আবেদনের যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও টানা ১২ বছর ধরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষক হিসেবে কর্মরত থাকার অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

অভিযুক্ত ওই শিক্ষক দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের বর্তমান বিভাগীয় প্রধান এবং জীব ও ভূ-বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড.ইমদাদুল হক।

আরো পড়ুন:

চবিতে সংঘর্ষে ৪২১ শিক্ষক-শিক্ষার্থী আহত

বাকৃবি শিক্ষকদের অবরূদ্ধ ৮ ঘণ্টা, যা ঘটেছিল সেদিন

‎জানা যায়, আবেদনের যোগ্যতা নেই, এক যুগ ধরে বেরোবির শিক্ষক—শিরোনামে সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিষয়টি নিয়ে সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড.

মো. হারুন অর রশিদ।

‎তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন, মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষক ও বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ফেরদৌস রহমান। কমিটিতে সদস্য সচিব হিসেবে পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহ জামান এবং সদস্য হিসেবে বাংলা বিভাগের শিক্ষক ও কলা অনুষদের ডিন ড. শফিক আশরাফ রয়েছেন। আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে এ কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ড. ইমদাদুল হক ২০০৩ সালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ও ২০০৮ সালে একই বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। ২০১২ সালে তিনি অস্থায়ী (অ্যাডহক) ভিত্তিতে বেরোবির দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। এরপর ২০১৪ সালে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পান।

‎তবে নিয়োগের সময় জমা দেওয়া আবেদনের কাগজপত্র বিশ্লেষণে দেখা গেছে, তিনি প্রভাষক পদের আবশ্যক যোগ্যতার অন্যতম শর্ত—স্নাতক বা স্নাতকোত্তরের যেকোনো একটিতে ন্যূনতম ৩.৫০ সিজিপিএ (৪.০০ স্কেলে) অথবা প্রথম বিভাগ/গ্রেড থাকার শর্ত পূরণ করেননি। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তার স্নাতকে ছিল ৩.২৬ এবং স্নাতকোত্তরে ৩.৩৯।

‎বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) নির্দেশিত বিজ্ঞপ্তির শর্ত অনুযায়ী, গ্রেডিং সিস্টেম চালু থাকা শিক্ষার্থীদের ফলাফলকে ডিভিশন ভিত্তিক ফলাফলের সমতুল্য হিসেবে গণ্য করা যায় না। অথচ ইমদাদুল হক তার আবেদনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর উভয় পরীক্ষায় ‘প্রথম বিভাগ’ উল্লেখ করেন।

২০০১ সাল থেকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রেডিং সিস্টেম চালু হয় । সে ক্ষেত্রে ড. ইমদাদুল হকের ফলাফল ডিভিশন ভিত্তিক হিসাবে গণ্য করার সুযোগ নেই।

‎বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে রিপোর্ট জমা পড়লে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

ঢাকা/‎সাজ্জাদ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য গ যত তদন ত

এছাড়াও পড়ুন:

বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে গবেষণা পুরস্কার এবং লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডের আবেদন করুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ ‘রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার’ ও ‘রাজ্জাক শামসুন নাহার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ইন ফিজিক্স’ প্রদানের জন্য দেশের পদার্থবিজ্ঞানী ও গবেষকদের কাছ থেকে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

কোন সালের জন্য পুরস্কার —

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে প্রতিষ্ঠিত ট্রাস্ট ফান্ড থেকে ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯, ২০২০ ও ২০২১ সালের গবেষণা কাজের জন্য এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।

পুরস্কার মল্যমান কত —

১. পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে মৌলিক গবেষণার জন্য পুরস্কার পাওয়া গবেষককে রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার হিসেবে নগদ ২০ হাজার টাকা প্রদান করা হবে।

২. পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে আজীবন অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে একজন বিজ্ঞানী বা গবেষককে নগদ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের রাজ্জাক শামসুন নাহার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।

আবেদনের শেষ তারিখ —

আগ্রহী প্রার্থীদের আগামী ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ সালের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) বরাবর আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।

আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে—

আবেদনকারীদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তিন কপি আবেদনপত্র, তিন প্রস্থ জীবনবৃত্তান্ত, তিন প্রস্থ গবেষণাকর্ম এবং তিন কপি ছবি আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে।

দরকারি তথ্য—

১. জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে প্রকাশিত গবেষণাকর্ম পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে।

২. যৌথ গবেষণা কাজের ক্ষেত্রে গবেষণা পুরস্কারের অর্থ সমান হারে বণ্টন করা হবে। এ ক্ষেত্রে সহযোগী গবেষক বা গবেষকের অনুমতি নিয়ে আবেদন করতে হবে।

৩. আবেদনকারী যে বছরের জন্য আবেদন করবেন পাবলিকেশন ওই বছরের হতে হবে।

৪. একই পাবলিকেশন দিয়ে পরবর্তী বছরের জন্য আবেদন করা যাবে না।

৫. কোন কারণে একজন প্রার্থী পুরস্কারের জন্য আবেদন করলে প্রার্থিতার স্বল্পতা বিবেচনা করে তাঁর আবেদন বিবেচনা করা হবে।

৬. পরীক্ষক তাঁর গবেষণা কাজের পুরস্কারের জন্য সুপারিশ না করলে তাঁকে পুরস্কারের বিষয়ে বিবেচনা করা হবে না।

৭. পদার্থবিজ্ঞানে রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার একবার প্রাপ্ত গবেষকও পরবর্তী সময়ে আবেদন করতে পারবেন।

৮. নতুন গবেষককে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

৯. যদি মানসম্মত গবেষণা কাজ না পাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে পূর্বের পুরস্কার পাওয়া গবেষকের নতুন গবেষণা কাজের পুরস্কারের জন্য পরীক্ষকের সুপারিশের ভিত্তিতে বিবেচনা করা হবে।

# আবেদন জমা দেওয়ার ঠিকানা: প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ