দলের কাছে বিচার চাইলেন হামলায় আহত বিএনপি নেতা
Published: 2nd, September 2025 GMT
দলীয় লোকজনের হামলায় আহত রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার বিএনপির সদস্য সচিব জোবায়েদ হোসেন দলের নেতাদের কাছে বিচার চেয়েছেন। বিএনপিকে ‘অস্থিতিশীল সংগঠন’ প্রমাণ করতে তার ওপর হামলা চালানো হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, “দ্রুত হামলাকারীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে হবে।”
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজশাহী প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তার হাতে ক্যানুলা লাগানো দেখা যায়। কপালে ছিল ব্যান্ডেজ।
আরো পড়ুন:
নোয়াখালীতে সরকারি চাল বিক্রির অভিযোগে বিএনপি কর্মী গ্রেপ্তার
কোনো শক্তি নেই ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন ঠেকানোর: দুদু
জোবায়েদ জানান, গত শুক্রবার তার ওপর হামলা হয়। এরপর থেকে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পুরোপুরি সুস্থ না হলেও মঙ্গলবারই তিনি হাসপাতাল থেকে এসেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার বিবরণ দেন জোবায়েদ হোসেন। তিনি জানান, দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গত শুক্রবার দুর্গাপুর উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে একটি প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়। সভা শুরুর আগে হঠাৎ সেখানে হাজির হন ইশফা খায়রুল হক শিমুল। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জার্জিস হোসেন সোহেলের আমন্ত্রণে তিনি সভায় এসেছেন।
শিমুল চলে যাওয়ার পরে পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক গোলাম মোস্তফা হট্টগোল শুরু করেন। মোস্তফার শোরগোলের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সোহেল সভাস্থল থেকে বেরিয়ে যান। এর ঠিক দুই মিনিটের মধ্যে তারা ১০-১৫ জনকে নিয়ে পুনরায় সভাস্থলে প্রবেশ করে ভাঙচুুর চালাতে থাকেন। তারা মঞ্চে বসা বিএনপির সিনিয়র নেতাদের লক্ষ্য করে চেয়ার ছুড়তে থাকেন। সোহেলের নেতৃত্বে রিদয়, মনিরুল, রেন্টু, মোস্তফা, মিলন আবদুল্লাহ, রাকিব, হেলাল, ফারুক, বাতেনসহ ১০-১৫ জন হাতুড়ি, লোহার রড নিয়ে হামলা করেন।
জোবায়েদ বলেন, “তারা মাথায় আঘাত করে আমাকে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। আমার কপাল বেয়ে রক্ত পড়তে থাকে। আমি মেঝেতে লুটিয়ে পড়ি। কিছুক্ষণ পর আমাকে ধরাধরি করে নীচতলায় নামিয়ে আনা হয়। মোটরসাইকেলে করে হাসপাতালে নিতে চাইলে হামলাকারীরা বাঁধা দেন। পরবর্তীতে নেতাকর্মীরা আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।”
তিনি বলেন, “কোনো ইস্যু ছাড়াই সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে টার্গেট করে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালানো হয়েছে। এই হামলার উদ্দেশ্য হলো- বিএনপিকে অস্থিতিশীল সংগঠন প্রমাণ করা। বিএনপি একটি বিশৃঙ্খল সংগঠন, এ সংগঠনে কোনো চেন অব কমান্ড নেই, এ সংগঠনে যখন যাকে খুশি আঘাত করে পার পাওয়া যায়, কোনরূপ অপকর্মের জবাবদিহি করতে হয় না- এটি প্রমাণ করা। আমি এই হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি, যেন আর কেউ বিএনপিকে কলঙ্কিত করার সাহস না পায়।”
জোবায়েদ জানান, হাসপাতালে থাকায় তিনি এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করতে পারেননি। তিনি শুনেছেন, জেলা বিএনপি এ ব্যাপারে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তিনি হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলা বিএনপি ও কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামরুজ্জামান আয়নাল, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক হাসানুজ্জামান লাল্টু, জেলা কমিটির সদস্য সাইদুর রহমান মন্টু, উপজেলার সদস্য রেজাউল করিম, হোসেন আলী শাহ, আক্তারুজ্জামান লাবুসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জার্জিস হোসেন সোহেল বলেন, “এই ব্যাপারে আমি টোটালি আননোন (কিছুই জানি না) এবং আনসিন। আমি মিটিংয়ে যাওয়ার পর খালার অসুস্থতার খবর পেয়ে চলে আসি। আমি যদি সামান্যতম কিছু জানি, তাহলে যেন আল্লাহ আমাকে শাস্তি দেন। জোবায়েদ ভাইকে আমি আমার পরিবারের সদস্যই মনে করি। নিজের বড় ভাই নাই, তাকে বড় ভাইয়ের মতোই আমি শ্রদ্ধা করি। কোনো দিন তার বিপক্ষে কথা বলিনি, বলতেও চাই না।”
রাজশাহী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বিশ্বনাথ সরকার বলেন, “কারা হামলা করেছে তার তদন্ত হচ্ছে। জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। বুধবার তারা তদন্ত করবে। বৃহস্পতিবার প্রতিবেদন জমা দেবে। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/কেয়া/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ আহত অভ য গ ব এনপ র ব যবস থ র সদস য স গঠন তদন ত উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
সিডনিতে তিন তারকার হলো দেখা
দূর প্রবাসের ব্যস্ত জীবনে হঠাৎ দেশের চেনা মুখের দেখা মিলে গেলে সেটি কেবল একটি সাধারণ সাক্ষাৎ থাকে না। বরং হয়ে ওঠে দেশের স্মৃতি টেনে আনা এক মুহূর্ত, হয়ে ওঠে একটুকরো বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। এমনই এক দৃশ্যের অবতারণা হলো গত শনিবার অস্ট্রেলিয়ার সিডনির এডমন্ডসন পার্ক মলে।
বাংলাদেশের তিন অঙ্গনের তিন পরিচিত মুখ—ক্রিকেটার ইমরুল কায়েস, গায়ক তাহসান খান ও অভিনেতা মাজনুন মিজান সেখানে হঠাৎ একত্র হলেন। ব্যস্ত নগরের ভিড়ে এই তিন তারকার দেখা হয়ে গেল এক ‘অপ্রত্যাশিত’ আড্ডায়।
তিন ভুবনের তারকারা
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক ওপেনার ইমরুল কায়েস সম্প্রতি পরিবার নিয়ে সিডনিতে স্থায়ী হয়েছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে বহু স্মরণীয় ইনিংস খেলা এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান এখন নতুন করে জীবনের আরেক অধ্যায় শুরু করেছেন অস্ট্রেলিয়ায়। অভিনেতা মাজনুন মিজানও অনেক দিন ধরেই পরিবার নিয়ে সিডনিতে বসবাস করছেন।
ছোট পর্দার জনপ্রিয় এই অভিনেতা দেশে অসংখ্য নাটকে অভিনয় করেছেন। নাট্যাঙ্গনের পরিচিত মুখ হলেও সিডনিতে তিনি অনেকটা পর্দার আড়ালেই থাকেন, তবু প্রবাসী বাঙালিদের কাছে তিনি প্রিয়জন।
অন্যদিকে গায়ক ও অভিনেতা তাহসান খান ছিলেন সফররত। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন শহরে কনসার্ট করছেন তিনি। ব্রিসবেন ও অ্যাডিলেডে সফল শো শেষে সিডনির কনসার্টেও হাজারো দর্শকের মন জয় করেছেন। এরপর সামনে রয়েছে মেলবোর্ন ও পার্থে তাঁর পরিবেশনা। সিডনিতে সফল কনসার্টের রেশ এখনো কাটেনি, এরই মধ্যে ঘটে গেল এই মিলন।