যাপারোস্কপিক সার্জন এম.বি.বি.এস, বি.সি.এস (স্বাস্থ্য) এম.এস (অবস এন্ড গাইনী) ট্রেইন্ড ইন ল্যাপারোস্কপি এন্ড ইনফার্টিলিটি বলেন, ‘‘অপারেশনের পর সেলাইয়ে ব্যথা বেশ কয়েকদিন স্থায়ী হয়। সিরাজিয়ান অপারেশনের পর কসমেটিক সেলাই দেওয়া হলে সাত দিন পরে ব্যান্ডেজ খুলে দেওয়া হয়। ব্যান্ডেজ খুলে দেওয়ার পরে একজন মা গোসল করতে পারেন। ১৪ দিনের মধ্যে সেলাইয়ের ঘা মোটামুটি শুকিয়ে যায়। গোসল করার পরে সেলাইয়ের জায়গা ভালোভাবে মুছে একটি অ্যান্টিবায়োটিক অয়েন্টমেন্ট লাগিয়ে নিতে হবে।’’
‘‘কসমেটিক সেলাইয়ের পরিবর্তে যদি সাধারণ সেলাই দেওয়া হয় সেক্ষেত্রে সাত থেকে দশদিন পরে সেলাই কাটা হতে পারে। ১৪-২১ দিনের মধ্যে সেলাই শুকিয়ে যায়। সেলাই খুলে দেওয়ার পর থেকেই মা গোসল করতে পারেন।’’—যোগ করেন ডা.
সিজারের পর কি কি কারণে ইনফেকশন দেখা দিতে পারে
১. যদি ওটির বেড পরিষ্কার না থাকে
২. অ্যান্টিবায়োটিক কোর্স যদি রোগী ঠিকমতো কমপ্লিট না করে
৩. পার্সোনাল হাইজিন যদি মেইনটেইন না করে
উল্লেখ্য, সেলাইয়ের স্থানের কোনো রকম ক্ষত দেখা দিলে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে আবার ড্রেসিং করা লাগতে পারে। ২১ দিন পর পর্যন্ত সেলাইয়ের স্থানে ব্যথা থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।
ঢাকা/লিপি
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।
দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।
ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।
৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।
ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট