বুলেটপ্রুফ ট্রেনে চীনে প্রবেশ করলেন কিম জং উন
Published: 2nd, September 2025 GMT
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) চীনের বেইজিংয়ে একটি সামরিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বুলেটপ্রুফ ব্যক্তিগত ট্রেনে চীনে প্রবেশ করেছেন। তার বিরল এই বিদেশ সফরকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সম্পর্ককে আরো দৃঢ় করার একটি সুযোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
আরো পড়ুন:
পুতিন-শির সঙ্গে মোদির বৈঠক ‘লজ্জাজনক’: ট্রাম্পের উপদেষ্টা
কিয়েভে রাশিয়ার হামলায় তিন শিশুসহ নিহত ১৪
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই সফর কিমের ২০২৩ সালের রাশিয়া সফরের পর প্রথম বিদেশ সফর এবং ২০১৯ সালের জানুয়ারির পর চীনের প্রথম সফর। বেইজিংয়ে কিম বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির ৮০তম বার্ষিকী উদযাপনে প্যারেড উপভোগ করবেন, শি জিনপিং ও পুতিনের সঙ্গে।
চীন বহু বছর ধরে উত্তর কোরিয়ার প্রধান সমর্থক। উত্তর কোরিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্র দেশগুলো নিষেধাজ্ঞা জারি রাখা ফলে দেশটির অর্থনীতিকে সচল রাখতে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক ভূমিকা রাখছে। সাম্প্রতিক সময়ে কিম রাশিয়ার সঙ্গেও সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার অভিযোগ, উত্তর কোরিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধকে সমর্থন করার জন্য অস্ত্র ও সৈন্য সরবরাহ করেছে।
পুতিন এবং শির সঙ্গে কিমের উপস্থিতি তিন নেতার মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্ককে তুলে ধরবে এবং মার্কিন নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক নিয়মকে চ্যালেঞ্জ করার ক্ষেত্রে আরো খোলাখুলিভাবে সমন্বয় করার জন্য তাদের পক্ষ থেকে একটি যৌথ পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
সোমবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, যাত্রার আগের দিন, কিম একটি নতুন ক্ষেপণাস্ত্র কারখানা পরিদর্শন করেছেন, যা দেশটির উন্নত অস্ত্র সক্ষমতার প্রতীক। পিয়ংইয়ং ছাড়ার কিছুক্ষণ আগে, কিম একটি নতুন আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির পরিকল্পনা উন্মোচন করে এই বিষয়টিকে আরও জোরদার করেছেন।
উত্তর কোরিয়ার নেতাদের জন্য বুলেটপ্রুফ ট্রেন একটি পছন্দের যাতায়াত মাধ্যম। এর আগে কিমের পিতা এবং দাদাও বুলেটপ্রুফ ট্রেন ব্যবহার করেছেন।
কিম দুই বছর আগে পুতিনের সঙ্গে শীর্ষ বৈঠকের জন্য রাশিয়ায় ট্রেন ব্যবহার করেছিলেন। এছাড়া ২০১৮ সালে সিঙ্গাপুরে প্রথমবার ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সময় কিম চীনের দেওয়া বোয়িং ৭৪৭ বিমানে চড়েছিলেন।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক ম জ উন ব ল টপ র ফ কর ছ ন র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
জকসুসহ তিন দফা দাবি মেনে নিল প্রশাসন, ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন শিক্ষার্থীরা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা ও সম্পূরক বৃত্তিসহ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি মেনে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনের আশ্বাসে ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভেঙে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
বুধবার রাত দশটার দিকে প্রশাসনের পক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিলে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় অনশনরত শিক্ষার্থীদের ফলের রস খাইয়ে অনশন ভাঙানো হয়। শিক্ষার্থীদের অনশন ভঙ্গ করান করান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক ও সিন্ডিকেট সদস্য বিলাল হোসাইন।
এর আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক শেখ গিয়াসউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই মোতাবেক নির্বাচনের রূপরেখাও ঘোষণা করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আগামী জানুয়ারি থেকে আবাসন ভাতা পাবেন শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে বৃত্তির জন্য উপযুক্ত শিক্ষার্থীদের নভেম্বরের মধ্যে যাচাই-বাছাই করার কাজ শেষ করা হবে।
অনশনকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী ২৭ নভেম্বরের আগেই কেন্দ্রীয় পাঠাগারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র স্থাপন করা হবে। ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের মানোন্নয়নে প্রশাসন কাজ করবে।
আরও পড়ুনতিন দাবিতে ২৪ ঘণ্টা ধরে ৪ শিক্ষার্থীর অনশন, দুজন অসুস্থ১২ ঘণ্টা আগেএ সময় অনশনে বসা উদ্ভিদ বিজ্ঞানের বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। জকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে। আবাসন ভাতার জন্য প্রতিশ্রুত সময়ও দিয়েছে প্রশাসন। কেন্দ্রীয় পাঠাগারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র স্থাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ কারণে আমরা অনশন ভেঙে আন্দোলন প্রত্যাহার করেছি।
সতর্ক করে দিয়ে এ কে এম রাকিব আরও বলেন, যদি প্রশাসন ঘোষিত সময়ের মধ্যে আমাদের দাবিগুলো পূরণ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে সমস্ত দায় মাথায় নিয়ে সম্পূর্ণ প্রশাসনকে পদত্যাগ করতে হবে।
এর আগে তিন দফা দাবি আদায়ে গত মঙ্গলবার বেলা দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ রফিক ভবনের নিচে অনশন শুরু করেন চারজন শিক্ষার্থী। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) পক্ষ থেকে অনশন কর্মসূচি শুরুর কথা জানানো হয়। অনশনে বসা চার শিক্ষার্থীর মধ্যে তিনজন বাগছাসের নেতা।
আরও পড়ুনজকসু নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণা, ভোট ২৭ নভেম্বর২ ঘণ্টা আগে