বিদ্যমান গবেষণা নীতি বাতিল চায় ইবি ছাত্র ইউনিয়ন
Published: 2nd, September 2025 GMT
পতিত স্বৈরাচার প্রশাসনের প্রণীত গবেষণা নীতি বাতিলসহ তিন দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) সংসদ।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২ টার দিকে প্রশাসন ভবনের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
আরো পড়ুন:
ইবি শিক্ষার্থী ওয়ালিউল্লাহ ও মুকাদ্দাসের সন্ধান দাবি
প্রকৌশলী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সাবেক সভাপতি মাহমুদুল হাসান, সভাপতি নূর আলম ও সাধারণ সম্পাদক আহমাদ গালিব, সহ-সভাপতি মাজিদুল ইসলাম উজ্জ্বল, সাংগঠনিক সম্পাদক তাহমিদ হাসান প্রমুখ।
সংগঠনের সভাপতি নূর আলম বলেন, “আমরা অনেকদিন থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে গবেষণায় জোর দেওয়ার জন্য বলে আসছি, যাতে গবেষণা খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে শিক্ষার্থীদের গবেষণামুখী করে। কিন্তু সম্প্রতি পতিত স্বৈরাচার প্রশাসনের প্রণীত নীতিমালার ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে এমফিল ও পিএইচডি ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে ভর্তির যোগ্যতা হিসেবে অনার্স ও মাস্টার্স উভয় পর্যায়ে ন্যূনতম ৩.
তিনি আরো বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণায় ভর্তির যোগ্যতা ন্যূনতম ৩.০০ ও ক্ষেত্র বিশেষে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে তা ৩.২৫ সিজিপিএ রাখা হয়েছে। অথচ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিষয়ভিত্তিক পার্থক্য বিবেচনা না করে অযৌক্তিকভাবে সর্বনিম্ন ৩.৫০ সিজিপিএ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এটি গবেষণার ক্ষেত্রকে সীমাবদ্ধ করে শিক্ষার্থীদের উপর অযথা বৈষম্য চাপিয়ে দেওয়ার সামিল। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।”
মানববন্ধনে উত্থাপিত তাদের তিন দফা দাবিগুলো হলো- পতিত স্বৈরাচার প্রশাসনের প্রণীত গবেষণা নীতি অবিলম্বে বাতিল করতে হবে; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রণীত নীতিমালার সঙ্গে সমন্বয় করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন গবেষণা নীতি প্রণয়ন করতে হবে; বিদ্যমান ভর্তি পরীক্ষা নীতি বাতিল করতে করে নতুন নীতি প্রণয়ন এবং পুনরায় এমফিল ও পিএইচডি ভর্তির সুযোগ দিতে হবে।
মানববন্ধন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহর কার্যালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা।
এ বিষয়ে উপাচার্য বলেন, “গবেষণায় ভর্তির যোগ্যতার মানদণ্ডে সিজিপিএ কমানোর জন্য আমরা পূর্বেই একটা কমিটি গঠন করেছিলাম, তারা কাজ করছে। অর্ডিন্যান্স পরিবর্তনের জন্যও আমাদের কাজ চলছে। এ দাবিগুলো যৌক্তিক, এসব দাবি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।”
ঢাকা/তানিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ভর ত র ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
দুর্গাপূজায় অরাজকতা রোধে পদক্ষেপ নিতে আহ্বান মহিলা পরিষদের
প্রতিবছর বাঙালি হিন্দুদের সর্বজনীন দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে নানা সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটে। আসন্ন দুর্গাপূজায় যেন কোনো ধরনের অরাজকতা না ঘটে, সে জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন থেকে এ আহ্বান জানানো হয়। ‘বৈচিত্র্যকে সম্মান করি, সাম্প্রদায়িকতা পরিহার করি, সম্প্রীতি বজায় রাখি’ শিরোনামে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মহিলা পরিষদের উদ্যোগে ঢাকার পাশাপাশি দেশের সব জেলায় একযোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ফওজিয়া মোসলেমের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু, সহসভাপতি মাখদুমা নার্গিস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুদা রেহানা বেগম, আন্দোলন উপপরিষদ সম্পাদক রাবেয়া খাতুন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও আন্দোলন উপপরিষদ সদস্য বহ্নিশিখা দাশ পুরকায়স্থ বক্তব্য দেন। মহিলা পরিষদের প্রোগ্রাম অফিসার নুরুননাহার তানিয়া মানববন্ধন সঞ্চালনা করেন।
সভাপতির বক্তব্যে ফওজিয়া মোসলেম বলেন, ‘আমাদের সংবিধানে নারী-পুরুষনির্বিশেষে সবার জন্য সমতা, ন্যায়বিচার নিশ্চিতের মাধ্যমে মর্যাদাকে সর্বাগ্রে স্থান দেওয়া হয়েছে। এ দেশে নানা জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও সংস্কৃতির লোকের বসবাস। সবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে রাষ্ট্রের পাশাপাশি মানবাধিকার সংগঠন ও সুশীল সমাজকে নিরাপদ পরিবেশ গড়ে তোলার দায়িত্ব নিতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের ভূমিকা আরও কার্যকর হওয়া আবশ্যক। রাষ্ট্রকাঠামো এমন হওয়া উচিত, যাতে সবাই মিলে নিজ নিজ উৎসব নির্বিঘ্নে পালন করতে পারে।’