বরগুনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মনির ওপর হামলার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আওয়ামী লীগের ৭ নেতাকর্মীর জামিন আবেদন নাকচ করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। 

রবিবার (৩১ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ মো. সাইফুর রহমান এ আদেশ দেন। 

আসামিরা হলেন—বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার লাভু মিয়া, গোলাম মাওলা মিলন, মারজান আবদুল্লাহ, জাকারিয়া সুমন, নিজাম উদ্দিন তালুকদার, কিবরিয়া ও মো.

খলিল। 

বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি মো. জসিম উদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

আদালত সূত্রে জানা গেছে, পাথরঘাটা উপজেলা বিএনপির কর্মী সোলায়মান বাদী হয়ে পাথরঘাটা থানায় আওয়ামী লীগের ১০৫ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের ৪ অক্টোবর মামলা করেন। 

বরগুনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম মনি ২০২২ সালের ৪ সেপ্টেম্বর গাড়িবহর নিয়ে ঢাকা থেকে পাথরঘাটা উপজেলায় সভা করার জন্য যাচ্ছিলেন। ওইদিন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে গাড়িবহর পাথরঘাটার রায়হানপুর ইউনিয়নের সিঅ্যান্ডবি বাজারে পৌঁছালে বরগুনা-২ আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমনের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের ১০৫ জন নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত আরো ২০০ ব্যক্তি নুরুল ইসলাম মনির ওপর অতর্কিত হামলা করেন। এতে নুরুল ইসলাম মনি গুরুতর আহত হন। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তার গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। 

আসামিরা হাইকোর্ট থেকে চলতি বছরের ২৮ মে আট সপ্তাহের অগ্রিম জামিন পান। জামিনের মেয়াদ শেষ দিন শনিবার বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে তারা জামিনের আবেদন করলে তা নাকচ করেন আদালত। 

আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. নাসির উদ্দিন সোহাগ বলেছেন, আমার মক্কেল আবার হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করবেন। 

বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি মো: জসিম উদ্দিন বলেন, এই হামলার ভিডিও ফুটেজ ও অসংখ্য প্রত্যক্ষদর্শী আছে। অপরাধীরা কারাগারে থাকলে মামলার তদন্ত কাজে বাধা দেওয়ার কেউ থাকবে না। আমরা আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। 

ঢাকা/ইমরান/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন ত কর ম প থরঘ ট উদ দ ন বরগ ন

এছাড়াও পড়ুন:

জকসুসহ তিন দফা দাবি মেনে নিল প্রশাসন, ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন শিক্ষার্থীরা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা ও সম্পূরক বৃত্তিসহ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি মেনে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনের আশ্বাসে ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভেঙে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

বুধবার রাত দশটার দিকে প্রশাসনের পক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিলে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় অনশনরত শিক্ষার্থীদের ফলের রস খাইয়ে অনশন ভাঙানো হয়। শিক্ষার্থীদের অনশন ভঙ্গ করান করান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক ও সিন্ডিকেট সদস্য বিলাল হোসাইন।

এর আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক শেখ গিয়াসউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই মোতাবেক নির্বাচনের রূপরেখাও ঘোষণা করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আগামী জানুয়ারি থেকে আবাসন ভাতা পাবেন শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে বৃত্তির জন্য উপযুক্ত শিক্ষার্থীদের নভেম্বরের মধ্যে যাচাই-বাছাই করার কাজ শেষ করা হবে।

অনশনকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী ২৭ নভেম্বরের আগেই কেন্দ্রীয় পাঠাগারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র স্থাপন করা হবে। ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের মানোন্নয়নে প্রশাসন কাজ করবে।

আরও পড়ুনতিন দাবিতে ২৪ ঘণ্টা ধরে ৪ শিক্ষার্থীর অনশন, দুজন অসুস্থ১২ ঘণ্টা আগে

এ সময় অনশনে বসা উদ্ভিদ বিজ্ঞানের বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। জকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে। আবাসন ভাতার জন্য প্রতিশ্রুত সময়ও দিয়েছে প্রশাসন। কেন্দ্রীয় পাঠাগারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র স্থাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ কারণে আমরা অনশন ভেঙে আন্দোলন প্রত্যাহার করেছি।

সতর্ক করে দিয়ে এ কে এম রাকিব আরও বলেন, যদি প্রশাসন ঘোষিত সময়ের মধ্যে আমাদের দাবিগুলো পূরণ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে সমস্ত দায় মাথায় নিয়ে সম্পূর্ণ প্রশাসনকে পদত্যাগ করতে হবে।

এর আগে তিন দফা দাবি আদায়ে গত মঙ্গলবার বেলা দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ রফিক ভবনের নিচে অনশন শুরু করেন চারজন শিক্ষার্থী। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) পক্ষ থেকে অনশন কর্মসূচি শুরুর কথা জানানো হয়। অনশনে বসা চার শিক্ষার্থীর মধ্যে তিনজন বাগছাসের নেতা।

আরও পড়ুনজকসু নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণা, ভোট ২৭ নভেম্বর২ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ