সুদানে ভূমিধসে হাজারের বেশি নিহত, লাশ উদ্ধারে সহযোগিতার আহ্বান
Published: 2nd, September 2025 GMT
পশ্চিম সুদানের মাররাহ পাহাড়ি এলাকায় ভয়াবহ ভূমিধসে অন্তত এক হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। তাদের লাশ উদ্ধারে আন্তর্জাতিকভাবে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
সুদান লিবারেশন মুভমেন্ট আর্মি সোমবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। সংগঠনটির দাবি, পুরো গ্রামটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং মাত্র একজন জীবিত আছেন।
লিবারেশন মুভমেন্ট আর্মির নেতা আবদেল ওয়াহিদ মোহাম্মদ নূরের নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠী জানায়, কয়েকদিনের টানা ভারী বৃষ্টির পর গত ৩১ আগস্ট ভূমিধসের ঘটনা ঘটে।
বিবৃতিতে বলা হয়, গ্রামটি সম্পূর্ণভাবে মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলোর কাছে নিহতদের লাশ উদ্ধারে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
উত্তর দারফুর রাজ্যে সুদানি সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)-এর মধ্যে চলমান ভয়াবহ যুদ্ধ থেকে পালিয়ে বহু মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন মাররাহ পাহাড়ে। তবে সেখানে ছিল খাদ্য ও ওষুধের তীব্র সংকট।
দুই বছরের গৃহযুদ্ধে সুদানের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ মারাত্মক খাদ্য সংকটে পড়েছেন। লাখো মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন এবং উত্তর ডারফুরের রাজধানী সংঘর্ষের কবলে রয়েছে।
ঢাকা/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জকসুসহ তিন দফা দাবি মেনে নিল প্রশাসন, ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন শিক্ষার্থীরা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা ও সম্পূরক বৃত্তিসহ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি মেনে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনের আশ্বাসে ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভেঙে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
বুধবার রাত দশটার দিকে প্রশাসনের পক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিলে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় অনশনরত শিক্ষার্থীদের ফলের রস খাইয়ে অনশন ভাঙানো হয়। শিক্ষার্থীদের অনশন ভঙ্গ করান করান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক ও সিন্ডিকেট সদস্য বিলাল হোসাইন।
এর আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক শেখ গিয়াসউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই মোতাবেক নির্বাচনের রূপরেখাও ঘোষণা করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আগামী জানুয়ারি থেকে আবাসন ভাতা পাবেন শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে বৃত্তির জন্য উপযুক্ত শিক্ষার্থীদের নভেম্বরের মধ্যে যাচাই-বাছাই করার কাজ শেষ করা হবে।
অনশনকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী ২৭ নভেম্বরের আগেই কেন্দ্রীয় পাঠাগারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র স্থাপন করা হবে। ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের মানোন্নয়নে প্রশাসন কাজ করবে।
আরও পড়ুনতিন দাবিতে ২৪ ঘণ্টা ধরে ৪ শিক্ষার্থীর অনশন, দুজন অসুস্থ১২ ঘণ্টা আগেএ সময় অনশনে বসা উদ্ভিদ বিজ্ঞানের বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। জকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে। আবাসন ভাতার জন্য প্রতিশ্রুত সময়ও দিয়েছে প্রশাসন। কেন্দ্রীয় পাঠাগারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র স্থাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ কারণে আমরা অনশন ভেঙে আন্দোলন প্রত্যাহার করেছি।
সতর্ক করে দিয়ে এ কে এম রাকিব আরও বলেন, যদি প্রশাসন ঘোষিত সময়ের মধ্যে আমাদের দাবিগুলো পূরণ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে সমস্ত দায় মাথায় নিয়ে সম্পূর্ণ প্রশাসনকে পদত্যাগ করতে হবে।
এর আগে তিন দফা দাবি আদায়ে গত মঙ্গলবার বেলা দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ রফিক ভবনের নিচে অনশন শুরু করেন চারজন শিক্ষার্থী। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) পক্ষ থেকে অনশন কর্মসূচি শুরুর কথা জানানো হয়। অনশনে বসা চার শিক্ষার্থীর মধ্যে তিনজন বাগছাসের নেতা।
আরও পড়ুনজকসু নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণা, ভোট ২৭ নভেম্বর২ ঘণ্টা আগে